নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
ফুল ছিটিয়ে ব্যান্ড পার্টি বাজিয়ে দোয়া-মিলাদ অনুষ্ঠানে বরণ করা হলো সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা এবং জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে তিনি নগরের অক্সফোর্ড মিশন এলাকায় সিটি নির্বাচনে লাঙল প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসের বাসায় আসেন।
এর আগে জি এম কাদেরের গাড়িবহরসহ নেতা-কর্মীদের মেট্রোপলিটন পুলিশ বিমানবন্দর এলাকায় আটকে দেয়। এ সময় সেখানে এক পথসভায় হাত উঁচিয়ে দলের মেয়র প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দেন জি এম কাদের। নির্বাচনী এলাকায় সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির প্রবেশকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল বলে মনে করে ইসি। সিটি নির্বাচনে প্রার্থিতা চূড়ান্ত না হলেও সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী এবং তাঁদের অনুসারীরা এভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যাচ্ছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল বিমানবন্দরে হেলিকপ্টারে পৌঁছান জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। পরে বিমানবন্দর এলাকায় এক পথসভায় অংশ নেন তিনি। এ সময় সঙ্গে ছিলেন সিটি নির্বাচনে লাঙলের মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস।
পথসভায় জি এম কাদের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সামনে সিটি নির্বাচন। ইনি (তাপস) কিন্তু এখনো প্রার্থী হননি। মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। সামনের সব নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। আমরা সরকারের কাজ দেখতে চাই, নির্বাচন কমিশনের কাজ দেখতে চাই।’ এ সময় তিনি দলের মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেনের হাত ধরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি লাঙল মার্কায় ভোট দিয়ে দেশ বাঁচানোর আহ্বান জানান।
পরে নেতা-কর্মী বেষ্টিত গাড়িবহরসহ নগরে ঢুকতে চাইলে বিপুল পরিমাণ পুলিশ বাধা দেয়। সেখানে কেবল জি এম কাদের এবং সফর সঙ্গীদের গাড়িতে করে যেতে দেওয়া হয়। কিন্তু মোটরসাইকেল বহর আটকে দেওয়া হয়। চলে পুলিশের তল্লাশি। নগরীর অক্সফোর্ড মিশন এলাকায় লাঙলের মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসের বাসার গলিতে জি এম কাদেরের গাড়ি ঢুকলে সেখানে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী, নারী-পুরুষ তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। গাড়িতে জি এম কাদেরের পাশে মেয়র প্রার্থী তাপসকে দেখা গেছে।
পরে প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসের বাসায় দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন জি এম কাদের। এ সময় সঙ্গে ছিলেন জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু, মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল প্রমুখ।
লাঙলের মেয়র প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনার প্রধান এজেন্ট অধ্যক্ষ মহসীন উল ইসলাম হাবুল বলেন, ‘আমরা কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি। বরং তাদের লোকজনকে পুলিশ হয়রানি করেছে। জাপা চেয়ারম্যান দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।’
যদিও গতকাল বুধবার রাতে সিটি নির্বাচনে বরিশালের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির এক চিঠিতে জি এম কাদেরকে সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে আচরণবিধি মানার তাগিদ দেন। মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস ইতিমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার অপসারণ চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর ডাকযোগে আবেদন করেছেন।
এর আগে শোভাযাত্রাসহ নগরে ঢোকায় হাতপাখার প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীমকে শোকজ করা হয়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, তিনি শুনেছেন যে জিএম কাদের নগরীতে এসেছেন। তিনি যেভাবে তাঁর দলীয় প্রার্থীর বাড়িতে এসেছেন, তা আচরণবিধি লঙ্ঘন।
অপরদিকে নৌকার প্রার্থীর অনুসারীরা লিফলেট বিতরণ করে এবং হ্যান্ড মাইকে নগরময় ভোট চাইছেন। এ প্রসঙ্গে নৌকার মেয়র প্রার্থীর দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত লস্কর নুরুল হক বলেন, জি এম কাদের নগরে তাঁর প্রার্থীর বাসায় এসেছেন তা তাঁরা দেখেছেন। কিন্তু তাঁদেরও (নৌকা) ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে। কমিশন তাঁদের ডেকেছে। যুবলীগের লিফলেট বিতরণের কারণে তাঁদের কমিশন চাপ দিয়েছে।
এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনো প্রার্থীই আমাদের কাছে আলাদা নয়। হাতপাখার প্রার্থীর শোভাযাত্রার বিষয়টি দৃষ্টিতে এলে তাঁকে শোকজ করা হয়েছে। অন্য প্রার্থীরাও আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ফুল ছিটিয়ে ব্যান্ড পার্টি বাজিয়ে দোয়া-মিলাদ অনুষ্ঠানে বরণ করা হলো সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা এবং জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে তিনি নগরের অক্সফোর্ড মিশন এলাকায় সিটি নির্বাচনে লাঙল প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসের বাসায় আসেন।
এর আগে জি এম কাদেরের গাড়িবহরসহ নেতা-কর্মীদের মেট্রোপলিটন পুলিশ বিমানবন্দর এলাকায় আটকে দেয়। এ সময় সেখানে এক পথসভায় হাত উঁচিয়ে দলের মেয়র প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দেন জি এম কাদের। নির্বাচনী এলাকায় সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির প্রবেশকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল বলে মনে করে ইসি। সিটি নির্বাচনে প্রার্থিতা চূড়ান্ত না হলেও সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী এবং তাঁদের অনুসারীরা এভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যাচ্ছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল বিমানবন্দরে হেলিকপ্টারে পৌঁছান জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। পরে বিমানবন্দর এলাকায় এক পথসভায় অংশ নেন তিনি। এ সময় সঙ্গে ছিলেন সিটি নির্বাচনে লাঙলের মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস।
পথসভায় জি এম কাদের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সামনে সিটি নির্বাচন। ইনি (তাপস) কিন্তু এখনো প্রার্থী হননি। মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। সামনের সব নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। আমরা সরকারের কাজ দেখতে চাই, নির্বাচন কমিশনের কাজ দেখতে চাই।’ এ সময় তিনি দলের মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেনের হাত ধরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি লাঙল মার্কায় ভোট দিয়ে দেশ বাঁচানোর আহ্বান জানান।
পরে নেতা-কর্মী বেষ্টিত গাড়িবহরসহ নগরে ঢুকতে চাইলে বিপুল পরিমাণ পুলিশ বাধা দেয়। সেখানে কেবল জি এম কাদের এবং সফর সঙ্গীদের গাড়িতে করে যেতে দেওয়া হয়। কিন্তু মোটরসাইকেল বহর আটকে দেওয়া হয়। চলে পুলিশের তল্লাশি। নগরীর অক্সফোর্ড মিশন এলাকায় লাঙলের মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসের বাসার গলিতে জি এম কাদেরের গাড়ি ঢুকলে সেখানে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী, নারী-পুরুষ তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। গাড়িতে জি এম কাদেরের পাশে মেয়র প্রার্থী তাপসকে দেখা গেছে।
পরে প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসের বাসায় দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন জি এম কাদের। এ সময় সঙ্গে ছিলেন জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু, মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল প্রমুখ।
লাঙলের মেয়র প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনার প্রধান এজেন্ট অধ্যক্ষ মহসীন উল ইসলাম হাবুল বলেন, ‘আমরা কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি। বরং তাদের লোকজনকে পুলিশ হয়রানি করেছে। জাপা চেয়ারম্যান দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।’
যদিও গতকাল বুধবার রাতে সিটি নির্বাচনে বরিশালের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির এক চিঠিতে জি এম কাদেরকে সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে আচরণবিধি মানার তাগিদ দেন। মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস ইতিমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার অপসারণ চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর ডাকযোগে আবেদন করেছেন।
এর আগে শোভাযাত্রাসহ নগরে ঢোকায় হাতপাখার প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীমকে শোকজ করা হয়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, তিনি শুনেছেন যে জিএম কাদের নগরীতে এসেছেন। তিনি যেভাবে তাঁর দলীয় প্রার্থীর বাড়িতে এসেছেন, তা আচরণবিধি লঙ্ঘন।
অপরদিকে নৌকার প্রার্থীর অনুসারীরা লিফলেট বিতরণ করে এবং হ্যান্ড মাইকে নগরময় ভোট চাইছেন। এ প্রসঙ্গে নৌকার মেয়র প্রার্থীর দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত লস্কর নুরুল হক বলেন, জি এম কাদের নগরে তাঁর প্রার্থীর বাসায় এসেছেন তা তাঁরা দেখেছেন। কিন্তু তাঁদেরও (নৌকা) ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে। কমিশন তাঁদের ডেকেছে। যুবলীগের লিফলেট বিতরণের কারণে তাঁদের কমিশন চাপ দিয়েছে।
এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনো প্রার্থীই আমাদের কাছে আলাদা নয়। হাতপাখার প্রার্থীর শোভাযাত্রার বিষয়টি দৃষ্টিতে এলে তাঁকে শোকজ করা হয়েছে। অন্য প্রার্থীরাও আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগে