শরিফুল ইসলাম
আজকের পত্রিকা: করোনা সংক্রমণ কমে আসায় দেশের পর্যটন খাত কতটা চাঙ্গা হলো?
রাফিউজ্জামান: পর্যটন তখনই হয় যখন মানুষের হাতে পর্যাপ্ত সময় এবং অর্থ থাকে। আবার যৌক্তিক কিছু কারণে পর্যটন হয়। বিদেশি পর্যটকের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায় বলে এই পর্যটনে সবাই বিশেষ নজর দিয়ে থাকেন। বাংলাদেশও এতে নজর দিচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক বছর আগেই ভিজিট বাংলাদেশ ঘোষণা করা হয়। যাতে আমরা পর্যটকদের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি। এ জন্য বাংলাদেশকে বিদেশে ব্র্যান্ডিং করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
আজকের পত্রিকা: এই ব্র্যান্ডিংয়ের সুফল কেমন পাচ্ছেন?
রাফিউজ্জামান: ট্যুরিজম বোর্ড গঠন হওয়ার পর থেকে বিভিন্নভাবে ব্র্যান্ডিং করার প্রয়াস চালানো হচ্ছে। ট্যুরিজম বোর্ড গঠন হয়েছে ২০১০ সালে। দুই বছর মহামারি বাদ দিলে ১০ বছর আমরা বহির্বিশ্বে পর্যটনকে উপস্থাপন করতে পেরেছি। ১০ বছর পর্যটন শিল্পের জন্য খুবই অল্প সময়। কেননা পর্যটন খাতের প্রবৃদ্ধি খুব ধীরে হয়। এখন আমরা কষ্ট করে যাচ্ছি। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম হয়তো এর ফল ভোগ করতে পারবে। তবে এটুকু বলতে পারি, আমাদের প্রতিবেশী দেশের তুলনায় ব্র্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে নেই।
আজকের পত্রিকা: দেশের ব্র্যান্ডিংয়ের পাশাপাশি পর্যটন খাত সম্প্রসারণে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে?
রাফিউজ্জামান: আমরা পর্যটন শুরু করি কক্সবাজারে একটা পর্যটন স্পট বা গন্তব্য নিয়ে। বর্তমানে বাংলাদেশে পর্যটনের প্রায় ১২শ গন্তব্য রয়েছে। সুতরাং এ খাত সম্প্রসারিত হচ্ছে, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে পর্যটনশিল্প রাতারাতি গড়ে ওঠে না। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ পর্যটক করপোরেশন বিভিন্ন স্থানে অবকাঠামো তৈরি করে। হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট তৈরি করে পর্যটনের বিকাশের জন্য কাজ শুরু করে। পর্যটনের সঙ্গে ১১৯টি সাব সেক্টর জড়িত। দেশের ১৭টি মন্ত্রণালয় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। এখন যেকোনো পর্যটন এলাকা লোকে লোকারণ্য থাকে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো নতুন গন্তব্যগুলোতেও হাজার হাজার পর্যটক ভ্রমণ করছেন।
আজকের পত্রিকা: পর্যটন গন্তব্য বৃদ্ধি পাওয়ায় নিশ্চয়ই বিনিয়োগও অনেক বেড়েছে?
রাফিউজ্জামান: বাংলাদেশের মতো জায়গায় এখন হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে রিসোর্ট করা হয়। এখানে দামি রিসোর্টগুলোতে রুম পেতে চাইলে অনেক দিন আগে বুকিং দিয়ে রাখতে হয়। উদাহরণস্বরূপ—সিলেট কিংবা বান্দরবানের দামি রিসোর্টগুলোতে রুমের ভাড়া প্রতি রাতের জন্য ১০ হাজার টাকার বেশি। বর্তমানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৪০ লাখ মানুষ পর্যটনের সঙ্গে জড়িত। তারা সরাসরি পর্যটনশিল্পে অবদান
রেখে যাচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: বিনিয়োগ বাড়ার কারণ কি বিদেশি পর্যটক আকর্ষণ?
