মেহেরপুরের গাংনীর দুটি সীমান্ত দিয়ে ৬০ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার কাজীপুর সীমান্তের আন্তর্জাতিক পিলার ১৪৭ মেইন পিলারের কাছ দিয়ে ৩০ জনকে ফেরত পাঠানো হয়। এঁদের মধ্যে ছয়জন তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়া উপজেলার কাথুলী সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১৩৩/৩-এসের কাছ দিয়ে আরও ৩০ জন ফিরে আসেন।
হস্তান্তরকৃতদের মধ্যে রয়েছেন মো. সবুর আলী (৪০), হনুফা খাতুন (২৭), নাসিমা খাতুন (৩৫), রাখি বেগম (৫০), মো. ইয়াদুন (৩৮), মো. আল আমিন (৩১), জবা আক্তার (২৩), ইয়াসমিন বেগম (২১), শাহাদাত হোসেন (২৭), কোহিনুর আক্তার (৩৩), মো. মনির হোসেন (৩৫), কুলসুম খাতুন (৫৯), নজরুল ইসলাম (৪৮), লক্ষ্মী বেগম (৪২), তাসলিমা খাতুন (৪৫), মারজিদ আলী (৪৫), মারুফা খাতুন (২৯), মুন্নি সুলতানা (২৫), মোহাম্মদ আলাউদ্দিন (২৭), সুমন হোসাইন (৩০), মো. সাইম (১৯), কোহিনুর খাতুন (৩০), মোহাম্মদ নুর ইসলাম (২৪), জরিনা খাতুন (৩৬), রহিম খান (২০), আরিফুল ইসলাম (২৭) ও নুসরত খাতুন (১৯)।
পতাকা বৈঠকে কাজীপুর বিজিবির পক্ষ থেকে গাংনীর কাজীপুর বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার শাহাবুদ্দিন এবং ভারতের পক্ষ থেকে ১১ গান্দিনা বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার এবিসন ফ্রান্কোসহ বিজিবি ও বিএসএফের বিভিন্ন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া আরেকটি পতাকা বৈঠকে কাথুলী বিজিবির পক্ষ থেকে কাথুলী বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মো. মিজানুর রহমান ও বিএসএফের পক্ষ থেকে তেইমপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অনোজ কুমারসহ বিজিবি ও বিএসএফের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি সূত্র জানায়, হস্তান্তরকৃতদের বাড়ি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়। তাঁরা বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে দালালের মাধ্যমে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। তাঁরা ভারতে শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পরে পুলিশ তাঁদের আটক করে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। তাঁদের সবাইকে গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কাজীপুর বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার শাহাবুদ্দিন বলেন, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ৩০ জন বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। পরে তাঁদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। কাথুলী বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মো. মিজানুর রহমান বলেন, হস্তান্তরকৃত ৩০ জনকে আইনি প্রক্রিয়ার শেষে গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গাংনী থানার তদন্ত (ওসি) আল মামুন জানান, গাংনীর কাজীপুর ও কাথুলী বিজিবির সদস্যরা মোট ৬০ জনকে গাংনী থানায় হস্তান্তর করেছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে হস্তান্তর হওয়া ব্যক্তিদের তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।