হোম > শিক্ষা > ক্যাম্পাস

শিক্ষার আলো জ্বালাচ্ছে বাটারফ্লাই স্কুল

সাকিবুল হাসান

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে মো. ওমর ফারুক সম্রাট। ছবি: সংগৃহীত

যেখানে শিশুরা হাসে, স্বপ্ন দেখে, কিন্তু শিক্ষার আলো পৌঁছায় না, সেখানে কিছু মানুষ নিজ উদ্যোগে নতুন আলো জ্বালায়। ফরিদপুরের মধুখালী থেকে ঢাকার হাজারীবাগ পর্যন্ত বিস্তৃত বাটারফ্লাই স্কুল সেই আলোর নাম। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করাই এই স্কুলের মূল লক্ষ্য।

স্কুলটির প্রধান সমন্বয়ক মো. ওমর ফারুক সম্রাট। ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে কয়েকজন বন্ধু মধুখালীর গ্রামে বেড়াতে গিয়ে দেখেন, অনেক শিশু স্কুলে যায় না। পরিবারগুলো কৃষিকাজে ব্যস্ত। দারিদ্র্য ও অক্ষরজ্ঞানহীনতার কারণে শিশুরা শিক্ষা এবং তাদের অধিকারসচেতন নয়। এ পরিস্থিতি দেখে সম্রাট ও তাঁর বন্ধুরা প্রথমে ১৫ শিশু ও ১৫ বয়স্ক শিক্ষার্থী নিয়ে ‘বাটারফ্লাই স্কুল ফর ডিপ রাইট চিলড্রেন’ চালু করেন। প্রথম পাঠদান হয় খোলা আকাশের নিচে, বাড়ির উঠানে। বর্তমানে স্কুলের দুটি শাখা রয়েছে ১. লক্ষণদিয়া, মধুখালী, ফরিদপুর; ২. কালুনগর, গোল্ডেন সিটি, হাজারীবাগ, ঢাকা। দুটি শাখায় মিলিয়ে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী নিয়মিত পড়াশোনা করছে।

স্কুল চালুর উদ্দেশ্য

বাটারফ্লাই স্কুলের মূল উদ্দেশ্য হলো সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার আলোতে আলোকিত করা। শিশু ও বয়স্ক—উভয়ে এখানে অক্ষরজ্ঞান শেখে। প্রধান সমন্বয়ক মো. ওমর ফারুক সম্রাট বলেন, ‘শিক্ষা হলো ছয়টি মৌলিক অধিকারের একটি। কোনো শিশু যেন শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয়, সেটিই আমাদের লক্ষ্য।’

শিক্ষার মান ও শ্রেণিকাঠামো

স্কুলে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পাঠ্যবই অনুযায়ী পড়ানো হয়। কেবল শিক্ষা নয়, এখানে খেলাধুলা থেকে শুরু করে নৈতিক শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক চর্চাও শিশুর সামগ্রিক বিকাশে অবদান রাখে। দক্ষতা উন্নয়নে ছবি আঁকা, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, টেইলারিং, ঠোঙা বানানো, বাটিক-বুটিক প্রশিক্ষণ, বিজ্ঞান প্রকল্প ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে।

সহযোগিতা ও ইতিবাচক দিক

স্থানীয় সমাজ ও অভিভাবকেরা স্কুলের বিভিন্ন কার্যক্রমে ভূমিকা রাখছেন। বিশেষ করে বাল্যবিবাহ রোধ; শিশুদের নিয়মিত স্কুলে পাঠানো; শিক্ষার প্রতি উৎসাহ দেওয়া; পরিষ্কার -পরিচ্ছন্নতা ও শিশুশ্রম প্রতিরোধ। গত ১০ বছরে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর বিনা মূল্যে পড়াশোনা করেছে। তাদের মধ্যে ৪২ জন মাধ্যমিক, ২৪ জন উচ্চমাধ্যমিক পাস এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে ১০ জন। একজন শিক্ষক বর্তমানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার হিসেবে কর্মরত। স্কুলের নিজস্ব স্থায়ী ভবন নির্মাণ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

দেশজুড়ে সম্প্রসারণ এবং সব সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে বিনা মূল্যে শিক্ষা ও সহযোগিতা দেওয়া। তারা UN SDG4 বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চায়। মো. ওমর ফারুক সম্রাট বলেন, ‘সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সবচেয়ে বড় আনন্দ। সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতায় আমরা আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারি।’

বিশ্বের ৫০ তরুণের একজন আমিমুল

সাইবার সুরক্ষায় শিক্ষার্থীদের পাশে আরাফাত চৌধুরী

জাককানইবি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নের প্রাণকেন্দ্র

উপকূলে আলো ছড়াচ্ছে রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার

টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে তাহিরপুর

কেন পড়ব পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ

নতুন ক্যাম্পাস, উন্নত সুযোগ ও বিশ্বমানের শিক্ষা

কৃষিতে স্বপ্ন বুনছেন নিশিতা নাজনীন নীলা

আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার পেলেন অর্ক রায়

তরুণদের উদ্দীপনায় মুখর গ্রিন ইউনিভার্সিটি