নেত্রকোনা সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়নে গ্রামীণ ব্যাংকের মাঠকর্মী নাজমা বেগমের বিরুদ্ধে ৬৫ জন গ্রাহকের প্রায় ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় উপস্থিত হয়ে গত বুধবার ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের টাকা দাবি করেছেন প্রতারিত গ্রাহকেরা।
এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ ব্যাংকের নেত্রকোনা সদর উপজেলার চল্লিশা শাখায় মাঠকর্মী হিসেবে জেলা শহরের সাতপই এলাকার বাসিন্দা আবদুস সালামের স্ত্রী নাজমা বেগম ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি যোগদান করেন।
প্রায় দুই বছর ধরে তিনি জেলা শহরের সাতপাই, চল্লিশা ইউনিয়নের আশপাশের এলাকায় হতদরিদ্র মানুষকে নিয়ে সমিতি গঠন করেন। পরে ব্যাংক থেকে ওই সমস্ত গ্রাহকের নামে ঋণ উত্তোলন করেন। তার ছেলের অসুস্থতার কথা বলে কৌশলে গ্রাহকদের কিছু টাকা দিয়ে বেশির ভাগ টাকা তিনি হাতিয়ে নেন। গ্রামীণ ব্যাংকের ৬৫ জন গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ৩৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি।
যার কাছ থেকে টাকা নিতেন অন্যজন যাতে না জানতে পারেন সে জন্য তিনি অনুরোধ করতেন। একপর্যায়ে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ নিয়ে গ্রাহকেরা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গত ১৬ সেপ্টেম্বর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এরপর থেকে তিনি কর্মস্থলে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকেন। গত বুধবার তদন্ত দল তাকে ব্যাংকের ওই শাখায় ডেকে আনে। খবর পেয়ে প্রতারিত গ্রাহকেরা ব্যাংকের ওই শাখায় জড়ো হন এবং পাওনা টাকা দাবি করেন।
গ্রামীণ ব্যাংক চল্লিশা শাখার মাঠকর্মী নাজমা বেগম টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি অসুবিধায় পড়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম। এ ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। দেখি কীভাবে কী করা যায়।
গ্রামীণ ব্যাংক চল্লিশা শাখার ব্যবস্থাপক মো. আতাউর রহমান বলেন, মাঠকর্মী নাজমা বেগম ব্যাংক থেকে গ্রাহকদের নামে ঋণ গ্রহণ করে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ জন্য ব্যাংকের কোনো দায় নেই।