এ বছর প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় গ্রামাঞ্চলের বিলগুলো পানিতে থই থই করছে। বিলে ফুটে রয়েছে শাপলা। এই ফুলের রূপে বিল যেন আরও অপরূপ হয়ে উঠেছে। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের নলবোনার বিলে দেখা মিলেছে শাপলা ফুলের। আর এসব ফুল তুলতে বিভিন্ন গ্রাম থেকে ছুটে আসছে শিশু-কিশোর ও মাঠে কাজ করতে আসা কৃষকেরা। সাপের ভয় থাকলেও পানিতে নেমে ফুল তুলছে তারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিলে অনেক পানি রয়েছে আর এই পানিতে শাপলা ফুটেছে। দেখতে খুব ভালো লাগছে। অনেকে এগুলো তুলে নিয়ে যাচ্ছে। সাধারণত এসব বিলে শাপলা ফুলের দেখা মেলে না। তবে এবার প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় এই বিলে শাপলার দেখা মিলেছে।
শাপলা তুলতে আসা কিশোর সিয়াম আহমেদ বলে, ‘এ বছর বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টিতে বিলের পানিতে অনেক শাপলা ফুল হয়েছে। বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ ফুল তুলতে আসছে। এর আগে এত ফুল এখানে কখনো দেখা যায়নি। আমরা মাঝেমধ্যে এখানে ফুল তুলতে আসি। সাপের দেখা পেয়েছি ফুল তুলতে গিয়ে। আমার গায়ের ওপর দিয়ে একটা সাপ চলে গিয়েছিল, তখন প্রচণ্ড ভয় পেয়েছিলাম।’
শাপলা তুলতে আসা তামিম আহমেদ নামের আরেক কিশোর বলে, ‘এই বিলে অনেকে ফুল তুলছে শুনে আমরা তিন-চারজন ফুল তুলতে গিয়েছিলাম। এখানে অনেক ফুল আছে। কোমরের ওপরে পানি আর সাপের ভয়। তবু সবাই আনন্দে ফুল তুলছে। শুনেছি, এই ফুলের ডাঁটা অনেকে খায়। কিন্তু আমরা এগুলো দিয়ে খেলাধুলা করব। আমাদের গ্রামাঞ্চলের মানুষ এগুলো খাওয়ার প্রক্রিয়া জানে না।’
মাঠে কাজ করতে আসা কৃষক মো. জাফার আলী বলেন, ‘নলবোনার বিলে অনেক মাছ হয়। এ বছর প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় মাছ আরও বেশি হয়েছে। আর এর সঙ্গে দেখা মিলেছে শাপলা ফুলের। অনেকে মাছ ধরার পাশাপাশি শাপলা ফুলও তুলে নিয়ে যাচ্ছে ছোট বাচ্চাকে দেওয়ার জন্য। আমি নিজেও আমার মেয়ের জন্য শাপলা ফুল তুলেছি। এগুলো দিয়ে সে খেলাধুলা করবে। কারণ, ছোট বাচ্চারা ফুল অত্যন্ত ভালোবাসে।’