Ajker Patrika

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৪
আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

মেষ

আজ সকালে উঠেই মনে করবেন, আপনি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং সব কাজ ৫ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে। কাজের জায়গায় বসকে এমন কিছু বুদ্ধি দেবেন, যা শুনে তিনি প্রথমে চমকে যাবেন, তারপর ভাববেন—‘এটা কি সত্যিই কাজ করবে?’ উত্তর: হয়তো করবে না। তবে আপনার আত্মবিশ্বাস দেখে সবাই মুগ্ধ হবে। প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গী আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দেখে একটু ভয় পেতে পারে। বেশি উত্তেজিত হবেন না, নইলে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আবার দৌড় শুরু করে দেবেন! আজ ভুল করে ফ্রিজ খুলে লাইট নেভানোর জন্য সুইচ খুঁজতে পারেন!

বৃষ

দিনের শুরুতেই মন চাইবে, হয় কোথাও আরাম করে বসে শুধু ভালো ভালো খাবার খাওয়া যাক, নয়তো বালিশে মুখ গুঁজে ডুব দেওয়া যাক। যদি আজ অফিসের জরুরি মিটিংয়ের বদলে দুপুরবেলা পছন্দের রেস্টুরেন্টে বিরিয়ানি অর্ডার দেন, তবে সেটা সম্পূর্ণই গ্রহের দোষ। অর্থভাগ্য আজ বেশ ভালো, কিন্তু সেই টাকা দিয়ে হয়তো একটা বিশাল দামি চকলেট কিনবেন, যেটা খেতে গিয়ে আবার ডায়েটের কথা মনে পড়বে। প্রেমিকার/প্রেমিকের সঙ্গে আজ রোমান্টিক ডিনারে না গিয়ে বাড়িতে সিনেমা দেখতে বসুন। অন্যের প্লেট থেকে কিছু চুরি করতে যাবেন না, ধরা পড়ার চান্স ৯৯ শতাংশ।

মিথুন

আপনার ভেতরের দুই সত্তা আজ রিংয়ে নেমেছে বক্সিং লড়তে। এক মন বলছে, ‘আজ একটা বড় কাজ শেষ করি,’ আরেক মন বলছে, ‘ফেসবুকে এই নতুন মিমটা দেখতেই হবে।’ আজ একাই ১০ জনের কাজ করতে পারবেন, কিন্তু ভুলবশত এক জায়গায় বলার কথা আরেক জায়গায় বলে দেবেন। ফলে পরিচিতরা আজ একটু কনফিউজড থাকতে পারে। আজ এমন সব নতুন আইডিয়া নিয়ে আসবেন যে সহকর্মীরা ভাববে আপনি কোনো গোপন ডিটেকটিভ এজেন্সির জন্য কাজ করেন। চাবি বা মোবাইল—দুটোই আজ হারিয়ে ফেলার প্রবল যোগ।

কর্কট

আজ মন খুবই স্পর্শকাতর, মানে, কেউ যদি জিজ্ঞেস করে, ‘কেমন আছেন?’, আপনি সম্ভবত কাঁদতে শুরু করবেন। বাড়িতে থাকার জন্য আজ মন আঁকুপাঁকু করবে। আজ রান্নাঘরে রেসিপি নিয়ে নতুন কোনো পরীক্ষা করার প্রবল যোগ; যার পরিণতি হয়তো খুব একটা সুখকর হবে না। সন্ধ্যায় আপনার ‘ড্রামা কুইন/কিং’ মুড অন হবে। ছোট একটি ঘটনাকেও মহাকাব্যিক ট্র্যাজেডির মতো করে প্রেজেন্ট করবেন। পরিবারকে আজ একটু বেশি ভালোবাসা দিন, কিন্তু সেটার জন্য অতিরিক্ত কোনো পেমেন্ট করবেন না যেন! তরল পদার্থ থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন, নইলে আবেগ সামলাতে পারবেন না।

সিংহ

আজ মনে হবে আপনি একজন সেলিব্রিটি এবং বিশ্ববাসী আপনার দিকে তাকিয়ে আছে। যদি আজ কেউ প্রশংসা না করে, তবে আপনি নিজেই নিজেকে বাহবা দেবেন—তাতে দোষ নেই। অফিসে আজ এমন একটি প্রজেক্টে হাত দেবেন, যা দেখে সবাই বলবে, ‘এত সাহস!’ তবে আপনার নেতৃত্ব দেওয়ার এই ইচ্ছা আজ আপনাকে অনেক দূর নিয়ে যাবে। সন্ধ্যায় বন্ধুদের আড্ডায় মধ্যমণি হবেন, যদিও মাঝেমধ্যে আপনার গল্পে একটু অতিরিক্ত রং চড়াতে হতে পারে। আয়নার সামনে অতিরিক্ত সময় কাটালে দিনের জরুরি কাজগুলো মিস হতে পারে।

