নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মো. সুমন মিয়া (৩০) নামের মাদকাসক্ত ছেলেকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন তাঁর বাবা-মা। তবে আজ শুক্রবার দুপুরে শিকল খুলে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়েছেন।
সুমন মিয়া উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের ভলাকুট গ্রামের মো. সৈয়দ মিয়ার ছেলে। পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসফেরত সুমন মিয়া ও তাঁর স্ত্রী ঢাকার একটি পোশাক তৈরির কারখানায় কয়েক বছর কাজ করেছেন। একপর্যায়ে স্বামী-স্ত্রী গ্রামে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ধীরে ধীরে সুমন মিয়া মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। মাদক সেবনে বাধা দিতে গেলে এখন তিনি পরিবারের সবাইকে মারধর করেন। তিনি ঘরের জিনিসপত্রও ভাঙচুর করেন। ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে শিকলে বেঁধে রাখেন তাঁর বাবা-মা। গতকাল দুপুরে বাবা সৈয়দ মিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় ছেলের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেন।
সুমনের বাবা মো. সৈয়দ মিয়া বলেন, ‘ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে বাধ্য হয়েছিলাম। পরে আজ দুপুরে সে টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে এবং একসময় সে শিকল খুলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘সুমন প্রতিনিয়তই বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সেবন করে বাড়িঘরে ভাঙচুর চালাচ্ছে এবং বিভিন্ন হাঙ্গামা করছে। আমাদের দিকেও আক্রমণ করতে আসে। তার হুমকিতে আমরা আতঙ্কিত হয়ে আছি। নিরুপায় হয়ে গতকাল দুপুরে থানা-পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।’
সুমনের মা ওমেদা খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলে দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করছে। অনেক চেষ্টা করেও তার নেশা ছাড়াতে পারিনি। পরে বাধ্য হয়ে আমরা শিকল দিয়ে তাকে বেঁধে রেখেছিলাম।’ সুমনের স্ত্রী শাবনুর বলেন, ‘আমরা দুজন একসাথে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতাম, তখন সে ভালোই চলত। গ্রামে এসে সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে।’ ভলাকুট ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিস বলেন, ‘আজ দুপুরে সুমনকে দেখতে তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। শুনলাম, সে ঢাকা চলে গেছে। সে মাদক সেবন করত।’
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম বলেন, ‘মাদকাসক্ত ছেলের বাবা-মা আমার কাছে এসেছিলেন। তবে ছেলেটির বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমি অবগত না।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনা নাছরিন বলেন, ‘একটা অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে আমি খোঁজখবর নেব। তবে মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের সবারই সচেতনতা বাড়াতে হবে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মো. সুমন মিয়া (৩০) নামের মাদকাসক্ত ছেলেকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন তাঁর বাবা-মা। তবে আজ শুক্রবার দুপুরে শিকল খুলে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়েছেন।
সুমন মিয়া উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের ভলাকুট গ্রামের মো. সৈয়দ মিয়ার ছেলে। পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসফেরত সুমন মিয়া ও তাঁর স্ত্রী ঢাকার একটি পোশাক তৈরির কারখানায় কয়েক বছর কাজ করেছেন। একপর্যায়ে স্বামী-স্ত্রী গ্রামে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ধীরে ধীরে সুমন মিয়া মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। মাদক সেবনে বাধা দিতে গেলে এখন তিনি পরিবারের সবাইকে মারধর করেন। তিনি ঘরের জিনিসপত্রও ভাঙচুর করেন। ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে শিকলে বেঁধে রাখেন তাঁর বাবা-মা। গতকাল দুপুরে বাবা সৈয়দ মিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় ছেলের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেন।
সুমনের বাবা মো. সৈয়দ মিয়া বলেন, ‘ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে বাধ্য হয়েছিলাম। পরে আজ দুপুরে সে টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে এবং একসময় সে শিকল খুলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘সুমন প্রতিনিয়তই বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সেবন করে বাড়িঘরে ভাঙচুর চালাচ্ছে এবং বিভিন্ন হাঙ্গামা করছে। আমাদের দিকেও আক্রমণ করতে আসে। তার হুমকিতে আমরা আতঙ্কিত হয়ে আছি। নিরুপায় হয়ে গতকাল দুপুরে থানা-পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।’
সুমনের মা ওমেদা খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলে দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করছে। অনেক চেষ্টা করেও তার নেশা ছাড়াতে পারিনি। পরে বাধ্য হয়ে আমরা শিকল দিয়ে তাকে বেঁধে রেখেছিলাম।’ সুমনের স্ত্রী শাবনুর বলেন, ‘আমরা দুজন একসাথে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতাম, তখন সে ভালোই চলত। গ্রামে এসে সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে।’ ভলাকুট ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিস বলেন, ‘আজ দুপুরে সুমনকে দেখতে তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। শুনলাম, সে ঢাকা চলে গেছে। সে মাদক সেবন করত।’
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম বলেন, ‘মাদকাসক্ত ছেলের বাবা-মা আমার কাছে এসেছিলেন। তবে ছেলেটির বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমি অবগত না।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনা নাছরিন বলেন, ‘একটা অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে আমি খোঁজখবর নেব। তবে মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের সবারই সচেতনতা বাড়াতে হবে।’
সরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
২ মিনিট আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
৬ মিনিট আগে২০১১ সাল থেকে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সোসাইটি ফর পিপলস অ্যাকশন ইন চেঞ্জ অ্যান্ড ইকুইটি—স্পেস’র সহায়তায় এসব ইকো টয়লেট স্থাপন করা হয়। প্রতিটি টয়লেটের দুটি চেম্বার থেকে বছরে দেড়শ কেজি জৈব সার উৎপন্ন হয়। পাশাপাশি প্রস্রাব সংরক্ষণ করে ব্যবহার করা হয় ইউরিয়া সারের বিকল্প হিসেবে। এতে বিঘাপ্রতি ২-৩ হাজার টাকা
১০ মিনিট আগেভূমিকম্পপ্রবণ ১৯৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৫তম অবস্থানে জানিয়ে পরিকল্পনাবিদ তৌফিকুল আলম বলেন, দেশে সিলেট অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ। ঢাকায় উচ্চ জনঘনত্ব, মাটি দুর্বল ও নীতিমালা না মেনেই ভবন নির্মাণের কারণে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ৫১ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
১ ঘণ্টা আগে