মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে উত্তোলনকারীদের ধাওয়া দিয়েছে এলাকাবাসী। রোববার বিকেলে উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পারুরিয়া চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তারা দুটি বাল্কহেড জব্দ করে।
স্থানীয়রা জানান, বর্ষা ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে যমুনা নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে একটি তিনতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বহু বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
জানা গেছে, সরকারিভাবে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাহাতপুর এলাকায় বালু উত্তোলনের ইজারা দেওয়া হয়েছে। তবে ইজারাকৃত স্থানে বালু না কেটে উত্তোলনকারীরা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পারুরিয়া চর এলাকায় বাল্কহেড বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তুলছিল। খবর পেয়ে এলাকাবাসী একত্র হয়ে তাদের ধাওয়া দেয় এবং দুটি বাল্কহেড জব্দ করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এর আগেও এভাবে বালু কাটা হয়েছে। এতে নদীভাঙনে বসতঘর, মসজিদ ও কবরস্থান হারাতে হয়েছে। এখন আবার সেই অপচেষ্টা চলছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ইজারা দেওয়া হয়েছে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। অথচ তারা ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এসে বালু তুলছিল। এর ফলে পারুরিয়া গ্রামে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিয়ান নুরেন বলেন, যেখানে ইজারা দেওয়া হয়েছে, সেখানেই বালু কাটার অনুমতি আছে। অন্য কোনো জায়গায় বালু উত্তোলন বৈধ নয়। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।