রাফিউজ্জামান: শুধু বিদেশি পর্যটকের জন্য কেউ কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে না। দেশি পর্যটকের কারণেই মূলত বিনিয়োগকারী টাকাটা বিনিয়োগ করে হোটেল, মোটেল বা ক্রজশিপ তৈরি করেন। তাই দেশি পর্যটকদের চাহিদা বিবেচনা করেই তাঁরা বিনিয়োগ করেন। এ কারণে অভ্যন্তরীণ পর্যটনকে বলা হয় ভিত্তি মজবুত করার একমাত্র স্তম্ভ। দেশীয় পর্যটক যত বেশি বাড়বে, উদ্যোক্তারা তত বেশি বিনিয়োগ করে এ খাতকে সাজাবেন। ওই সাজানো গোছানোতেই বিদেশি পর্যটকেরা এসে অংশগ্রহণ করে পর্যটন শিল্পকে সার্থক রূপ দেবেন।
আজকের পত্রিকা: দেশে বছরে কী পরিমাণ মানুষ ভ্রমণ করেন?
রাফিউজ্জামান: দেশের বিভিন্ন স্থানে বছরে প্রায় দুই কোটির বেশি দেশি পর্যটক ভ্রমণ করেন। আর বিদেশি পর্যটক আসেন প্রায় ৫ লাখ। এই পর্যটকের মধ্যে বিজনেস ট্রাভেলাররাও অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে দেশি পর্যটকেরা বেশি যান সমুদ্রতীরে। আবার সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ যাচ্ছেন পাহাড়ে। অর্থাৎ যে অঞ্চলে যে জায়গাটি নেই সেই অঞ্চলের মানুষ সেটি দেখতে ভ্রমণ করছেন। বলা হয়ে থাকে, পর্যটক মানেই হচ্ছে অজানাকে জানা। কেউ যদি ২৪ ঘণ্টার অধিক সময় কোথাও অবস্থান করেন, তাঁকেই পর্যটক বিবেচনা করা হয়।
আজকের পত্রিকা: শোনা যাচ্ছে এ মাসেই পর্যটন মেলা হবে?
রাফিউজ্জামান: বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আমাদের আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা শুরু করব ৩০ মার্চ, শেষ হবে ১ এপ্রিল। দুই বছর ট্যুর অপারেটররা কোনো ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেননি। তাই সামনের ছুটির সময় উপলক্ষে ট্যুর অপারেটররা যেন তাদের প্যাকেজ বিক্রি করতে পারেন, সেই উদ্দ্যেশ্যে মেলা আয়োজন করতে যাচ্ছি।
আজকের পত্রিকা: করোনা সংক্রমণ কমে আসায় দেশের পর্যটন খাত কতটা চাঙ্গা হলো?
রাফিউজ্জামান: পর্যটন তখনই হয় যখন মানুষের হাতে পর্যাপ্ত সময় এবং অর্থ থাকে। আবার যৌক্তিক কিছু কারণে পর্যটন হয়। বিদেশি পর্যটকের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায় বলে এই পর্যটনে সবাই বিশেষ নজর দিয়ে থাকেন। বাংলাদেশও এতে নজর দিচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক বছর আগেই ভিজিট বাংলাদেশ ঘোষণা করা হয়। যাতে আমরা পর্যটকদের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি। এ জন্য বাংলাদেশকে বিদেশে ব্র্যান্ডিং করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
আজকের পত্রিকা: এই ব্র্যান্ডিংয়ের সুফল কেমন পাচ্ছেন?
রাফিউজ্জামান: ট্যুরিজম বোর্ড গঠন হওয়ার পর থেকে বিভিন্নভাবে ব্র্যান্ডিং করার প্রয়াস চালানো হচ্ছে। ট্যুরিজম বোর্ড গঠন হয়েছে ২০১০ সালে। দুই বছর মহামারি বাদ দিলে ১০ বছর আমরা বহির্বিশ্বে পর্যটনকে উপস্থাপন করতে পেরেছি। ১০ বছর পর্যটন শিল্পের জন্য খুবই অল্প সময়। কেননা পর্যটন খাতের প্রবৃদ্ধি খুব ধীরে হয়। এখন আমরা কষ্ট করে যাচ্ছি। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম হয়তো এর ফল ভোগ করতে পারবে। তবে এটুকু বলতে পারি, আমাদের প্রতিবেশী দেশের তুলনায় ব্র্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে নেই।
আজকের পত্রিকা: দেশের ব্র্যান্ডিংয়ের পাশাপাশি পর্যটন খাত সম্প্রসারণে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে?
