রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ৫১ বছর বয়সী শাহরিয়ার মোরশেদ খান। মোরশেদের চারটি কন্যাসন্তান রয়েছে। তাঁর বড় মেয়ে স্নাতক ফাইনাল বর্ষের শিক্ষার্থী।
মোরশেদ সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের (২০২০-২১ সেশন) শিক্ষার্থী।
মোরশেদ বলেন, ‘আমি বিবাহিত, আমার চারটি কন্যাসন্তান আছে। একটা মেয়ের বিয়ে দিয়েছি গত মাসে। সে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থী। আমি হবিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। অন্যদিকে আমার মেয়ের জামাই এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।’
মোরশেদ জানান, ১৯৯৯ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু পারিবারিক সমস্যার কারণে স্নাতক পরীক্ষার ঠিক আগের রাতে তাঁকে পড়ালেখা ছেড়ে বাড়ি ফিরতে হয়। এরপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করার পর তাঁর মনে হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা সনদ থাকা প্রয়োজন। পরে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আবার পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। ২০১৭ সালে এসএসসি ও ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দেন। তারপর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে রাবিতে পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হন।
মোরশেদ বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে একজন সংগ্রামী মানুষ। আমাকে যাঁরা চেনেন, তাঁরাও সংগ্রামী হিসেবেই চেনেন। এই বয়সে তরুণদের সঙ্গে নির্বাচন করতে যাচ্ছি।’
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কারণ সম্পর্কে মোরশেদ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো কীভাবে শিক্ষার্থীদের স্বার্থকে উপেক্ষা করে, তা খুব কাছ থেকে দেখেছি। নির্বাচিত হওয়ার পর তাদের কথার সঙ্গে কাজের কোনো মিল থাকে না। তাই একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকতে চাই, তাদের হয়ে কথা বলতে চাই।’
নিজের নির্বাচনী ইশতেহার প্রসঙ্গে মোর্শেদ বলেন, ‘আমার প্রধান লক্ষ্য থাকবে সেশনজট শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা, ডাইনিংয়ে খাবারের মান উন্নয়ন ও মূল্য কমানো এবং ক্যাম্পাসের রাস্তাঘাট সংস্কারের বিষয়ে কাজ করব।’