টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পূর্বশত্রুতার জেরে হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে দুই নারীসহ চারজনকে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের বড়চালা গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাকিব নামের একজনকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখান থেকে আজ সকালে তাঁকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
আহত ব্যক্তিরা হলেন টাকিয়া কদমা গ্রামের হেলাল মিয়া, তাঁর স্ত্রী আখি আক্তার, ছেলে সাকিব ও তাঁর স্ত্রী সাদিয়া আক্তার। এই ঘটনায় হেলাল মিয়া বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন লতিফপুর ইউনিয়নের ছানোয়ার সিকদার, তাঁর ছেলে সিফাত সিকদার ও সিলু মিয়ার ছেলে আমজাদ মিয়া আঞ্জু।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দেড় বছর আগে পরকীয়া করতে গিয়ে সিফাত সিকদার এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়েন। এই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে সামাজিক সালিসও হয়। এর পর থেকে সাকিব ও তাঁর পরিবারের ওপর ক্ষুব্ধ হন সিফাত সিকদার। শনিবার দুপুরে হেলাল তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লতিফপুর বড় চালায় জ্বালানির লাকড়ি সংগ্রহে যান।
আসামিরা পূর্বশত্রুতার জেরে হকিস্টিক ও লাঠি নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালান। এ সময় এলোপাতাড়ি আঘাতে হেলাল, তাঁর ছেলে সাকিব ও স্ত্রীসহ অন্যরা আহত হন। তাঁদের মধ্যে ছেলে সাকিবের অবস্থা গুরুতর হলে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ রোববার সকালে সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে বলে হেলাল মিয়া জানিয়েছেন।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত ছানোয়ার সিকদার ও ছেলে সিফাত সিকদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁদের পাওয়া যায়নি।
মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সানাউল ইসলাম এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহত সাকিবের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।