ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার সকালে নগরীর দুর্জয় মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন। আন্দোলনের কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা মহাসড়কসহ শহরের বিভিন্ন সড়কে যানবাহন আটকা পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
আজ সকাল ১০টার দিকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দুর্জয় মোড়ে আসেন আন্দোলনকারীরা। সাড়ে ১০টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশসহ ভৈরব বাজার ও কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক ব্লকেড করেন তাঁরা।
ভৈরব পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম পাভেল বলেন, ‘সর্বস্তরের মানুষের আন্দোলনের ফলে ভৈরবকে ৬৫তম জেলা ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি হলেও পরে সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আজ আমরা জেলার দাবিতে মাঠে নেমেছি, ঘোষণা না আসা পর্যন্ত মাঠে আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
বাঁশগাড়ি জিল্লুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রায়হান বলে, ‘জেলার ঘোষণা দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে এসেছি। ব্লকেড কর্মসূচি পালন করতে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়েছি, যানবাহন যেন চলতে না পারে। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি।’
এই আন্দোলনে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী মো. শাহিন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন সুজন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবদল নেতা আলহাজ আল মামুন, গণঅধিকার পরিষদের নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল প্রমুখ। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে যোগ দেয়।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুহাদ রুহানী বলেন, ‘জেলার দাবিতে দুর্জয় মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলন চলাকালে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক ছিলাম। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি শবনম শারমিন বলেন, ‘সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা নিরবচ্ছিন্নভাবে মনিটরিং করেছি। কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা বা বিশৃঙ্খলা যাতে সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ছিল সর্বোচ্চ সতর্ক ও প্রস্তুত।’