খান রফিক, বরিশাল
বেশ কিছুদিন ধরে বরিশালে নেই বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। গত ১৮ আগস্ট ইউএনওর বাসভবনে হামলায় তুলকালাম কাণ্ডের পর থেকে রাজধানী অবস্থান করছেন তিনি। এতে গতিহীন হয়ে পড়েছে নগর ভবনের সেবা কার্যক্রম। অধিকাংশ শাখায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গা ছাড়াভাবে কাজ করছেন। করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদ খালি থাকায় ফাইলও চলছে না। ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী।
বিসিসির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, মেয়র না থাকলেও কোন কাজ থেমে নেই। যদিও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী জানিয়েছেন, মেয়র সাদিক নগরভবনে না আসায় তাদের কাজে সমস্যা হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় সরেজমিন নগর ভবনের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে সুনসান নীরবতা। মেয়রের ২০১ নম্বর কক্ষ তালাবদ্ধ। পাশের ব্যক্তিগত কর্মকর্তার কক্ষও বন্ধ। মেয়রের কক্ষের পাশ ঘেঁষেই নামাজের ঘর করা হয়েছে। মেয়রের কক্ষের বিপরীতে কাউন্সিলরদের কক্ষেও কাউকে দেখা যায়নি। বেশ কয়েকজন স্টাফকে দেখা গেছে, যারা মেয়রের কক্ষের সামনের বেঞ্চে বসে আড্ডা দিচ্ছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কর্মচারী জানান, আগের মেয়রদের সময় নগরভনের দ্বিতীয় তলা গমগম করত লোকে। বর্তমান মেয়র সেরনয়িবাত সাদিক আব্দুল্লাহ নগরভবনে আসেনই না। মেয়র না আসায় তার ২০১ নম্বর কক্ষ অনেক দিন খোলা হয় না।
নগর ভবনের বিভিন্ন শাখা ঘুরে দেখা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ঢিলেঢালা ভাব। অনেকেই বেলা ১২টার মধ্যেই আশপাশের চায়ের দোকানে আড্ডা মারছেন। কেউ কেউ আবার চেয়ারে থাকলেও গল্প করে সময় কাটাচ্ছেন। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৮ আগস্ট প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তুলকালাম কাণ্ডের পর মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ নগরভবনের দিকে পা দেননি।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ২৭ আগস্ট মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বরিশাল থেকে রাজধানীতে যান। এর পর থেকে বরিশালে নেই তিনি। করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও জনসংযোগ কর্মকর্তাও এখন ঢাকায়। যেকারণে প্রশাসনিক অনেক ফাইলও সিদ্ধান্তহীনতায় পড়ে আছে।
এ বিষয়ে জানতে সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার রোহানকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন একাধারে জনসংযোগ কর্মকর্তার দায়িত্বেও রয়েছেন। মূলত তিনি সিটি করপোরেশনের পরিসংখ্যানবিদ।
গত ১৮ আগস্ট ইউএনও’র বাসভবনে হামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সিটি করপোরেশনের স্টাফদের সঙ্গে সংঘাতে দায়ের করা দুটি মামলার অন্যতম আসামি প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন। সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহও ওই মামলার আসামি।
জানতে চাইলে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো. ফারুক বলেন, করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ পদ বিশেষ করে সচিব, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলীসহ কিছু পদে নতুন করে পদায়নের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন। তবে জনসংযোগ কর্মকর্তার দায়িত্ব এখান থেকে দিতে হবে। এসব পদে জনবল না থাকায় কাজে ব্যাঘাত ঘটছে বলে অকপটে স্বীকার করেন তিনি।
মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ কবে বরিশালে আসবেন এ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘মেয়র এর বিষয় কিছু জানেন না তিনি। প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিষয়েও ওইভাবে তার সঙ্গে যোগাযোগ নেই।’ মেয়র এর অনুপস্থিতিতে করপোরেশনের কাজে ব্যাহত হচ্ছে কি না এ প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করতে চাননি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো.ফারুক।
এ ব্যাপারে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু বলেন, বিভিন্ন পদে কর্মকর্তা না থাকলেও কাজ থেমে নেই। বিকল্প লোক দিয়ে কাজ চলছে। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই এ সংকট কাটিয়ে ওঠা যাবে। মেয়র আসার পরেই এসব পদ পুরোনো নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বেশ কিছুদিন ধরে বরিশালে নেই বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। গত ১৮ আগস্ট ইউএনওর বাসভবনে হামলায় তুলকালাম কাণ্ডের পর থেকে রাজধানী অবস্থান করছেন তিনি। এতে গতিহীন হয়ে পড়েছে নগর ভবনের সেবা কার্যক্রম। অধিকাংশ শাখায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গা ছাড়াভাবে কাজ করছেন। করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদ খালি থাকায় ফাইলও চলছে না। ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী।
