প্রথমবারের মতো ঢাকায় হতে যাচ্ছে আইকেএফ নারী কাবাডি বিশ্বকাপ। ২০২৫ সালের এই আসর ১৫ থেকে ২৫ নভেম্বর হবে মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী জাতীয় ইনডোর স্টেডিয়ামে। ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’—এর অংশ হিসেবে হতে যাওয়া নারী কাবাডির সবচেয়ে বড় আয়োজনে অংশ নেবে ১৪ দেশ।
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের ডাচ বাংলা ব্যাংক অডিটোরিয়ামে আজ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়েদের কাবাডি বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা জানানো হয়। বলা হয় প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি ও লক্ষ্য নিয়ে। এই প্রতিযোগিতা আয়োজনে ১০ কোটি ৪৪ লাখ টাকার বাজেট ধরা হয়েছে বলে জানান কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ। তিনি বলেন, ‘সরকারের যথেষ্ট সমর্থন আছে। সার্বিক বিষয়ে আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি।’ সরকারের কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা পাওয়ার আশা করছে কাবাডি ফেডারেশনের। বাকি টাকা স্পনসর থেকে জোগাড়ের আশার কথা জানালেন হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক।
২০১২ সালে প্রথমবারের মতো ভারতের পাটনায় হয়েছিল মেয়েদের কাবাডি বিশ্বকাপ। এরপরই দ্বিতীয় আসর হতে যাচ্ছে ঢাকায়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আসন্ন প্রতিযোগিতায় স্বাগতিক বাংলাদেশ ছাড়াও আর্জেন্টিনা, চাইনিজ তাইপে, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ইরান, ভারত, জাপান, কেনিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, নেপাল, থাইল্যান্ড, উগান্ডা এবং জাঞ্জিবা অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। স্ট্যান্ডবাই দল হিসেবে রাখা হয়েছে পাকিস্তান ও পোল্যান্ড।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) নির্বাহী পরিচালক কাজী নজরুল ইসলাম, কাবাডি ফেডারেশনের সহসভাপতি আইজিপি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোতাহের হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ।
নারী কাবাডির বিশ্বকাপ আয়োজনে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানালেন এএসসির নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম, ‘আমরা আন্তঃ মন্ত্রণালয় সভা করব সব বিভাগকে নিয়ে। সশস্ত্র বাহিনীর সাহায্য নেব। ইতিমধ্যে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তা আমরা নিয়েছি। এ ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিতে হবে; কারণ, খেলোয়াড়েরা সবাই নারী।’
আসন্ন এই প্রতিযোগিতাকে সামনে রেখে বিকেএসপিতে চলছে বাংলাদেশ নারী দলের প্রস্তুতি ক্যাম্প। প্রথম বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা পঞ্চম হয়েছিল। এবারের লক্ষ্য নিয়ে এস এম নেওয়াজ সোহাগ বললেন, ‘কাবাডির বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন পঞ্চম। দুই অথবা তিনে যাওয়ার সুযোগ আছে আমাদের। আমরা যেন সে জায়গায় যেতে পারি সে চেষ্টাই থাকবে।’