মিয়ানমার থেকে আবারও একটি গুলি এসে সীমান্তবর্তী কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নে বসতঘরে পড়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আমতলী এলাকার বাসিন্দা আইয়ুব ইসলামের বসতঘরের টিনের চালা ভেদ করে গুলিটি। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে মিয়ানমার থেকে আসা দুটি গুলি একই ইউনিয়নের তেচ্ছি ব্রিজ সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় পড়ে। এতে ছেনুয়ারা (২৭) নামের এক নারী গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ চলছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় চলমান ওই সংঘর্ষে গুলি ছোড়া হয়, যা বাংলাদেশে এসে পড়ছে।
সর্বশেষ গুলির বিষয়ে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, ‘মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে ছোড়া একটি গুলি স্থানীয় একটি বাড়িতে এসে পড়েছে। ভাগ্যক্রমে কেউ হতাহত হননি। তবে সীমান্তের মানুষজন আতঙ্কে রয়েছেন।’
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মো. রাব্বি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে সীমান্তের দিক থেকে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই। কিছুক্ষণ পর ঘরের টিনের চালে কিছু একটা পড়ার শব্দ পাই। বাইরে গিয়ে দেখি, টিন ছিদ্র হয়ে গেছে। পরে ঘরের দেয়াল থেকে গুলিটি উদ্ধার করি। আমাদের বাড়ি সীমান্ত থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে। এত দূর থেকেও গুলি এসে লাগায় আমরা ভয়ে আছি।’
হোয়াইক্যং ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু বলেন, ‘আমতলী গ্রামের আইয়ুব ইসলামের বাড়িতে গুলি এসে পড়েছে বলে জেনেছি। ভাগ্যক্রমে কেউ আহত হননি। সীমান্তে প্রায়ই এমন গোলাগুলির ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। এ ধরনের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সীমান্তবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি ও নিরাপত্তা জোরদার করা প্রয়োজন।’
গতকালের ঘটনার বিষয়ে জানা গেছে, ওই দিন বিকেলে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। কিছু সময় পর ওপার থেকে ছোড়া দুটি গুলি হোয়াইক্যং ইউনিয়নের তেচ্ছি ব্রিজ এলাকার বসতবাড়ি ও কম্পিউটারের দোকানে এসে পড়ে। এতে ঘরের টিন ও দেয়াল ছিদ্র হয়ে যায়। এর মধ্যে একটি গুলিতে ছেনুয়ারা নামের এক নারী আহত হন। ঘটনার পর সীমান্ত এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় অনেক পরিবার শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেন।