হংকং আর আফগানিস্তানকে হারিয়ে প্রত্যাশামতোই সুপার ফোরে উঠেছিল বাংলাদেশ। এই রাউন্ডেও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে হয়েছিল দুর্দান্ত শুরু। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে বোলাররা ভালো করলেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারে বাংলাদেশ। আর চোটের কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই দুই ম্যাচের একটিতেও খেলা হয়নি অধিনায়ক লিটন দাসের। এরপর আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজটিও টিভিতে দেখেছেন বাসায় বসে। তাঁর অনুপস্থিতিতে এই সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ।
অনেকেই বলেছেন অধিনায়ক লিটন থাকলে হয়তো এই সিরিজে ধবলধোলাই হতে হতো না বাংলাদেশকে। হতো কিনা, সে প্রশ্নে না গিয়ে খেলা মিস করার যন্ত্রণার কথা জানালেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে যখন আপনি ম্যাচ খেলতে পারবেন না এটা, কষ্টদায়ক। এটা শুধু এশিয়া কাপেই নয়, আমি যখন বাসা থেকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজও দেখেছি, সেটাও ছিল আমার জন্য কষ্টদায়ক।’
কেন কষ্টদায়ক চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর ব্যাখ্যাও দিলেন লিটন, ‘কষ্টদায়ক এ জন্য যে একজন প্লেয়ার ভালো ফর্মে ছিল, টুকটাক ভালো পারফর্ম করছিল এবং দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিল। সেখান থেকে (সরে এসে) বাসায় বসে খেলা দেখাটাও কষ্টদায়ক ব্যাপার।’ তবে লিটন এটাও বলছে ইনজুরির ওপর কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের ভাষায়, ‘এটা আপনাকে মেনে নিতেই হবে যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনার নিয়ন্ত্রণ নেই, বিশেষ করে ইনজুরি। তাই যে কোনো সময় যে কেউ ইনজুরিতে পড়তে পারে।’