Ajker Patrika

পাহাড়কাটার বিরুদ্ধে অভিযান, বাধা দিতে এলেন সেই কাউন্সিলর

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
পাহাড়কাটার বিরুদ্ধে অভিযান, বাধা দিতে এলেন সেই কাউন্সিলর

চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাহাড় কেটে নির্মিত দেয়াল গুঁড়িয়ে দিয়েছেন নগরীর কাট্টলী এলাকার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক। 

আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে এই অভিযান চালানো হয়। পাহাড় কেটে দেয়াল নির্মাণ করছিলেন স্থানীয় কাউন্সিল জহুরুল আলম জসিম (৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড)। 

অভিযানের খবর পেয়ে কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম ছুটে গিয়ে গরুর খামার নির্মাণ করছেন বলে জানান। তখন ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে কাউন্সিলরের বাদানুবাদ হওয়ার কথা স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেও আদালত পরিচালনাকারীদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিশ্চিত হতে জহুরুল আলম জসিমকে ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। অভিযানকালে নির্মিত দেয়াল ও স্থাপনার স্ট্রাকচার ভেঙে ফেলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, আকবর শাহ এলাকার উত্তর পাহাড়তলী মৌজার ১৭৮ নম্বর দাগে এশিয়ান ইউনিভার্সিটির পেছনে পাহাড়ের খাঁড়া ঢালু অংশ কাটা হয়। এরপর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় গরুর খামার নির্মাণ করছিল স্থানীয় একটি চক্র। এতে যেকোনো সময় পাহাড় ধসে ও দেয়াল ভেঙে প্রাণহানির আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। এ কারণে অভিযানে নামেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুক। 

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে আমরা বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেছি। অনেককেই জেল-জরিমানা করা হয়েছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনাও রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের অভিযানে ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জায়গার মালিকসহ স্থাপনা নির্মাণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইন ও নিয়মিত মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’ 

উল্লেখ, গত ২৬ জানুয়ারি নগরের আকবর শাহ থানার উত্তর পাহাড়তলীর সুপারিবাগান এলাকায় খাল দখল ও পাহাড় কাটা স্থান পরিদর্শনে গিয়ে হামলা শিকার হন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সদস্যরা। তখন কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমের লোকজন তাঁদের আটকে রেখে ইটপাটকেল ছোড়েন। এ ঘটনায় পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন বেলার নির্বাহী প্রধান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফরিদপুরে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচিতে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ, ভাঙচুর-আগুন

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয় ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেয় অন্য পক্ষ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয় ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেয় অন্য পক্ষ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি ঘিরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয়ে ভাঙচুরসহ আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১০-১৫টি মোটরসাইকেল ও আশপাশের ১০-১২টি দোকানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা সদরের ওয়াপদা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা তাৎক্ষণিক জানা সম্ভব হয়নি।

দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক সংসদ সদস্য ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এবং উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ ছাড়া সম্প্রতি বিএনপির মনোনয়ন ও উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। এর মধ্যে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দুই গ্রুপ আলাদা সমাবেশ ও র‍্যালির আয়োজন করে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ওয়াপদা মোড়ে হারুন শপিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচির আয়োজন করেন শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু গ্রুপ। অপর দিকে চৌরাস্তা এলাকায় একই কর্মসূচির আয়োজন করে নাসিরুল ইসলাম গ্রুপ। বিকেলে দুই পক্ষের লোকজন বোয়ালমারী বাজারে জড়ো হচ্ছিল। উভয় পক্ষের কয়েক শ মানুষ চলাচলের সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা, ইট-পাটকেল নিয়ে বোয়ালমারী বাজারের ওয়াপদা এলাকায় শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু সমর্থিতদের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় বিক্ষুব্ধরা আশপাশের অন্তত ৮ থেকে ১০টি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। তারা অন্তত ৮ থেকে ১০টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে ধ্বংসযজ্ঞ। এ সময় ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন অনেকে। অন্যরা দ্রুত সরে পড়েন।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরে যান। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বান্দরবানে সরকারি জায়গা থেকে ৩৫ লাখ টাকার গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ

বান্দরবান প্রতিনিধি
রাস্তার পাশে কেটে ফেলা গাছ। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাস্তার পাশে কেটে ফেলা গাছ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বান্দরবানে সড়ক ও জনপদ বিভাগের সরকারি জায়গা থেকে আনুমানিক ৩৫ লাখ টাকা মূল্যের ৯টি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে জেলা সদরে বান্দরবান-কেরানিহাট মূল সড়কের পাশের মেঘলার মৃত্তিকা অফিসসংলগ্ন সওজের জায়গা থেকে গাছগুলো কাটা হয়। সরকারি কোনো অনুমতি না নিয়েই জেলা শহরের বাজার এলাকার বাসিন্দা আশরাফ উল্লাহ বাচ্চু এই গাছগুলো কেটে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা জানায়, বান্দরবান-কেরানিহাট মূল সড়কের পাশের মেঘলার মৃত্তিকা অফিসসংলগ্ন এলাকায় সওজের জায়গায় অন্তত ৩০ বছরের পুরোনো বেশ কিছু মেহগনি, গামারি ও কড়ই মূল্যবান গাছ ছিল। সেখান থেকে সাতটি গাছ পুরোপুরি কেটে ফেলা হয়েছে। আরও দুটি গাছ অর্ধেকের বেশি কাটা হয়েছে। পরে স্থানীয়দের বাধার মুখে অভিযুক্ত আশরাফুল্লাহ বাচ্চু ও তাঁর কাঠুরেরা পালিয়ে যান। গাছগুলো কেটে ফেলায় সড়কটিতে ভবিষ্যতে ভাঙন দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। খবর পেয়ে পুলিশ, প্রশাসন ও বন বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী অং শৈ প্রু মারমা বলেন, যে গাছগুলো কাটা হয়েছে, সেগুলো বান্দরবান সড়ক ও জনপদ বিভাগের সীমানার অভ্যন্তরীণ জায়গার গাছ। বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযোগের ব্যাপারে আশরাফ উল্লাহ বাচ্চু বলেন, যে গাছগুলো কাটা হয়েছে, সেগুলো তাঁর নিজের নামীয় জায়গা থেকে কাটা হয়েছে। তবে গাছ কাটার আগে বন বিভাগের পূর্বানুমতি নেননি তিনি।

বান্দরবান সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন বলেন, ‘সরকারি জায়গা থেকে গাছ কাটার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বন বিভাগ, সড়ক বিভাগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গুলিবিদ্ধ বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহকে ঢাকায় স্থানান্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
এরশাদ উল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
এরশাদ উল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

গণসংযোগের সময় দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও) আসনের বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে তাঁকে চট্টগ্রাম থেকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত বিএনপি নেতার একান্ত সচিব মো. আরিফ মুন্না বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, এরশাদ উল্লাহ বুকের ডান পাশে ও পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত। তাঁর অবস্থা কিছুটা উন্নতি হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর বায়েজিদের চালিতাতলী এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ হন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ। এরপর তাঁকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই ঘটনায় সরওয়ার হোসেন বাবলা নামের একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টেলিগ্রামে বিদেশি বিনিয়োগের নামে ৫ কোটি টাকা হাতান তাঁরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
গ্রেপ্তারকৃত ফারদিন আহমেদ ওরফে প্রতীক ও মো. সাগর আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তারকৃত ফারদিন আহমেদ ওরফে প্রতীক ও মো. সাগর আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া গ্রুপ খুলে বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের হোতাসহ দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন চক্রের প্রধান ফারদিন আহমেদ ওরফে প্রতীক (২৫) এবং তাঁর সহযোগী মো. সাগর আহমেদ (২৪)। আজ শুক্রবার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিআইডির ঢাকা মেট্রো পূর্ব বিভাগের একটি দল ৬ নভেম্বর ভোরে পঞ্চগড় সদরের ধাক্কামারা এলাকা থেকে মূল হোতা ফারদিন আহমেদকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে অভিযান চালিয়ে সাগর আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে টেলিগ্রামে ‘বিদেশি বিনিয়োগ প্ল্যাটফর্ম’ নামে ভুয়া গ্রুপ খুলে অল্প সময়ে বেশি মুনাফার প্রলোভন দেখাত। গ্রুপে আগে থেকেই সাজানো কিছু সদস্য রাখা হতো, যারা নিজেদের বিনিয়োগ করে লাভ পাওয়ার ভান করে নিয়মিত কৃতজ্ঞতার পোস্ট দিত। এসব দেখে সাধারণ বিনিয়োগপ্রত্যাশীরা প্রতারকদের আশ্বাসে অর্থ পাঠাতেন। পরে চক্রটি তৃতীয় ব্যক্তির নামে খোলা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অর্থ স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করত। এভাবে বহু বিনিয়োগকারী সর্বস্ব হারিয়েছেন।

তদন্তে আরও জানা যায়, ফারদিন বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ৩০টির বেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, এমএফএস অ্যাকাউন্ট এবং সিমকার্ড নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে প্রতারণা চালাতেন। অন্যদিকে সাগর আহমেদ ‘Rio’ নামে ফেইক পরিচয়ে ‘Alexa Wick’ নামের একটি টেলিগ্রাম গ্রুপের অ্যাডমিন ছিলেন। মাত্র সাত সদস্যবিশিষ্ট ওই গ্রুপে স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী পোস্ট ও মন্তব্য করে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করা হতো।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারদিন প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে সিআইডি। তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন অ্যাকাউন্টগুলোতে প্রায় পাঁচ কোটি টাকারও বেশি লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। চক্রের অন্যান্য সদস্য ও অর্থপথ শনাক্তে গ্রেপ্তার দুজনকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আদালতে আবেদন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত