একদিকে তীব্র গরম, অন্যদিকে বাড়ছে বিদ্যুৎবিভ্রাট (লোডশেডিং)। দিন-রাত সমানতালে বিদ্যুৎবিভ্রাট হওয়ায় সিলেটে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে। বিদ্যুৎবিভ্রাটের ফলে বেশি অসুবিধা হচ্ছে শিশু ও শিক্ষার্থীদের। রাতের বেলা ও ভোরের দিকে বিদ্যুৎ না থাকায় ঘুমের ব্যাঘাতের পাশাপাশি ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা।
সিলেট বিভাগীয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুতের চাহিদা বেশি ও জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ সংকটের কারণে সিলেটে এই লোডশেডিং দেখা দিচ্ছে। সিলেট বিভাগে ২৪০ থেকে ২৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। যার কারণে সিলেট বিভাগে ৩৬ শতাংশের মতো লোডশেডিং হচ্ছে। আর সিলেট জেলায় পাঁচটা বিদ্যুৎ অফিসে ১৪০ থেকে ১৫০ মেগাওয়াটের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ৯০ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। যার কারণে সিলেট জেলাতে ৪০ শতাংশের মতো লোডশেডিং হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ অফিস।
ঘন ঘন বিদ্যুৎবিভ্রাটের ফলে অফিস-আদালত ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কর্মজীবীরাও অস্বস্তিতে পড়েছেন। বিশেষ করে, দুপুরবেলায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় অফিস-আদালতে কাজের ব্যাঘাত ঘটছে। এতে হাজার হাজার টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার মুশাহিদ আলী জানান, বিদ্যুৎ বিল নেওয়ার সময় ঠিকই নেয়। কিন্তু পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। বারবার লোডশেডিংয়ের কারণে ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও বিপদে আছে। এভাবে লোডশেডিং হলে টিকে থাকা দায়।
সিলেট বিভাগীয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড অফিসের সহকারী প্রকৌশলী মো. জারজিসুর রহমান রনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ভারতের আদানি প্ল্যান্ট যেটা আছে, ওইটার একটা ইউনিট বন্ধ আছে। এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট নামে একটা প্ল্যান্ট আছে, ওইটাও বন্ধ। আশুগঞ্জের ৪০০ মেগাওয়াটের একটা প্ল্যান্ট আছে, ওইটাও বন্ধ। জ্বালানি স্বল্পতার কারণে বড়পুকুরিয়ার ওইটা তো বন্ধ আছে। এসব কারণে সারা দেশেই সমস্যা হচ্ছে। সিলেট বিভাগে প্রতিদিন ৩৬ শতাংশের মতো লোডশেডিং হচ্ছে। আর জেলায় ৪০ শতাংশের মতো লোডশেডিং হচ্ছে। এটি আরও তিন থেকে চার দিন চলমান থাকবে। জাতীয় সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।