Ajker Patrika

ঝালকাঠির সাবেক পিপি-জিপিসহ ১৬ জনের সদস্যপদ বাতিল

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
আপডেট : ১৭ জুন ২০২৫, ২১: ২৩
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঝালকাঠি জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, সম্পাদক, পিপি, জিপিসহ ১৬ জন প্রবীণ আইনজীবীর সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। গত রোববার বিষয়টি লিখিত জানানো হলেও আজ মঙ্গলবার এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে আইনজীবীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

এর আগে গত ২২ এপ্রিল আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

বহিষ্কৃত ব্যক্তিরা হলেন অ্যাডভোকেট মো. মনজুর হোসেন, অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান রসুল (সাবেক পিপি), তপন কুমার রায় চৌধুরী (সাবেক জিপি), এম আলম খান কামাল, খান সাইফুল্লাহ পনির, মাহাবুবুর রহমান তালুকদার, জি কে মোস্তাফিজুর রহমান, আ স ম মোস্তাফিজুর রহমান (মনু), সঞ্জয় কুমার মিত্র, আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, মোর্শেদ কামাল তালুকদার, কার্তিক চন্দ্র দত্ত, সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর শামীম, তানজিলা হক, আবুল বাশার এবং এস এম রুহুল আমীন রিজভী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নাসিমুল হাসান বলেন, ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করি। ওই কমিটির প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিগত সরকারের সময় অনেক আইনজীবী নিপীড়িত হন এবং নির্বাচন থেকে বঞ্চিত হন। যাঁরা সেই দমন-পীড়নে জড়িত ছিলেন, তাঁদের তালিকা ধরে সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।’

মো. নাসিমুল হাসান আরও বলেন, অনেকে দীর্ঘদিন বার কার্যক্রমে অনুপস্থিত ও চাঁদা পরিশোধেও নিয়মিত নন। এ বিষয়গুলোও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

তবে আইনজীবী সমিতির ভর্তিবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আক্কাস সিকদার বলেন, ‘এ ধরনের সিদ্ধান্ত সাধারণ সভার মাধ্যমে হওয়া উচিত ছিল। ভিজিল্যান্স কমিটির মতামত ছাড়া কাউকে বহিষ্কার করা সমিতির নিয়মবহির্ভূত।’

কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনিসুর রহমান খান জানান, চিঠিতে বলা হয়েছে ‘সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত’, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের সিদ্ধান্ত সভায় তোলা হয়নি। সাধারণ সভায় আলোচনার জন্য বলা হয়েছিল।

অপর দিকে ক্ষোভ প্রকাশ করে অ্যাডভোকেট কার্তিক চন্দ্র দত্ত বলেন, ‘আমাদের সদস্যপদ অন্যায়ভাবে বাতিল করা হয়েছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

এদিকে বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের তালিকায় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী দুই আজীবন সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু ও ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরের নাম না থাকায় সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন জানান, গত বছর অন্তর্বর্তী কমিটির মাধ্যমে তাঁদের আজীবন সদস্যপদ ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। তাই নতুন তালিকায় তাঁদের নাম নেই।

শাহাদাৎ হোসেন আরও বলেন, শুধু আওয়ামীপন্থী নয়, বিভিন্ন অনিয়ম ও অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের পর্যায়ক্রমে বাদ দেওয়া হবে। তবে সবকিছুই কার্যনির্বাহী কমিটির সম্মতিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত