মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে গৌরীপুর থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের সঙ্গে টিকিট কাউন্টারে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। তবে রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, রেলওয়ের সার্ভারের নতুন দায়িত্বে আসা সহজ কোম্পানিই এসব সমস্যা সৃষ্টি করছে।
ভুক্তভোগী শরীফ আহমেদ লাবীব নামে একজন বলেন, ‘গত রোববার আমিসহ ১০-১২ জন গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনের টিকিট কাউন্টার থেকে ঢাকার আগাম টিকিট কাটি। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি গৌরীপুর জংশনে পৌঁছালে নির্ধারিত ‘ঝ’ বগিতে উঠে দেখেন তাঁদের সিটে অন্য যাত্রীরা বসে আছেন। পরে টিকিট মিলিয়ে দেখলেন বসা যাত্রীদের কাছেও একই টিকিট পাওয়া যায়।
ওই বগিতে গৌরীপুর থেকে ওঠা লিটু, সোহেল, রবিন, ফারুকসহ আরও ৩০ জন যাত্রী এ ধরনের প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি ট্রেনের পরিচালককে জানালে সমাধানে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। এটি কাউন্টারে থাকা লোকদের অবহেলা বলে মন্তব্য করেন ট্রেনের পরিচালক।’
গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার অখিল চন্দ্র দাস বলেন, ট্রেনের সার্ভারের নতুন দায়িত্বে আসা ‘সহজ কোম্পানি’ সব জটিলতা সৃষ্টি করছে। এ ধরনের ঘটনা এখন সারা দেশে প্রতিনিয়তই ঘটছে।
স্টেশন মাস্টার আরও বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কেবল আমি নই, বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগ বিব্রত অবস্থায় রয়েছে।’