কন্যা

আজ ভেতরকার ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বাতিক’ জেগে উঠবে। মনে হবে পৃথিবীর সব ভুলত্রুটি, এলোমেলো জিনিসপত্র আজকেই ঠিক করে ফেলতে হবে। সঙ্গী যদি আজ আপনার ঘরে একটা সামান্য জিনিসও এদিক-ওদিক করে, তবে সেটা নিয়ে আপনার সঙ্গে মহাযুদ্ধ লেগে যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে আজ একাই সবার ভুল ধরবেন এবং তাদের কাজগুলোকেও নিখুঁত করে দেবেন। আপনার বিশ্লেষণ ক্ষমতা আজ তুঙ্গে, তাই অযথা কারও খুঁত বের করতে যাবেন না। কারও টেক্সট মেসেজের বানান ভুল দেখে আজ হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। মুরাদ টাকলাকেও নস্যি মনে হবে!

তুলা

আজ দিনের শুরুতেই দুটি অপশনের মধ্যে কোনটা ভালো, তা নিয়ে গভীর চিন্তায় ডুবে যাবেন। এটা কফি না চা? লাল জামা না নীল? এই নিয়ে ভাবতে ভাবতে দিনের অর্ধেকটা কেটে যেতে পারে। সম্পর্কের ক্ষেত্রে আজ বিচারপতি হিসেবে কাজ করবেন—দুজনের ঝগড়া মেটাতে গিয়ে শেষে নিজেই ঝামেলায় জড়িয়ে যেতে পারেন। তাই আজ সব বিষয়ে নিরপেক্ষ থাকুন, এমনকি যদি দুজন বন্ধুর মধ্যে চিপসের ভাগ নিয়ে বিবাদ হয়, তবুও। সন্ধ্যায় একটা দারুণ পার্টির দাওয়াত আসতে পারে। কোনো কঠিন সিদ্ধান্ত আজ সন্ধ্যার আগে নেবেন না, নইলে অনুশোচনায় ভুগতে হতে পারে।

বৃশ্চিক

আজ সারা দিন এমন একটি রহস্যময় হাসি নিয়ে ঘুরবেন যে সবাই ভাববে, আপনি নিশ্চয়ই কোনো গোপন ধনসম্পত্তির সন্ধান পেয়েছেন। আপনার তীব্র নজরদারি আজ আপনাকে অনেক সুবিধা দেবে, তবে মাঝেমধ্যে মনে হবে যে সবাই আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কর্মক্ষেত্রে কাজের গভীরতা দেখে অনেকেই ঈর্ষান্বিত হবে। আজ পুরোনো কোনো শক্রর সঙ্গে দেখা হতে পারে। তাকে দেখে হাসবেন না, শুধু একটি রহস্যময় হাসি দিন। পুরোনো প্রেমিকের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল আজ চেক করতে যাবেন না, নইলে সারা রাত ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে।

ধনু

আজ মনে হবে আপনি বিশ্বের সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি এবং সবার জন্য কিছু উপদেশ দিতে মুখিয়ে থাকবেন। কিন্তু কাউকে জ্ঞান দিতে যাবেন না। কারণ, আপনার বক্তব্য শুনে তারা হয়তো পৃথিবী গ্রহ ত্যাগ করার কথা ভাববে। কাজের ক্ষেত্রে আজ নতুন অ্যাডভেঞ্চার বা ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। কিন্তু যাওয়ার আগে ব্যাগ গোছাতে ভুলে যেতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে আপনার অতিরিক্ত স্বাধীনতা চাওয়ার মনোভাব দেখে সঙ্গী জিজ্ঞেস করতে পারে, ‘আপনি কি সত্যিই আছেন, না অন্য কোনো গ্যালাক্সিতে মন চলে গেছে?’ আজ নিজের ডায়েরিতে কিছু লেখার আগে দুবার চেক করুন, নইলে কাল সকালে নিজেই বুঝতে পারবেন না, কী লিখেছিলেন।

