দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স সন্দেহভাজন রোগী শনাক্ত করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থাকা ৬৭ বছরের একজনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স রোগের উপসর্গ ধরা পড়ে।
এটি দিনাজপুর জেলায় প্রথম অ্যানথ্রাক্স সন্দেহভাজন রোগী বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা মো. সোলায়মান হোসেন মেহেদী।
মো. সোলায়মান হোসেন মেহেদী জানান, উপজেলার একটি গ্রামের ৬৭ বছর বয়সী এক কৃষক ১৮ অক্টোবর জ্বর নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। সপ্তাহ পার হলেও তাঁর জ্বর না কমায় ও শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ পাওয়ায় তাঁকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রতিনিধি রোগের নমুনা সংগ্রহ করবেন বলে তিনি জানান।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরও জানান, আক্রান্তের বিবরণ থেকে জানা যায়, তিনি সাত দিন আগে একটি অসুস্থ গরু জবাই ও মাংস কাটাকাটি করেছিলেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, উপজেলায় কোনো পশু অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্তের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে আজ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজনের অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ পাওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, এটি সম্ভাব্য উপসর্গ মাত্র, নমুনা পরীক্ষার আগে অ্যানথ্রাক্স বলা ঠিক হবে না। তবে উপজেলার পার্শ্ববর্তী রংপুরে অ্যানথ্রাক্স রোগী বেশি থাকায় রংপুরের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোয় ২ হাজার পশুকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। আরও ভ্যাকসিনের চাহিদা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলায় একজনের অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা দিয়েছে বলে জেনেছি। অসুস্থ গরু জবাই রোধে মাংস প্রক্রিয়াজাতকারীদের নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়েছে।’ এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।