নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নে নিখোঁজ এক স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের কয়েক ঘণ্টা পর সে আত্মহত্যা করছে। প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় সে আত্মহত্যা করেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে চরপার্বতী ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপাড়ার পাখি মিয়ার বাড়ি থেকে পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহত ইয়াসমিন আক্তার (১৬) উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবির আলী মিয়াজীবাড়ির আব্দুল হাকিমের মেয়ে এবং স্থানীয় কদমতলা এএসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিকেল থেকে ইয়াসমিন নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনায় তার পরিবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। রাতে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে রাত ১২টার দিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর রাতে নিজের বাড়িতে না গিয়ে নানাবাড়িতে যায় ইয়াসমিন। সেখানে নানার পরিবারের সদস্যদের অজান্তে গভীর রাতে শয়নকক্ষে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ার কারণে কয়েক দিন ধরে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ইয়াসমিনের মনোমালিন্য চলছিল। ওই ঘটনার জেরে সে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা তাদের।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, পারিবারিক বিভিন্ন মনোমালিন্য থেকে আত্মহত্যার এ ঘটনা ঘটেছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।