মকর

আজ আপনার কাছে মজার বিষয়ই হলো সময় নষ্ট করা। আজ অতিরিক্ত কাজের চাপে নিজেই নিজেকে মোটিভেট করবেন, ‘আর মাত্র ১২ ঘণ্টা! আর মাত্র ১২ ঘণ্টা কাজ করলেই আমি আজকের টার্গেট পূরণ করতে পারব।’ অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে আজ দারুণ সুযোগ আসবে, কিন্তু সেই টাকা খরচ করতে গিয়ে হাত কাঁপবে। সন্ধ্যায় যদি কেউ পার্টিতে যেতে ডাকে, তবে সম্ভবত বলবেন, ‘আমি এখন ভবিষ্যতের জন্য প্ল্যানিং করছি।’ অতিরিক্ত গম্ভীর থাকবেন না। মাঝেমধ্যে হাসতে শিখুন, এটা বিনা পয়সার বিনোদন।

কুম্ভ

আজ মানবজাতির উন্নতি নিয়ে ভাববেন, কিন্তু তার আগে নিজের ঘরটা পরিষ্কার করতে ভুলে যাবেন। মাথায় আজ এমন কিছু অদ্ভুত আইডিয়া আসবে, যা শুনলে মনে হবে, এগুলো সায়েন্স ফিকশন সিনেমা থেকে চুরি করা। বন্ধুমহলে আজ কদর বাড়বে। কারণ, আপনার যুক্তিবাদী ও ব্যতিক্রমী কথাগুলো সবাইকে চমকে দেবে। আজ যদি পোষা প্রাণী কথা বলতে পারত, তবে সে সম্ভবত আপনাকে জিজ্ঞেস করত, ‘আপনি কি ঠিক আছেন?’ বিদ্যুতের বিল বা পানির কলের দিকে নজর দিন। পৃথিবীর সব সমস্যা সমাধানের আগে নিজের সমস্যা মেটান।

মীন

আজ সারা দিন মেঘে মেঘে ভেসে বেড়াবেন। স্বপ্নে হয়তো দারুণ কোনো কাজ করছেন, কিন্তু বাস্তবে কফির কাপটা ভুল করে জুতা রাখার জায়গায় রেখে দিয়েছেন। দিনের বেলায় আপনার কল্পনা আজ এতটা জোরালো হবে যে মনে হবে পাশে বসা সহকর্মীটি হয়তো আসলে একটি জলহস্তী। সন্ধ্যায় আপনার সৃজনশীলতা বাড়বে, তাই আজ নতুন কিছু আঁকতে বা লিখতে বসুন। প্রেমিকার/প্রেমিকের সঙ্গে আজ রোমান্টিক কথোপকথন হবে, তবে শেষে ভুলে যেতে পারেন, কেন কথা শুরু করেছিলেন! আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রে সই করার আগে অন্তত তিনবার চেক করুন, নইলে সই করে হয়তো চাঁদের জমি কিনে ফেলবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চুল পড়া ঠেকাতে পারে রান্নাঘরের ৫ উপাদান

ফিচার ডেস্ক
চুল পড়া ঠেকাতে পারে রান্নাঘরের ৫ উপাদান

আগেকার দিনে ঘরের লম্বা চুলকে নারীর গৌরব বলে মনে করা হতো। চুল দেখেই বোঝা যায় আপনি নিজের প্রতি কতটা যত্নশীল। তবে কাজের চাপে অনেকেই পারলারে গিয়ে সময় নিয়ে চুলের যথাযথ যত্ন নিতে পারেন না। এর ওপর ধুলোবালি ও দূষণের প্রকোপ তো রয়েছেই। ফলে যত্নের অভাবে চুল ঝরতে থাকে। গোসলের আগে যদি আধাঘণ্টা সময় থাকে, তাহলে রান্নাঘরের কয়েকটি উপাদান দিয়েই চুল পড়ার সমস্যা ঠেকানো সম্ভব।

জেনে নিন রান্নাঘরে থাকা কোন কোন উপাদান চুল পড়ারোধে সহায়তা করে।

আদা

আদা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। অতিরিক্ত খুশকির কারণে যাঁদের চুল ঝরছে তাঁরা মাথার ত্বকে আদার রস ব্যবহার করতে পারেন। আদা কুচি করে কেটে নিন এবং এতে এক কাপ পানি যোগ করুন। এবার একটা হাঁড়িতে আদা মেশানো পানি ফুটতে দিন। পানির রং পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিন। রং পরিবর্তন হলে মিশ্রণটি ছেঁকে ঠান্ডা করে একটি স্প্রে বোতলে ভরে নিন। আপনার মাথার ত্বকে ও চুলের গোড়ায় এই মিশ্রণ ভালো করে স্প্রে করুন। এরপর ভালো করে ম্যাসাজ করে ৫ ঘণ্টা রাখুন। তারপর অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফল পেতে ২ দিন পর পর এই নিয়মে স্প্রে করুন।

লেবু

লেবুতে আছে ভিটামিন সি। এ ভিটামিন কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে, চুল স্বাস্থ্য়োজ্জ্বল রাখে ও চুল পড়া কমাতে সহায়তা করে। লেবু মাথার ত্বকের ময়লা ও জমে থাকা তেল পরিষ্কার করতে এবং খুশকি কমাতে কার্যকর। একটি তাজা অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করে তাতে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার চামচ দিয়ে নেড়ে একটি পাতলা পেস্ট তৈরি করুন। মাস্কটি আপনার চুলের গোড়ায় ও পুরো চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর একটি হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কটি অতিরিক্ত তেল, খুশকি, ময়লা দূর করবে এবং আপনার চুলের আর্দ্রতা ফেরাতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি চুল পড়াও কমবে। কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে সপ্তাহে একবার এটি ব্যবহার করুন।

পেঁয়াজের রস

চুল পড়া রোধে পেঁয়াজের রস খুব ভালো কাজ করে। শুধু তাই নয়, চুল গজাতেও পেঁয়াজের রসের জুড়ি নেই। পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে যা চুল ভাঙারোধ করে ও ঝরে যাওয়া প্রতিরোধ করে। পেঁয়াজের রস এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় চুলের অকাল ধূসরতাও বন্ধ করে। পেঁয়াজের রস ও জলপাই তেলের মিশ্রণ চুলে ব্যবহার করেও চুল পড়া রোধ করা যেতে পারে। ১ ভাগ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে দুই ভাগ জলপাই তেল মিশিয়ে মাথার ত্বক ও পুরো চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। তারপর আধাঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। খুশকি, চুল পড়া এবং চুলের অকাল ধূসর হয়ে যাওয়ার সমস্যা সমাধানে এটি খুব ভালো কাজ করে।

pexels-alex-pereyra-473897803-32074404

ডিম

ডিম আপনার চুলের খুব ভালো বন্ধু। এটি বায়োটিন ও ফোলেটের মতো প্রোটিনের ভালো উৎস, যা চুল মেরামত করে এবং পুষ্টি সরবরাহ করে। ডিমের কুসুম সরাসরি চুলে ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে নতুন চুল গজাবে। একটি বাটিতে দুই-তিনটি ডিমের কুসুম নিন এবং ২ টেবিল চামচ দই মিশিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা মধু যোগ করুন। পেস্টটি ভালো করে মিশিয়ে সরাসরি চুলে লাগান, গোড়ায় ব্যবহারের কথাও ভুলে যাবেন না। ৩০ মিনিট রেখে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

pexels-sunquan83-28039173

কারি পাতা

কারি পাতা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিভিন্ন খনিজ পদার্থের ভাণ্ডার, যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুব জরুরি। কারিপাতা ব্যবহারে চুল পড়া রোধ হয়। সরিষার তেল, কাঁচা নারকেল তেল ও কারি পাতার মিশ্রণ চুল পড়া রোধে দুর্দান্ত চিকিৎসা হতে পারে। এই তিনটি উপাদানের মিশ্রণ চুলের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে ও চুল সিল্কি রেখে মাথার ত্বকে পুষ্টির জোগান দিতে সাহায্য করবে। ভালো ফলাফলের জন্য এই মিশ্রণ রাতে চুলে লাগিয়ে রেখে সকালে ধুয়ে নিতে হবে।

সোর্স কী?

কমেন্ট

চুল পড়া রোধে প্রতি মাসে দুবার প্রোটিন ট্রিটমেন্ট করিয়ে নিতে হবে। ডিম ও টক দইয়ের মিশ্রণ দিয়ে ঘরেই প্রোটিন প্যাক তৈরি করে নেওয়া যায়। সেই সঙ্গে ভিটামিন ই ও ভিটামিন সিযুক্ত খাবার খেতে হবে। তিন মাস এভাবে চললে চুল পড়ার সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়ে যাবে ।

শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ এবং স্বতাধিকারী, বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রান্নাঘরের ৪ সরঞ্জাম থেকেই খাবারে ঢুকছে মাইক্রোপ্লাস্টিক, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
রান্নাঘরেই মাইক্রোপ্লাস্টিকের বিপদ। ছবি: সংগৃহীত
রান্নাঘরেই মাইক্রোপ্লাস্টিকের বিপদ। ছবি: সংগৃহীত

দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে প্লাস্টিক। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো জানাচ্ছে, প্লাস্টিকের পাত্র, চামচ এবং এমনকি টি-ব্যাগও নীরবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করাচ্ছে বিপুল পরিমাণ মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা। এসব প্লাস্টিক কণা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে।

গবেষকদের অনুমান, একজন আমেরিকান বছরে প্রায় ৩৯ হাজার থেকে ৫২ হাজার মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা গ্রহণ করে। এই কণাগুলো পানীয় জল, খাবার এবং খাবার তৈরির সরঞ্জাম—সবকিছু থেকেই আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে। যদিও আরও গবেষণার প্রয়োজন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী এই কণাগুলো কোষের ক্ষতি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল এবং নির্দিষ্ট ধরনের ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।

রান্নাঘরে অদৃশ্য বিপদ

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রান্নাঘরের কয়েকটি সাধারণ জিনিস মাইক্রোপ্লাস্টিক গ্রহণের প্রধান উৎস:

১. প্লাস্টিক ফুড স্টোরেজ কন্টেইনার

গত সেপ্টেম্বরের একটি গবেষণা অনুযায়ী, খাদ্য প্যাকেজিং-এ ব্যবহৃত ১৪ হাজার পরিচিত রাসায়নিকের মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ (অর্থাৎ ৩,৬০৭ টি) মানুষের শরীরে শনাক্ত হয়েছে।

২০২৩ সালের জুনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্লাস্টিকের পাত্র মাইক্রোওয়েভে গরম করলে খাদ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিক ও ন্যানোপ্লাস্টিকের সর্বোচ্চ নিঃসরণ ঘটে। ন্যানোপ্লাস্টিকগুলো ১ মাইক্রনের চেয়ে ছোট হওয়ায় তা আরও বেশি ক্ষতিকর হতে পারে। এমনকি ফ্রিজে রাখা বা সাধারণ তাপমাত্রায় রাখলেও ছয় মাসে কোটি কোটি কণা নিঃসৃত হতে পারে।

বিপিএ-মুক্ত (BPA-free) পাত্রও নিরাপদ নয়। দাবি করা হয়, এই ধরনের পাত্রে শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত রাসায়নিক বাইস্ফেনল-এ থাকে না। এ ধরনের পাত্র সাধারণ প্লাস্টিকের চেয়ে কিছুটা ভালো, তবুও ওভেনে কাচের পাত্র বা সিলিকন ব্যবহার করাই সবচেয়ে নিরাপদ বিকল্প। কাচের পাত্র ওভেনে, ফ্রিজে বা মাইক্রোওয়েভে ব্যবহার করা নিরাপদ।

২. রান্নাঘরের প্লাস্টিকের সরঞ্জাম

গত জুনে প্রকাশিত একটি পদ্ধতিগত পর্যালোচনা অনুসারে, প্লাস্টিকের চামচ বা স্প্যাচুলার মতো সরঞ্জামও রান্নার সময় খাদ্যদ্রব্যে মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা অবমুক্ত করে। কারণে রান্নার কাজে কাঠ বা স্টেইনলেস স্টিলের সরঞ্জাম ব্যবহার করা উচিত। মাছ ভাজার জন্য স্টেইনলেস স্টিলের ‘ফিশ টার্নার’ একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।

৩. নন-স্টিক এয়ার ফ্রায়ার

নন-স্টিক এয়ার ফ্রায়ারের ভেতরের আস্তরণে সাধারণত পিটিইই (এক ধরনের প্লাস্টিক) কোটিং থাকে। ২০২৪ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, শক্ত বা ধারালো সরঞ্জাম ব্যবহার করলে বা খুব উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করলে পিটিইই কোটিং থেকেও মাইক্রোপ্লাস্টিক বা ন্যানোপ্লাস্টিক নিঃসৃত হতে পারে।

বিকল্প হিসেবে প্লাস্টিক এবং পিটিইই মুক্ত ন্যানো-সিরামিক কোটিংসহ এয়ার ফ্রায়ার এখন বাজারে পাওয়া যায়। এগুলো অপেক্ষাকৃত নিরাপদ।