বিসিসির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, মেয়র না থাকলেও কোন কাজ থেমে নেই। যদিও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী জানিয়েছেন, মেয়র সাদিক নগরভবনে না আসায় তাদের কাজে সমস্যা হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় সরেজমিন নগর ভবনের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে সুনসান নীরবতা। মেয়রের ২০১ নম্বর কক্ষ তালাবদ্ধ। পাশের ব্যক্তিগত কর্মকর্তার কক্ষও বন্ধ। মেয়রের কক্ষের পাশ ঘেঁষেই নামাজের ঘর করা হয়েছে। মেয়রের কক্ষের বিপরীতে কাউন্সিলরদের কক্ষেও কাউকে দেখা যায়নি। বেশ কয়েকজন স্টাফকে দেখা গেছে, যারা মেয়রের কক্ষের সামনের বেঞ্চে বসে আড্ডা দিচ্ছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কর্মচারী জানান, আগের মেয়রদের সময় নগরভনের দ্বিতীয় তলা গমগম করত লোকে। বর্তমান মেয়র সেরনয়িবাত সাদিক আব্দুল্লাহ নগরভবনে আসেনই না। মেয়র না আসায় তার ২০১ নম্বর কক্ষ অনেক দিন খোলা হয় না।
নগর ভবনের বিভিন্ন শাখা ঘুরে দেখা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ঢিলেঢালা ভাব। অনেকেই বেলা ১২টার মধ্যেই আশপাশের চায়ের দোকানে আড্ডা মারছেন। কেউ কেউ আবার চেয়ারে থাকলেও গল্প করে সময় কাটাচ্ছেন। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৮ আগস্ট প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তুলকালাম কাণ্ডের পর মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ নগরভবনের দিকে পা দেননি।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ২৭ আগস্ট মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বরিশাল থেকে রাজধানীতে যান। এর পর থেকে বরিশালে নেই তিনি। করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও জনসংযোগ কর্মকর্তাও এখন ঢাকায়। যেকারণে প্রশাসনিক অনেক ফাইলও সিদ্ধান্তহীনতায় পড়ে আছে।
এ বিষয়ে জানতে সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার রোহানকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন একাধারে জনসংযোগ কর্মকর্তার দায়িত্বেও রয়েছেন। মূলত তিনি সিটি করপোরেশনের পরিসংখ্যানবিদ।
গত ১৮ আগস্ট ইউএনও’র বাসভবনে হামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সিটি করপোরেশনের স্টাফদের সঙ্গে সংঘাতে দায়ের করা দুটি মামলার অন্যতম আসামি প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন। সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহও ওই মামলার আসামি।
জানতে চাইলে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো. ফারুক বলেন, করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ পদ বিশেষ করে সচিব, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলীসহ কিছু পদে নতুন করে পদায়নের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন। তবে জনসংযোগ কর্মকর্তার দায়িত্ব এখান থেকে দিতে হবে। এসব পদে জনবল না থাকায় কাজে ব্যাঘাত ঘটছে বলে অকপটে স্বীকার করেন তিনি।
মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ কবে বরিশালে আসবেন এ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘মেয়র এর বিষয় কিছু জানেন না তিনি। প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিষয়েও ওইভাবে তার সঙ্গে যোগাযোগ নেই।’ মেয়র এর অনুপস্থিতিতে করপোরেশনের কাজে ব্যাহত হচ্ছে কি না এ প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করতে চাননি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো.ফারুক।
এ ব্যাপারে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু বলেন, বিভিন্ন পদে কর্মকর্তা না থাকলেও কাজ থেমে নেই। বিকল্প লোক দিয়ে কাজ চলছে। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই এ সংকট কাটিয়ে ওঠা যাবে। মেয়র আসার পরেই এসব পদ পুরোনো নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, পেশায় রাজু ভ্যানচালক। গতকাল রোববার সকালে বাড়ি থেকে চার্জারভ্যান নিয়ে রাস্তায় বের হন তিনি। এরপর রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। সোমবার সকালে পথচারীরা রাস্তার পাশে রাজুর লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
৩ মিনিট আগেনাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুর রহমান জানান, গত রাতে লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালুকে একটি হত্যা মামলাসহ কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
৭ মিনিট আগেসুনামগঞ্জের তাহিরপুর ও মধ্যনগর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ টাওয়ার ও এর আশপাশের এলাকায় পর্যটকবাহী হাউসবোট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
১৮ মিনিট আগেসরকারি চাকরির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সচিবালয়ে কর্মচারীদের দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১১টা থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গ্রন্থাগারে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন কর্মচারীরা।
২১ মিনিট আগে