অভিভাবকের অসতর্কতার কারণে দুই বছরের শিশু নাদিরা জান্নাতের হাত ভাতের ফুটন্ত গরম পানিতে পুড়ে গেছে। তিন দিন পর গতকাল মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুটিকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসেন অভিভাবকেরা।
দেরি করে শিশুটিকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন চিকিৎসকেরা। তারা বলেন, শিশুদের অসুস্থতা নিয়ে অবহেলা করা ঠিক নয়।
জানা গেছে, গত বুধবার সন্ধ্যায় নাদিরাকে পাশে বাসিয়ে চুলোয় ভাত রান্না করছিলেন মা ফাতেমা আক্তার। এক ফাঁকে ভাতের ফুটন্ত গরম পানিতে হাত ডুবিয়ে দেয় সে। এতে তার হাতের অনেকটা অংশ পুড়ে যায়। তাৎক্ষণিক সেই পোড়া হাতের চিকিৎসা না করিয়ে পুরাতন কাপড় দিয়ে বেধে রেখে দেওয়া হয়।
পরে অবস্থা খারাপ হতে থাকলে গতকাল শনিবার বেলা ২টার দিকে তাকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুর চিকিৎসা নিয়ে এমন অবহেলার কারণে নাদিরার মায়ের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকেরা। নাদিরার মা ফাতেমা আক্তার জানান, গত বুধবার সন্ধ্যায় ঘরে রান্না করার সময় নাদিরা ভাতের গরম পাতিলে হাত ডুবিয়ে দেয়। ফুটন্ত পানিতে হাত ডুবানোর ফলে পুড়ে যায় হাতের অনেকটা অংশ। কিন্তু বাড়িতে অনেক জরুরি কাজ থাকায় শনিবার হাসপাতালে নিয়ে এলাম।
মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আলমগীর হোসেন বলেন, শিশুটির হাত অনেকটা পুড়ে গেছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়েছি।