নেত্রকোনা মডেল থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ অজ্ঞান পার্টির দুই সদস্যকে আটক করেছে। গত মঙ্গলবার নেত্রকোনার শিমুলকান্দি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন-জেলার পূর্বধলা উপজেলার বহেরাকান্দা গ্রামের মিরাশ আলীর ছেলে আব্দুল মোতালেব (৪২) ও জেলা শহরের কুড়পাড় এলাকার চালু শেখের ছেলে আজিজুল হক (৩৪)।
আটককৃতদের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, প্রথমে আটককৃতরা ভিকটিম আব্দুল ওয়াহাবের সঙ্গে জেলার বাসিন্দা পরিচয়ে সখ্য গড়ে তোলে। পরে ভিকটিমকে অজ্ঞান করে ঢাকার কারওয়ান বাজার এলাকায় ফেলে রেখে চলে আসে তারা। এরপর মোবাইলে তার স্ত্রী কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে দুই দফায় নয় হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এ চক্রটি। এর আগে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে ভিকটিমের পরিবার। বিষয়টি আমলে নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় দুজনকে আটক করা হয়।
থানায় জিডি করা ভুক্তভোগীর ভাই আবুল খায়ের বলেন, গত দেড় মাস আগে আমার ভাই আব্দুল ওয়াহাব দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে মুন্সিগঞ্জ জেলায় কাজে যান। সেখান থেকে গত ২০ অক্টোবর বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। এদিন দুটি নম্বর থেকে ভাবির (ভিকটিমের স্ত্রী) মোবাইল নম্বরে কল আসলে ধরেননি। পরদিন সকাল ছয়টার দিকে আরেকটি নম্বর থেকে ফারুক পরিচয়ে ভাবিকে জানায় আব্দুল ওয়াহাব ঢাকার কাওরান বাজার মাছের আড়তের কাছে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। আরেকটি মোবাইল থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তি চিকিৎসার জন্য পাঁচ হাজার দাবি করেন। ভাবি এ কথা শুনে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠান।
তিনি আরও জানান, ঘটনার পর র্যাবের সহায়তা নিয়ে জানতে পারি মোবাইল নম্বর ব্যবহারকারী ব্যক্তিরা নেত্রকোনার শিমুলকান্দি টাওয়ারের অধীনে আছে। পরে নেত্রকোনা মডেল থানায় ডায়েরি করলে থানা-পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ গত মঙ্গলবার দুজনকে আটক করেছে। ভাইয়ের সন্ধান এখনো মেলেনি। নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দাকার শাকের আহমেদ দুই ব্যক্তিকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।