৪. টি-ব্যাগ

২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত একটি পর্যালোচনা দেখায়, টি-ব্যাগ গরম চায়ে মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা যোগ করার অন্যতম প্রধান উৎস। একটি টি-ব্যাগ থেকে ১০০ কোটিরও বেশি কণা নিঃসৃত হতে পারে। এমনকি ‘কম্পোস্টেবল’ লেবেল দেওয়া টি-ব্যাগও অনেক সময় উদ্ভিজ্জ উপাদানের আড়ালে প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হতে পারে।

এ কারণে গরম পানীয়ের জন্য খোলা চা পাতা এবং স্টেইনলেস স্টিলের টি-ইনফিউজার ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। পানি গরম করার জন্য কাচের বৈদ্যুতিক কেটলি ব্যবহার করাও নিরাপদ।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, তবে ধীরে ধীরে রান্নাঘর থেকে প্লাস্টিকের জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলার অভ্যাস করাই বুদ্ধিমানের কাজ। যে প্লাস্টিক সামগ্রীগুলো ঘন ঘন গরম করা হয়, ফ্রিজে রাখা হয় বা ডিশওয়াশারে ধোয়া হয়, সেগুলোর পরিবর্তে সিলিকন, কাঠ, ধাতু বা কাচের জিনিস ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

স্পোর্টস শু কেনার আগে যে বিষয়গুলো দেখা জরুরি

ফিচার ডেস্ক
স্পোর্টস শু কেনার আগে যে বিষয়গুলো দেখা জরুরি

দৌড়ানোর জন্য কিংবা নিয়মিত হাঁটতেও সঠিক জুতা নির্বাচন করা জরুরি। কারণ, জুতার কারণে কখনো ফোসকা, আঙুলে আঘাত বা অস্বস্তি হতে পারে। তাই জুতা কেনার আগে স্থায়িত্ব, গ্রিপ এবং আবহাওয়া সহনশীলতার বিষয়গুলোতে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত। আপনার জুতা এমন হওয়া চাই, যেন পাথরের রাস্তা, কাদামাটি বা ভেজা জায়গায়ও টিকে থাকতে পারে।

নিজের জন্য সঠিক এক জোড়া জুতা বেছে নিতে গিয়ে অনেক সময় বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়। তাই জুতা কেনার আগে কিছু বিষয়ের দিকে নজর দিলে আপনিও বেছে নিতে পারবেন টেকসই জুতা।

যা দেখবেন

উপকরণ

জুতার ওপরের অংশ, যেটাকে ‘আপার’ বলা হয়, সেটা যেন মজবুত ও বায়ু চলাচলের উপযোগী হয়। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গরম বা শুকনো আবহাওয়ায় মেশ কাপড়ের তৈরি জুতা ভালো। কারণ, এতে বাতাস ঢোকে এবং বেরিয়ে যায়। ফলে পা ঠান্ডা থাকে এবং ঘামে না। অন্যদিকে, যদি বর্ষার দিনে, কাদা মাটি বা বরফের মধ্যে চলেন, তাহলে শক্ত সিনথেটিক কাপড়ের জুতা বেশি উপযোগী। এগুলোতে পানি ঢোকে না। তবে একটা বিষয় মনে রাখা দরকার, ওয়াটারপ্রুফ জুতায় বাতাস কম ঢোকে, তাই বেশি সময় দৌড়ালে পা গরম হয়ে ঘেমে যেতে পারে।

আউটসোল

দৌড়ানোর সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জুতার গ্রিপ। যদি দৌড়ানো বা হাঁটার রাস্তা কাদা কিংবা পিচ্ছিল হয়, তাহলে ৪–৬ মিলিমিটার গভীর রাবার সোলের জুতা সবচেয়ে ভালো কাজে দেয়। এগুলো পা পিছলে যাওয়া থেকে বাঁচায় এবং ভারসাম্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। আর যদি রাস্তা তুলনামূলক সমান বা পাকা হয়, তাহলে কম গভীর সোল যথেষ্ট।

