নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই ও চালককে ছুরিকাঘাতের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি কোথায় এবং কবে ঘটেছে সেই বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেনি।
শুক্রবার সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় ছিনতাইয়ের ভিডিওটি।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী বলেন, ‘প্রকাশিত ভিডিও দেখে মদনপুর সিএনজিস্ট্যান্ডসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আমাদের পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ওই অটোরিকশাটি বা ছিনতাইকারী চক্রের কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। থানায় এ-সংক্রান্ত কোনো অভিযোগও কেউ করেননি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কক্সবাজারগামী একটি বাসের যাত্রী নাজির উদ্দিন শাহ তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি প্রকাশ করেন। ভিডিওর ক্যাপশনে উল্লেখ করেন, ঘটনাটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর এলাকায় রাত ১২টা ২০ মিনিটে ধারণ করা হয়েছে।
প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, চলন্ত সিএনজির পেছনে এক ব্যক্তি ঝুলে আছেন। ভেতর থেকে দরজা খুলে দুই ব্যক্তি তাঁকে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি প্রকাশ করা ব্যক্তির দাবি, ঝুলে থাকা ব্যক্তিটি সিএনজিচালক। তাঁর অটোরিকশা ছিনতাইকারীদের থেকে রক্ষায় ঝুলে আছেন। আর ভেতর থেকে ছিনতাইকারীরা তাঁকে আঘাত করে যাচ্ছে।’
কাঁচপুর হাইওয়ে থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদ মোর্শেদ বলেন, ‘ভিডিওটি আমরা দেখেছি। তবে ঘটনাস্থল শনাক্ত করতে ও সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি। ঘটনাটি কবে এবং কোথায় ঘটেছে, তা যাচাই চলছে।’
তবে ভিডিওতে দেখা যায়, সিএনজি অটোরিকশাটি সড়কের একটি লেন পরিবর্তন করে সোজা এগিয়ে যাচ্ছে। কিছু দূর এগোতেই ওপরে সালাম স্টিলের একটি আলোকিত বিজ্ঞাপন দেখা যায়। রাস্তা এবং বিজ্ঞাপনস্থল দেখে পুলিশ কর্মকর্তারা ধারণা করছেন স্থানটি মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এবং সড়কটি চট্টগ্রামমুখী।
এর আগেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, চিটাগাং রোড এলাকায় রাতের আঁধারে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। প্রাইভেট কার থামিয়ে যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নেওয়ার ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে বাসযাত্রীদের মাধ্যমে।
এ ছাড়া গত বছরের ডিসেম্বরে মহাসড়কের সোনারগাঁ মোগড়াপাড়া এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের গাড়িতে হামলা চালিয়ে মোবাইল ও ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করলেও মহাসড়কে স্বস্তি ফেরেনি।