নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ সরকারি কলেজের শ্রেণি কক্ষ দখল করে বসবাস করার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। তিন বছর ধরে তিনি এই কক্ষে বসবাস করছেন। এ নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও অধ্যক্ষের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চান না। তবে শ্রেণি কক্ষটি স্টোররুম বলে দাবি করছেন কলেজের অধ্যক্ষ।
গত সোমবার সরেজমিন দেখা গেছে, মোহনগঞ্জ সরকারি কলেজের ফটকের অদূরেই শিক্ষকদের মিলনায়তন। পাশের কক্ষের বাইরে লেখা রয়েছে বাংলা বিভাগ। কক্ষটি বর্তমানে বন্ধ। জানালার কাচের ফাঁক দিয়ে দেখা যাচ্ছে কক্ষটিতে পর্দা টাঙানো রয়েছে। পর্দা টানলে ভেতরে বিছানাপত্র, টেবিলের ওপর খাবার রাখার পাত্র। সঙ্গে কিছু বই।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের মার্চে এ কলেজটি সরকারিকরণ হয়। ২০১৯ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন মো. আবুল হোসেন চৌধুরী। যোগদানের পর থেকে বাংলা বিভাগের একটি শ্রেণিকক্ষে তিনি বসবাস করছেন। শ্রেণি কক্ষ অধ্যক্ষের দখলে থাকায় বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হয় অন্য একটি ভবনে। বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে কানাঘুষা থাকলেও প্রকাশ্য কেউ কিছু বলতে চান না।
আইসিটি শিক্ষক মো. আল মামুন জানান, ‘শুরু থেকেই স্যার এই রুমে বসবাস করছেন। এটা সবারই জানেন। এখন ক্লাস শুরু হবে। তিনি বাসা খুঁজছেন। শিগগির ভাড়া বাসায় চলে যাবেন বলে শুনেছি।’
হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মো. ইমাম হাসান বলেন, ‘আগের অধ্যক্ষও এই কক্ষে থাকতেন। করোনার পর বাংলা বিভাগের ক্লাস এখনো শুরু হয়নি। তবে অনেকে এটা নিয়ে বিভিন্ন কথা বলেন। এ বিষয়টা স্যারকে জানান হয়েছে।’
অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘ওই কক্ষের বাইরে বাংলা বিভাগ লেখা থাকলেও এটা আসলে স্টোর রুম। এটা কোনো শ্রেণি কক্ষ নয়। তাই এই কক্ষে বসবাস করলেও ক্লাসের কোনো সমস্যা হয় না।’