কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ পৌর এলাকায় পুত্রবধূর পক্ষ নেওয়ায় ছেলের হাতে আব্দুল মালেক (৭৫) নামের এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে পৌর এলাকার ব্যাপারীবাড়ি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত মো. বাদল খুন হওয়া আব্দুল মালেকের তৃতীয় সন্তান। ঘটনার পর থেকেই বাদল পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২০ বছর আগে জাফরাবাদ ইউনিয়নের লুনার সঙ্গে বিয়ে হয় বাদলের। বাদল মাদকাসক্ত হওয়ায় স্ত্রী লুনার সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়াঝাঁটি হতো। তখন বাদলের বাবা আব্দুল মালেক পক্ষ নিতেন পুত্রবধূর। স্ত্রীর পক্ষ নেওয়ায় বাবার সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া করতেন বাদল। এ নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার সালিসও হয়।
পারিবারিক কলহে অতিষ্ঠ হয়ে কয়েক মাস আগে লুনা তাঁর বাবার বাড়িতে চলে যান। শুক্রবার দুপুরে বাদল তাঁর স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য বলেন বাবাকে। আব্দুল মালেক তাতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন বাদল। এতে গুরুতর আহত হন মালেক। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল মালেক মারা যান।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, দীর্ঘদিন ধরে বাবা-ছেলের পারিবারিক কলহ ছিল। সকালে বাদল তাঁর বাবাকে ছুরিকাঘাত করেন বলে তাঁরা শুনেছেন।
করিমগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ মাহবুব মুর্শেদ বলেন, বাদল পলাতক রয়েছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। মালেকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।