Ajker Patrika

১ মাসে নিবন্ধনের আড়াই গুণ টিকাদান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ১৩
১ মাসে নিবন্ধনের আড়াই গুণ টিকাদান

রানু ভেরোনিকা কস্তাকে দিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতে শুরু হয় দেশে টিকাদান কার্যক্রম। টিকাসংকটে কয়েক মাস স্থবিরতা দেখা দিলেও জুন থেকে চলছে পুরোদমে। বিশেষ করে দুই দফা গণটিকায় ১ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষকে দুই দিনে টিকার আওতায় আনায় জটিলতা কেটেছে অনেকটা। একই সঙ্গে নিয়মিত টিকাদানেও গতি আসায় শুধু নভেম্বরেই টিকা পেয়েছেন প্রায় ৩ কোটি মানুষ।

যদিও নিবন্ধনের মাধ্যমে টিকা পাওয়ার হার এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। সরকারের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৪২ দশমিক ৯৯ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজের টিকা পেলেও দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন অর্ধেকের কিছু বেশি–২৭ দশমিক ১৮ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবার আগে নিবন্ধিতদের টিকা নিশ্চিত করতে হবে। নিবন্ধন করেও যেন কাউকে টিকার অপেক্ষায় থাকতে না-হয়।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের তথ্যানুযায়ী, নভেম্বরে টিকার জন্য সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করেন ১ কোটি ৩৬ লাখ ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ।

সেখানে টিকা পেয়েছেন দ্বিগুণের বেশি। এই মাসে দেশব্যাপী গণটিকা না-হলেও স্কুলশিক্ষার্থী, বস্তিবাসী ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে কয়েক দিন বিশেষ ক্যাম্পেইন করায় টিকা নেওয়ার হার বেড়েছে। ফলে শুধু নভেম্বরেই দেশে টিকা পেয়েছেন ২ কোটি ৮৬ লাখ ৯ হাজার ৪১২ জন। তবে প্রথম ডোজের তুলনায় অনেক কম দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় ডোজ। প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২ কোটি ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৯১ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৮০ লাখ ৩০ হাজার ৫২১ জন। গতকাল রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা দিবসের আলোচনা সভায় এ এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কেনা ও উপহার মিলিয়ে ৩১ কোটি ৫৩ লাখ ৫৭ হাজার ১০ ডোজ টিকা পাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। এখন পর্যন্ত পাওয়া টিকার মধ্যে ৩৪ শতাংশই বিভিন্ন দেশ থেকে কেনা। এ ছাড়া টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে কেনা ৩৩ ভাগ, একই মাধ্যমে অনুদান হিসেবে ২৮ ভাগ এবং বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছে ৫ ভাগ টিকা। এসব টিকার মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভারতের সেরাম উৎপাদিত কোভিশিল্ডের টিকা এসেছে ২০ ভাগ, সিনোফার্ম ৩৬ ভাগ, সিনোভ্যাক ২৫ ভাগ, ফাইজার ১৪ ভাগ এবং মডার্না ৫ ভাগ।

স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, ‘আমরা চাই, ডিসেম্বরের মধ্যেই অর্ধেক মানুষের টিকা নিশ্চিত করতে। এ জন্য হাসপাতালের পাশাপাশি সারা দেশের প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকও ব্যবহার করা হচ্ছে। আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে দেশের সব মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত