রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সুইমিংপুল থেকে সায়মা হোসাইন নামের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচারের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৬ অক্টোবর) রাতে বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা বের হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হন। এ সময় তাঁরা ‘তুমি কে? আমি কে? সায়মা, সায়মা’, ‘বিচার চাই, বিচার চাই সায়মা হত্যার বিচার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। প্রতিবেদন লেখা চলাকালীন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলমান ছিল।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘আমরা সায়মা হত্যার বিচার না নিয়ে এখান থেকে যাব না। শুধু সায়মা নয়, এমন ঘটনা বারবার ঘটছে। প্রশাসন চায় আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়ি, তারপর তারা কথা বলবে। তারা এখনই আমাদের সামনে আসুক এবং নিশ্চিত করুক দ্রুত বিচার।’
রাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমরা সায়মা হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। কেন ফিটনেস পরীক্ষা ছাড়া তাকে সাঁতার কাটতে দেওয়া হলো, সেই প্রশ্নের জবাব চাই। প্রশাসনের অবহেলায় আমরা বারবার আমাদের ভাইবোনদের হারাচ্ছি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে শিক্ষার্থীদের কাছে ১৪ দিন সময় চেয়েছি।’
এর আগে আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে সাঁতার কাটতে যান সায়মা হোসাইন। পরে আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সায়মা হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর বাসা কুষ্টিয়ায়।