নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে জুবায়ের (১৫) নামে এক কিশোরকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় রড গরম করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গত বুধবার ভুক্তভোগীর মামা মো. সুলেমান বাদী হয়ে প্রতিবেশী সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম গতকাল আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেশী এক তরুণীর সঙ্গে জুবায়েরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে সহিলদেও গ্রামে মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে যায় জুবায়ের।
ওই দিন রাতে মেয়ের মা-বাবা বাড়িতে ছিল না। এ সময় মেয়ের চাচা ও চাচাতো ভাইদের হাতে ধরা পড়ে সে। উত্তেজিত হয়ে তারা জুবায়েরকে মারধর করে। এ সময় লোহার রড গরম করে জুবায়েরের শরীরে অসংখ্য ছ্যাঁকা দেয় এবং পিটিয়ে একটি পা ভেঙে দেওয়া হয়।
আহত জুবায়েরের বিষয়ে গত শনিবার মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জান্নাতুন্নেছা চাঁদনি বলেন, জুবায়েরের পা ভেঙে গেছে। শরীরে অসংখ্য ছ্যাঁকার ক্ষত। বর্তমানে এখানেই চিকিৎসা নিচ্ছে। ভুক্তভোগীর মামা মো. সুলেমান বাদী হয়ে প্রতিবেশী সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে।
মামলা আসামিরা হলেন-সহিলদেও গ্রামের আক্কেব আলী (৬০), তার ছোট ভাই আক্কাছ আলী (৫০), আক্কেব আলীর ছেলে আজিজুল (৩০) ও মিজান (২৫), একই বাড়ির নুরুল আমিন (৪৫), মিরাশ আলী ফকির (৫৫) ও সমরুজ (৪০)।
তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। জুবায়ের সহিলদেও গ্রামের মৃত তাহের মিয়ার ছেলে।
সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম বলেন, মামলার পরপরই আসামিরা গা ঢাকা দিয়েছে। তবে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।