রাফিউজ্জামান: আমরা পর্যটন শুরু করি কক্সবাজারে একটা পর্যটন স্পট বা গন্তব্য নিয়ে। বর্তমানে বাংলাদেশে পর্যটনের প্রায় ১২শ গন্তব্য রয়েছে। সুতরাং এ খাত সম্প্রসারিত হচ্ছে, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে পর্যটনশিল্প রাতারাতি গড়ে ওঠে না। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ পর্যটক করপোরেশন বিভিন্ন স্থানে অবকাঠামো তৈরি করে। হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট তৈরি করে পর্যটনের বিকাশের জন্য কাজ শুরু করে। পর্যটনের সঙ্গে ১১৯টি সাব সেক্টর জড়িত। দেশের ১৭টি মন্ত্রণালয় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। এখন যেকোনো পর্যটন এলাকা লোকে লোকারণ্য থাকে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো নতুন গন্তব্যগুলোতেও হাজার হাজার পর্যটক ভ্রমণ করছেন।
আজকের পত্রিকা: পর্যটন গন্তব্য বৃদ্ধি পাওয়ায় নিশ্চয়ই বিনিয়োগও অনেক বেড়েছে?
রাফিউজ্জামান: বাংলাদেশের মতো জায়গায় এখন হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে রিসোর্ট করা হয়। এখানে দামি রিসোর্টগুলোতে রুম পেতে চাইলে অনেক দিন আগে বুকিং দিয়ে রাখতে হয়। উদাহরণস্বরূপ—সিলেট কিংবা বান্দরবানের দামি রিসোর্টগুলোতে রুমের ভাড়া প্রতি রাতের জন্য ১০ হাজার টাকার বেশি। বর্তমানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৪০ লাখ মানুষ পর্যটনের সঙ্গে জড়িত। তারা সরাসরি পর্যটনশিল্পে অবদান
রেখে যাচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: বিনিয়োগ বাড়ার কারণ কি বিদেশি পর্যটক আকর্ষণ?
রাফিউজ্জামান: শুধু বিদেশি পর্যটকের জন্য কেউ কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে না। দেশি পর্যটকের কারণেই মূলত বিনিয়োগকারী টাকাটা বিনিয়োগ করে হোটেল, মোটেল বা ক্রজশিপ তৈরি করেন। তাই দেশি পর্যটকদের চাহিদা বিবেচনা করেই তাঁরা বিনিয়োগ করেন। এ কারণে অভ্যন্তরীণ পর্যটনকে বলা হয় ভিত্তি মজবুত করার একমাত্র স্তম্ভ। দেশীয় পর্যটক যত বেশি বাড়বে, উদ্যোক্তারা তত বেশি বিনিয়োগ করে এ খাতকে সাজাবেন। ওই সাজানো গোছানোতেই বিদেশি পর্যটকেরা এসে অংশগ্রহণ করে পর্যটন শিল্পকে সার্থক রূপ দেবেন।
আজকের পত্রিকা: দেশে বছরে কী পরিমাণ মানুষ ভ্রমণ করেন?
রাফিউজ্জামান: দেশের বিভিন্ন স্থানে বছরে প্রায় দুই কোটির বেশি দেশি পর্যটক ভ্রমণ করেন। আর বিদেশি পর্যটক আসেন প্রায় ৫ লাখ। এই পর্যটকের মধ্যে বিজনেস ট্রাভেলাররাও অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে দেশি পর্যটকেরা বেশি যান সমুদ্রতীরে। আবার সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ যাচ্ছেন পাহাড়ে। অর্থাৎ যে অঞ্চলে যে জায়গাটি নেই সেই অঞ্চলের মানুষ সেটি দেখতে ভ্রমণ করছেন। বলা হয়ে থাকে, পর্যটক মানেই হচ্ছে অজানাকে জানা। কেউ যদি ২৪ ঘণ্টার অধিক সময় কোথাও অবস্থান করেন, তাঁকেই পর্যটক বিবেচনা করা হয়।
আজকের পত্রিকা: শোনা যাচ্ছে এ মাসেই পর্যটন মেলা হবে?
রাফিউজ্জামান: বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আমাদের আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা শুরু করব ৩০ মার্চ, শেষ হবে ১ এপ্রিল। দুই বছর ট্যুর অপারেটররা কোনো ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেননি। তাই সামনের ছুটির সময় উপলক্ষে ট্যুর অপারেটররা যেন তাদের প্যাকেজ বিক্রি করতে পারেন, সেই উদ্দ্যেশ্যে মেলা আয়োজন করতে যাচ্ছি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