লেসিং সিস্টেম

ভাবতে পারেন, টেকসই জুতার জন্য ফিতার অবদান কীভাবে। কিন্তু একটু ভালো মানের জুতার সঙ্গে ফিতার সম্পর্কও আছে। যদি আপনি দ্রুত জুতা পরতে চান বা পায়ে আরও শক্তভাবে ও নিরাপদ ফিট চান, তাহলে এমন ফিতা দেখে কিনুন, যেগুলো সহজে খোলা যায়। এতে ফিতা বাঁধতে বা খুলতে সময় লাগে না। মনে রাখবেন, ফিতার কারণে চলতে গিয়ে ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। তাই আগে ফিতা বাঁধা ঠিক আছে কি না নিশ্চিত করে নেওয়াই নিরাপদ।

sport-shoes-trunk-photo-freepik

দাম

ভালো মানের জুতা কিনতে সব সময় বেশি টাকা খরচ করতে হয় না। সাধারণত দামি জুতায় পাওয়া যায় উন্নত মানের উপাদান, টেকসই সোল এবং নতুন প্রযুক্তি। যেমন কার্বন প্লেট বা হালকা ফোম, যা চলতে গিয়ে বেশি আরাম দেয়। তবে আপনি মাঝারি দামের জুতা দিয়েও দারুণ অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। বাজারে অনেক জুতা আছে, যেগুলোর পারফরম্যান্স দামি জুতার কাছাকাছি হয়, শুধু অতিরিক্ত ফিচার থাকে না।

টেকসই

দৌড়ানো জুতা সাধারণত হাঁটার জুতার তুলনায় দ্রুত ক্ষয় হয়। কারণ, অনেক সময় জুতার ওপরের অংশ চাপ খায়। এ ক্ষেত্রে রিইনফোর্সড টো-ক্যাপ পা রক্ষা করে এবং আঘাত কমায়। জুতার আগের অংশে থাকা শক্ত অংশকে রিইনফোর্সড টো-ক্যাপ বলে। এটি পায়ের আঙুল এবং হালকা আঘাত থেকে রক্ষা করে।

যদি নিয়মিত ট্রেইল দৌড়ান, দীর্ঘ দূরত্বের রুটে চলেন বা পাথুরে ও কাদা-ঢাকা পথের ট্রেইল অনুশীলন করেন, তাহলে জুতার টেকসইতা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সঠিক জুতা নির্বাচন না করলে দ্রুত ক্ষয়, আরামহীনতা এবং আঘাতের ঝুঁকি বাড়ে।

জুতা কেনার কয়েকটি অতিরিক্ত টিপস

  • পায়ের আকার বুঝে জুতা কিনুন। না হলে দীর্ঘ সময় দৌড়ালে বা হাঁটলে পায়ের অসুবিধা হতে পারে।
  • কেনার আগে দোকানে জুতা পরে হেঁটে দেখুন।
  • আবহাওয়ার সঙ্গে মিলিয়ে জুতা বাছাই করুন।
  • শক্ত টো-ক্যাপ, মজবুত আপার এবং ভালো মিডসোল দেখে কিনুন।
  • অনলাইন রিভিউ দেখুন
  • নতুন জুতা পরে বেশি দূর প্রথমেই হাঁটবেন না। পা সামান্য মানিয়ে পরে হাঁটতে আরাম পাবেন।
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চিয়া বীজের ৬ স্বাস্থ্য উপকারিতা

ফিচার ডেস্ক
চিয়া বীজের ৬ স্বাস্থ্য উপকারিতা

একটা কথা প্রচলিত আছে, ছোট মরিচের ঝাল বেশি। অর্থাৎ আকার যেমনই হোক, তার ওপর এর গুণাগুণ কিংবা স্বাদ নির্ভর করে না। তেমনই চিয়া বীজ ছোট হলেও এটি পুষ্টিতে ভরপুর। প্রাচীন অ্যাজটেক এবং মায়া সভ্যতার খাদ্যতালিকায় এটি ছিল প্রধান খাবার। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এর স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য এটি প্রশংসিত। চিয়া বীজের পুষ্টিগুণ হৃদ্‌যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে, হাড়কে মজবুত করতে এবং রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। অর্থাৎ সচারচর দেখা যায় এমন রোগগুলো মোকাবিলায় এর উপকারিতা অনেক বেশি। এ ছাড়া চিয়া বীজ বিভিন্নভাবে নানান রেসিপিতে ব্যবহার করা যায়। জেলের মতো ঘনত্ব তৈরি করার জন্য এটি তরলের সঙ্গে মিশিয়ে চিয়া পুডিং তৈরি করা যেতে পারে।

পুষ্টি উপাদান

চিয়া বীজ ‘সালভিয়া হিসপানিকা এল’ নামক উদ্ভিদ থেকে আসা ছোট কালো বা সাদা বীজ। ধারণা করা হয়, এটি মধ্য আমেরিকার স্থানীয় একটি উদ্ভিদ। মাত্র ১ আউন্স বা ২৮ গ্রাম বা ২ টেবিল চামচ চিয়া বীজে রয়েছে:

