যশোরের বেনাপোল পৌর এলাকায় মিজানুর রহমান নামে এক কসাইকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা মিজানুরের ব্যবহৃত ছুরি দিয়েই গলা কেটে তাঁকে হত্যা করে। তিনি বেনাপোল পৌরসভার ছোট আঁচড়া গ্রামের হানিফ সরদারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মিজানুর প্রতি শুক্রবার বেনাপোল চেকপোস্টে গরুর মাংস বিক্রি করতেন। শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে অন্যান্য দিনের মতো তিনি বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু সময়মতো দোকানে না পৌঁছানোয় সহকর্মীরা তাঁকে বাড়িতে খুঁজতে আসেন। এ সময় তাঁর স্ত্রী বাড়ি দরজা খুলে উঠানে এসে দেখেন তাঁর স্বামীকে কে বা কারা গলা কেটে বাড়ির মধ্যে ফেলে রেখেছে।
পরে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গরু জবাইয়ে ব্যবহৃত মিজানের একটি ছুরি উদ্ধার করে। এ ছুরি দিয়েই তাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহতের ভাই জুলু মিয়া বলেন, ‘ভাই হত্যার বিচার চাই। বাড়ির মধ্যেই খুন। কেউ জানল না।’ পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদুজ্জামান বলেন, হত্যাকারীকে শনাক্তের চেষ্টা করছে পুলিশ। সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার তথ্য বলছে, এ নিয়ে গত তিন মাসে বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ পাঁচটি মরদেহ উদ্ধার করেছে। এসব ঘটনায় দুটি হত্যা মামলা ও তিনটি আত্মহত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।