রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার বুকে দিনদুপুরে চলছিল প্রকাশ্যে বালু লুট। অবশেষে আজ শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলনের যন্ত্রপাতি জব্দ ও জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান মৃধা। আলমবিদিতর ইউনিয়নের পাইকান ডাক্তারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউএনও এক যুবককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকার জামায়াত নেতা মোকলেছুর রহমান ও বালু ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম মিলে দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা নদীর বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় হামিদুল ইসলাম রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে একইভাবে বালু উত্তোলন করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, তিস্তার ডান তীরে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। কাজের দায়িত্বে থাকা শ্রমিক বাদল চন্দ্র রায় জানান, মোকলেছুর নামের এক ব্যক্তি হামিদুলের মেশিন দিয়ে বালু তুলছেন। অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য রিপন মিয়া বলেন, ‘এখানে প্রায় দেড় লাখ সেফটি বালু তোলা হচ্ছে। এতে ফসলি জমি, তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্তত ৪০টি পরিবারের ঘরবাড়ি হুমকির মুখে পড়বে।’
জানতে চাইলে বালু ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক মামলা খেয়েছি, ব্যবসা বন্ধ ছিল। তাই আবার শুরু করেছি।’ পরে সাংবাদিককে ‘বিকাশ নম্বর দিতে’ বলেও বিব্রতকর প্রস্তাব দেন তিনি।
এ বিষয়ে ইউএনও মাহমুদুল হাসান মৃধা বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে যাই। বালু উত্তোলনের যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে এবং জড়িত একজনকে জরিমানা ও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’