Ajker Patrika

কঙ্কাল উদ্ধারের পর লামিয়ার স্বামী গ্রেপ্তার, দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি 

পিরোজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৩, ২০: ১০
কঙ্কাল উদ্ধারের পর লামিয়ার স্বামী গ্রেপ্তার, দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি 

পিরোজপুরের নাজিরপুরে তরুণী লামিয়া আক্তারকে রাতে বাপের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন স্বামী মো. তরিকুল ইসলাম। আজ শুক্রবার সকালে তরিকুল ইসলামকে পিরোজপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করলে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তরিকুলের বাড়ি নাজিরপুর উপজেলার দক্ষিণ চিথলিয়া গ্রামে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক মো. বায়েজীদ আকন বলেন, সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ১৬ মার্চ ঢাকার মোহাম্মদপুর থানাধীন জাফরাবাদ এলাকার একটি ভাড়াবাসা থেকে লামিয়ার স্বামী মো. তরিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

তরিকুলের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, ২০২২ সালের ৩০ মে বিয়ের দাবিতে তরিকুলের বাড়িতে এসে ওঠেন লামিয়া। স্থানীয় লোকজনের চাপে ওই দিন সন্ধ্যায় তরিকুল বিয়ে করেন লামিয়াকে। বিয়েতে তরিকুলের মা-বাবার সম্মতি ছিল না। তাঁদের বিবাহ মেনে না নেওয়ায় বিয়ের পর লামিয়া তাঁর বাবার বাড়িতেই থাকতেন। তরিকুলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল লামিয়ার। বিয়ের সাত মাস পরও লামিয়াকে শশুরবাড়িতে তুলে নিতে না চাইলে লামিয়ার ও তরিকুলের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। লামিয়া চিথলিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে এবং স্থানীয় সরকারি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। ১২ মার্চ লামিয়ার ঘরের সামনের সিঁড়িতে একটি বেনামি চিঠি পাওয়া যায়। এর সূত্র ধরে মাটি খুঁড়ে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ।

কলেজছাত্রী লামিয়া আক্তারপুলিশ আরও জানায়, ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর রাত অনুমান ১১টার দিকে লামিয়াকে গোপনে দেখা করতে বলেন তরিকুল। লামিয়ার মা ও নানি ঘুমালে বাড়ি থেকে বের হয়ে তরিকুলের সঙ্গে দেখা করেন লামিয়া। তখন তাঁদের মধ্যে কথা বলার একপর্যায়ে রাগান্বিত তরিকুল লামিয়াকে গলা টিপে হত্যা করেন। পরে লাশ বাড়ির পাশে বালুর মাঠে নিয়ে যান এবং সেখানে বালু চাপা দিয়ে রাখেন। ঘটনার চার মাস পর ১১ মার্চ আসামি নাজিরপুর বাজারের একটি দোকান থেকে দুটি গ্লাভস কেনেন। তারপর রাত অনুমান ১১টার দিকে পুনরায় ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু খোঁড়ার পর লাশের হাত দেখতে পেয়ে ওঠানোর চেষ্টা করেন। এ সময় লাশের হাত দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন হাতটা গর্তে রেখে পুনরায় লাশ বালু চাপা দিয়ে আসেন। পরদিন ১২ মার্চ রাতে আসামি তরিকুল একটি চিরকুট লিখে লামিয়ার ঘরের চালে ঢিল মারে। তখন ঘর থেকে লামিয়ার খালা ও নানি বাইরে বের হয়ে চিরকুট দেখতে পান। এরপরই ঘটনা প্রকাশ পায়।

নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরে এ ঘটনায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। পরে তরিকুলের বাবা ও এক প্রতিবেশীকে গ্রেপ্তার করা হয়। মূল আসামি মো. তরিকুল ইসলামকে ১৬ মার্চ গ্রেপ্তার করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত