ভোলার চরফ্যাশনে শিশুদের কোরআন শিক্ষার জন্য ব্যবহৃত একটি মক্তব ঘর দখল করে স্থানীয় যুবদলের নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চর কুকরী-মুকরী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত এই মক্তব ঘরটি।
মসজিদের সভাপতি আবু তাহের জানান, কুকরী-মুকরী ইউনিয়নের আমিনপুর গ্রামের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত কাকরাইল জামে মসজিদসংলগ্ন ঘরটি প্রায় ১০ বছর আগে ইউএনডিপি ও মুসলিম এইডের সহযোগিতায় নির্মাণ করা হয়। শুরু থেকেই মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন এখানে শিশু-কিশোরদের কোরআন শিক্ষা দিতেন।
আবু তাহের বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর থেকে সোহরাব রাঢ়ী, বনি আমিন, জাকির রাঢ়ী, জাকির হাওলাদার, বাবুল মুন্সী ও ইসমাইল সিকদারসহ স্থানীয় যুবদলের নেতা-কর্মীরা ঘরটি দখল করে বিএনপির রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাচ্ছেন। যেহেতু এটি একটি মক্তব ঘর, সেই কারণে তাঁদের নিষেধ করেছিলাম। তাঁরা বলেছিল মাঝেমধ্যে দলীয় কার্যক্রম চালাবেন। কিন্তু বর্তমানে একেবারেই মক্তবটি বন্ধ রয়েছে। এতে শিশুরা কোরআন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’
মসজিদের ইমাম ও মক্তবের পরিচালক মাওলানা জামাল হোসেন বলেন, ‘ঘরটি নির্মাণের পর থেকেই শিশুদের পাঠদান চলছিল। কিছু লোক ঘরটি দখল করে নেওয়ায় বর্তমানে কোরআন শিক্ষা বন্ধ রয়েছে। দ্রুত ঘরটি ফিরে পেতে চাই।’
তবে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কুকরী-মুকরী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রমিজ। তিনি দাবি করেন, কুকরী-মুকরিতে দুটি বাজার—মেইন কুকরী-মুকরী বাজার ও মৌলভী মাছঘাট—এ দুটি জায়গায় তাঁদের দুটি অফিস রয়েছে, কিন্তু মক্তবে কোনো অফিস নেই।
অন্যদিকে, দক্ষিণ আইচা থানা যুবদলের সভাপতি ইকবাল হাওলাদার জানান, যুবদলের নেতা-কর্মীরা মক্তব ঘর দখলের সঙ্গে জড়িত থাকলে, তাঁদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানতে চাইলে দক্ষিণ আইচা থানার ওসি মো. এরশাদুল হক ভুঁইয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে আমাকে কেউ কিছু বলেনি।’
এ বিষয়ে চরফ্যাশন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এমাদুল হোসেন জানান, খুব দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।