পুষ্টি উপাদান পরিমাণ

ক্যালরি ১৩৮

প্রোটিন ৪.৭ গ্রাম

ফ্যাট ৮.৭ গ্রাম

আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড (ওমেগা-৩) ৫ গ্রাম

কার্বোহাইড্রেট ১১.৯ গ্রাম

ফাইবার (আঁশ) ৯.৮ গ্রাম

ক্যালসিয়াম দৈনিক চাহিদার ১৪ শতাংশ

আয়রন দৈনিক চাহিদার ১২ শতাংশ

ম্যাগনেশিয়াম দৈনিক চাহিদার ২৩ শতাংশ

ফসফরাস দৈনিক চাহিদার ২০ শতাংশ

জিংক দৈনিক চাহিদার ১২ শতাংশ

ভিটামিন বি১ (থায়ামিন) দৈনিক চাহিদার ১৫ শতাংশ

ভিটামিন বি৩ (নায়াসিন) দৈনিক চাহিদার ১৬ শতাংশ

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর

চিয়া বীজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি চমৎকার উৎস। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো চিয়া বীজের সংবেদনশীল ফ্যাটকে নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি শরীরের ফ্রি র‍্যাডিক্যালস নামক ক্ষতিকর অণুগুলোকে নিরপেক্ষ করে মানুষের স্বাস্থ্যের উপকার করে। ফ্রি র‍্যাডিক্যালস কোষের ক্ষতি করতে পারে এবং বার্ধক্য ও ক্যানসারের মতো রোগের কারণ হতে পারে। চিয়া বীজে থাকা কিছু নির্দিষ্ট অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলো ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, ক্যাফেইক অ্যাসিড, মাইরিসেটিন, কুয়ারসেটিন ও কেমফেরল; যা হৃদ্‌যন্ত্র ও যকৃতের ওপর প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব ফেলতে পারে।

ওজন কমাতে সহায়ক

চিয়া বীজে থাকা ফাইবার বা আঁশ এবং প্রোটিন ওজন কমানোর ক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে। ২৮ গ্রাম চিয়া বীজে প্রায় ১০ গ্রাম খাদ্যতালিকাগত ফাইবার থাকে। কিছু গবেষণা অনুযায়ী, ফাইবার গ্রহণ স্থূলতা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে। এ ছাড়া চিয়া বীজের প্রোটিন ক্ষুধা ও খাদ্যের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করতে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নাশতার সময় দইয়ের সঙ্গে চিয়া বীজ খেলে তা পেট ভরা থাকার অনুভূতি বাড়ায় এবং অল্প সময়ে খাদ্যের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। যদিও চিয়া বীজ একা ওজন কমাতে সাহায্য না-ও করতে পারে, তবে এটি একটি ভারসাম্যপূর্ণ এবং পুষ্টিকর খাদ্যের একটি সহায়ক অংশ হতে পারে।

হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে

চিয়া বীজে ফাইবার এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকায় এটি হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। চিয়া বীজে মূলত এই ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা রক্তে মোট এবং এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমে। চিয়া বীজের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমার সঙ্গে যুক্ত। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, চিয়া বীজ সম্পূরক হিসেবে সেবন করলে উচ্চ রক্তচাপযুক্ত মানুষের রক্তচাপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে।

হাড়ের গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান ধারণ করে

চিয়া বীজ হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেশিয়াম। পর্যাপ্ত পরিমাণে এই পুষ্টি উপাদানগুলো গ্রহণ করা হাড়ের শক্তি বা ঘনত্বের জন্য অপরিহার্য। এ ছাড়া চিয়া বীজের এএলএ হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ভূমিকা রাখতে পারে। নিয়মিত চিয়া বীজ খেলে আপনার হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করতে পারে।

রক্তের শর্করা কমাতে পারে

চিয়া বীজ রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে; সম্ভবত এর ফাইবার উপাদান এবং অন্যান্য উপকারী যৌগের কারণে। প্রাণীদের ওপর চালানো গবেষণায় দেখা গেছে, চিয়া বীজ ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে পারে, যা খাবারের পরে রক্তে শর্করা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করতে পারে। মানুষের ওপর চালানো কিছু পুরোনো গবেষণায় দেখা গেছে যে চিয়া বীজযুক্ত রুটি খেলে সাধারণ রুটির তুলনায় খাবারের পরে রক্তে শর্করা বৃদ্ধির হার কমায়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত