আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ সকালে আপনি এক্কেবারে হন্তদন্ত হয়ে ঘর থেকে বেরোবেন, কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছে মনে পড়বে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি (সেটা মানিব্যাগ হোক বা হেডফোন) ফেলেই এসেছেন। কর্মক্ষেত্রে আপনার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেখে সবাই মুগ্ধ হবে, কিন্তু আপনার বস গোপনে ভাববেন, ‘এ সবকিছুতে এত তাড়াহুড়া করে কেন?’ আপনার তেজি মনোভাব আজ প্রেমের ক্ষেত্রে একটু ঝামেলা করতে পারে—হুট করে কাউকে প্রেম নিবেদন না করে, আগে দেখে নিন তিনি ফোন ধরেছেন কি না। রাস্তায় যদি দেখেন দুটি কুকুর মারামারি করছে, প্লিজ ওদের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে যাবেন না। সেটা ওদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
বৃষ
আজ আপনার ভোজনরসিক মন চরম বিদ্রোহ করবে। সারা দিন শুধু ভালো-মন্দ খাওয়ার প্ল্যানিং চলবে। ডায়েট চার্ট আজ মুখ লুকিয়ে কাঁদবে। সন্ধ্যায় যখন ডাল-ভাত খাওয়ার কথা, তখন আপনি বিরিয়ানি খুঁজবেন। আর্থিক দিক দিয়ে দিনটি ভালো, তবে খরচ হবে কেবল জিবের তৃপ্তি মেটানোর জন্য। প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গী আপনার হাতের রান্না (বা অন্তত অর্ডার করা খাবার) খেয়ে মুগ্ধ হবে। আজ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখা মিষ্টিটা নিয়ে কারও সঙ্গে ঝগড়া করবেন না। পারলে দুটোই খেয়ে ফেলুন, গ্রহ শান্ত হবে।
মিথুন
আপনার দ্বৈত সত্তা আজ এমনভাবে সক্রিয় থাকবে যে নিজেই বুঝতে পারবেন না আপনি কী চান। একবার মনে হবে পাহাড়ে যাবেন, পরক্ষণেই মনে হবে সমুদ্র। অফিসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ই-মেইল লেখার আগে আপনি অন্তত পাঁচবার খসড়া পরিবর্তন করবেন। প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলার সময় একবার প্রেমিকের মতো মিষ্টি হবেন, আবার পরমুহূর্তেই দার্শনিকের মতো গভীর জ্ঞান দেবেন। সঙ্গী কিন্তু আপনার এই ‘ডাবল রোল’ দেখে চরম মজা পাবেন। আজ কোনো শপথ বা প্রতিশ্রুতি দেবেন না। কারণ, যা বলবেন, ৫ মিনিট পর নিজেই ভুলে যাবেন।
কর্কট
আজ আপনার সংবেদনশীলতা চরমে থাকবে। রাস্তার ধারের পুরোনো চায়ের দোকানের দিকে তাকালেও শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে যেতে পারে। অফিসে কেউ সামান্য মিষ্টি কথা বললেই মনে করবেন তিনি আপনার জীবনের সবচেয়ে ভালো মানুষ। দিনের শেষে বাড়িতে মা-বাবা বা প্রিয়জনের কাছে আবদার করার জন্য মন আনচান করবে। তবে অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই আবেগ ঝেড়ে ফেলুন, নতুবা কেঁদে বালিশ ভেজাতে হতে পারে। টিভির সিরিয়াল দেখে আজ বেশি কাঁদবেন না। নক্ষত্র বলছে, ওটা কালকের এপিসোডেই মিটে যাবে।
সিংহ
আজ আত্মবিশ্বাস এত তুঙ্গে থাকবে যে আপনি ট্রাফিক পুলিশকে গিয়ে ট্রাফিক আইন শেখাতে পারেন। অফিসে আজ এমনভাবে কাজ করবেন, যেন আপনার জন্যই সূর্য ওঠে। সবাই আপনার প্রশংসা করুক বা না করুক, আপনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে নিজেই বাহবা দেবেন। তবে প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গী আপনার এই ‘রাজকীয়’ মেজাজ একটু কমিয়ে কথা বলার অনুরোধ করতে পারে। পাবলিক প্লেসে জোরে জোরে নিজের নাম ধরে ডাকবেন না। নক্ষত্র বলছে, তাতে লোক হাসবে আর আপনার অহমে আঘাত লাগবে।
কন্যা
আজ প্রতিটি জিনিসের মধ্যে ভুল খুঁজবেন। নিজের লেখা মেসেজেও ব্যাকরণগত ভুল খুঁজে পাবেন। অফিসের ডেস্কের সামান্য ধুলা বা রান্নাঘরের মসলার কৌটার সামান্য হেরফের মেজাজ খারাপের জন্য যথেষ্ট। অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে আজ পাড়ার সবচেয়ে ভালো ফুচকাওয়ালাকেও সন্দেহের চোখে দেখবেন। সন্ধ্যায় দুশ্চিন্তা কমিয়ে একটু রিল্যাক্স করার চেষ্টা করুন, নতুবা রাতে ঘুম হবে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় কারোর পারফেক্ট ছবি দেখে কমেন্টে জিজ্ঞেস করবেন না যে ব্যাকগ্রাউন্ডে ফিল্টার ব্যবহার করা হয়েছে কি না। প্লিজ!
তুলা
আজ গ্রহ-নক্ষত্ররা আপনাকে এক চরম পরীক্ষার মুখে ফেলবে: ‘আমিষ না নিরামিষ?’ অথবা, ‘নীল শার্ট না কালো?’ এই সামান্য দ্বিধা নিয়েই আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট হবে। কেউ কোনো বিষয়ে পরামর্শ চাইলে, আপনি দুটো বিপরীতমুখী মতামত দেবেন এবং শেষ পর্যন্ত বলবেন, ‘তোমার যেটা ভালো মনে হয়, করো।’ প্রেমের ক্ষেত্রে আজ রোমান্স থাকলেও ডেটে গিয়ে কী অর্ডার করবেন, এই চিন্তাতেই সন্ধ্যা শেষ। কাউকে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলার আগে একটা কয়েন টস করে নিন। অন্তত সিদ্ধান্তটা আপনার ঘাড়ে পড়বে না।
বৃশ্চিক
আজ আপনার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় ওভারটাইম করবে। চারপাশে যা ঘটবে, তার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাবেন। অফিসের সহকর্মী কেন এত তাড়াতাড়ি লাঞ্চে গেল? আপনার দুধওয়ালার মুখটা এত হাসি হাসি কেন? এর পেছনে কী রহস্য লুকিয়ে আছে? প্রেমের ক্ষেত্রে আজ তীব্র আকর্ষণ কাজ করবে, কিন্তু সঙ্গীর প্রতি অতিরিক্ত সন্দেহ (যেমন ‘কার সঙ্গে এতক্ষণ চ্যাট করছিলে?’) ঝামেলা বাড়াতে পারে। মনে রাখবেন, আপনার চা ঠান্ডা হওয়ার পেছনে কোনো আন্তর্জাতিক চক্রান্ত নেই।
ধনু
আজ মন দূর-দূরান্তে ঘুরে বেড়াবে। অফিসে বসেও হয়তো প্ল্যান করবেন, কীভাবে হেঁটে এভারেস্ট জয় করা যায়। স্বভাবসুলভ উৎসাহে এমন সব বিষয়ে জ্ঞান দেবেন, যা নিয়ে আপনার বিন্দুমাত্র ধারণা নেই। কেউ সমস্যা নিয়ে এলে তাঁকে জীবন পাল্টে দেওয়ার মতো এমন কিছু টিপস দেবেন, যা তিনি জীবনেও মানবেন না। তবে আর্থিক ঝুঁকি আজ আপনার জন্য বেশ লাভজনক হতে পারে। ট্রেনে টিকিট কাটার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি এমন কোনো জায়গায় যাচ্ছেন না, যার নাম মানচিত্রে নেই!
মকর
আজ নিজেকে এমনভাবে কাজে ব্যস্ত রাখবেন যে বন্ধুবান্ধব ভাববে আপনি হয়তো বিলিয়ন ডলারের কোনো চুক্তি করছেন। কাজের প্রতি আপনার নিষ্ঠা আজ নজির সৃষ্টি করবে, কিন্তু প্লিজ লাঞ্চ ব্রেকটা স্কিপ করবেন না। পরিবার আপনার কাছ থেকে একটু মনোযোগ চাইবে। মনে রাখবেন, শুধু কাজ করলেই হবে না, মাঝেমধ্যে দু-চারটা কৌতুকও শোনাতে হয়! প্রেমের জীবনে একটু অবসর নিয়ে সঙ্গীকে সময় দিন, না হলে তিনি আপনার ল্যাপটপের ওপর রাগ করতে পারেন। রাতের খাবারের মেনুটাও যদি প্রজেক্ট প্ল্যানিংয়ের মতো করে তৈরি করেন, তবে বাড়িতে অশান্তি নিশ্চিত।
কুম্ভ
আজ মাথায় অদ্ভুত সব আইডিয়া আসবে, যা হয় ব্ৰিলিয়ান্ট হবে, নয়তো হাস্যকর। আপনি হয়তো ভাববেন, কীভাবে চা না খেয়েও চায়ের স্বাদ নেওয়া যায়। বন্ধুদের আড্ডায় আজ এমন কিছু বলবেন, যা কেউ বুঝবে না, কিন্তু সবাই ভদ্রতার খাতিরে হাসবে। সামাজিক ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা বাড়বে। কারণ, আপনার সঙ্গে কথা বলাটা একটু থ্রিলার সিনেমার মতো—কেউ জানে না এরপর কী হতে চলেছে। আজ ভুলেও কাউকে বলবেন না যে আপনি মানবজাতির উন্নতির জন্য রান্নাঘরের সবজি কাটার নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন।
মীন
সারা দিন আজ দিবাস্বপ্নে মগ্ন থাকবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই ভুলে যাবেন যে আপনি কাল রাতে কী নিয়ে চিন্তা করছিলেন। অফিসের মিটিংয়ে আপনার মন হয়তো কোনো মেঘে ঢাকা পাহাড়ে ঘুরে বেড়াবে। সৃজনশীল কাজের জন্য দিনটি চমৎকার, তবে বাস্তব জীবনের বিল মেটানোর কথা ভুলে যাবেন না। প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গী আজ আপনাকে বাস্তবের মাটিতে ফিরিয়ে আনতে পারে—হয়তো চায়ের কাপ হাতে ধরিয়ে দিয়েই! আজ রাতে যদি ঘুমিয়ে দেখেন লটারিতে কোটি টাকা জিতেছেন, প্লিজ সকালে উঠে সেই টাকা খুঁজতে যাবেন না। কারণটা খুব সহজ, সেটা শুধু স্বপ্ন ছিল।

মেষ
আজ সকালে আপনি এক্কেবারে হন্তদন্ত হয়ে ঘর থেকে বেরোবেন, কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছে মনে পড়বে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি (সেটা মানিব্যাগ হোক বা হেডফোন) ফেলেই এসেছেন। কর্মক্ষেত্রে আপনার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেখে সবাই মুগ্ধ হবে, কিন্তু আপনার বস গোপনে ভাববেন, ‘এ সবকিছুতে এত তাড়াহুড়া করে কেন?’ আপনার তেজি মনোভাব আজ প্রেমের ক্ষেত্রে একটু ঝামেলা করতে পারে—হুট করে কাউকে প্রেম নিবেদন না করে, আগে দেখে নিন তিনি ফোন ধরেছেন কি না। রাস্তায় যদি দেখেন দুটি কুকুর মারামারি করছে, প্লিজ ওদের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে যাবেন না। সেটা ওদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
বৃষ
আজ আপনার ভোজনরসিক মন চরম বিদ্রোহ করবে। সারা দিন শুধু ভালো-মন্দ খাওয়ার প্ল্যানিং চলবে। ডায়েট চার্ট আজ মুখ লুকিয়ে কাঁদবে। সন্ধ্যায় যখন ডাল-ভাত খাওয়ার কথা, তখন আপনি বিরিয়ানি খুঁজবেন। আর্থিক দিক দিয়ে দিনটি ভালো, তবে খরচ হবে কেবল জিবের তৃপ্তি মেটানোর জন্য। প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গী আপনার হাতের রান্না (বা অন্তত অর্ডার করা খাবার) খেয়ে মুগ্ধ হবে। আজ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখা মিষ্টিটা নিয়ে কারও সঙ্গে ঝগড়া করবেন না। পারলে দুটোই খেয়ে ফেলুন, গ্রহ শান্ত হবে।
মিথুন
আপনার দ্বৈত সত্তা আজ এমনভাবে সক্রিয় থাকবে যে নিজেই বুঝতে পারবেন না আপনি কী চান। একবার মনে হবে পাহাড়ে যাবেন, পরক্ষণেই মনে হবে সমুদ্র। অফিসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ই-মেইল লেখার আগে আপনি অন্তত পাঁচবার খসড়া পরিবর্তন করবেন। প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলার সময় একবার প্রেমিকের মতো মিষ্টি হবেন, আবার পরমুহূর্তেই দার্শনিকের মতো গভীর জ্ঞান দেবেন। সঙ্গী কিন্তু আপনার এই ‘ডাবল রোল’ দেখে চরম মজা পাবেন। আজ কোনো শপথ বা প্রতিশ্রুতি দেবেন না। কারণ, যা বলবেন, ৫ মিনিট পর নিজেই ভুলে যাবেন।
কর্কট
আজ আপনার সংবেদনশীলতা চরমে থাকবে। রাস্তার ধারের পুরোনো চায়ের দোকানের দিকে তাকালেও শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে যেতে পারে। অফিসে কেউ সামান্য মিষ্টি কথা বললেই মনে করবেন তিনি আপনার জীবনের সবচেয়ে ভালো মানুষ। দিনের শেষে বাড়িতে মা-বাবা বা প্রিয়জনের কাছে আবদার করার জন্য মন আনচান করবে। তবে অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই আবেগ ঝেড়ে ফেলুন, নতুবা কেঁদে বালিশ ভেজাতে হতে পারে। টিভির সিরিয়াল দেখে আজ বেশি কাঁদবেন না। নক্ষত্র বলছে, ওটা কালকের এপিসোডেই মিটে যাবে।
সিংহ
আজ আত্মবিশ্বাস এত তুঙ্গে থাকবে যে আপনি ট্রাফিক পুলিশকে গিয়ে ট্রাফিক আইন শেখাতে পারেন। অফিসে আজ এমনভাবে কাজ করবেন, যেন আপনার জন্যই সূর্য ওঠে। সবাই আপনার প্রশংসা করুক বা না করুক, আপনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে নিজেই বাহবা দেবেন। তবে প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গী আপনার এই ‘রাজকীয়’ মেজাজ একটু কমিয়ে কথা বলার অনুরোধ করতে পারে। পাবলিক প্লেসে জোরে জোরে নিজের নাম ধরে ডাকবেন না। নক্ষত্র বলছে, তাতে লোক হাসবে আর আপনার অহমে আঘাত লাগবে।
কন্যা
আজ প্রতিটি জিনিসের মধ্যে ভুল খুঁজবেন। নিজের লেখা মেসেজেও ব্যাকরণগত ভুল খুঁজে পাবেন। অফিসের ডেস্কের সামান্য ধুলা বা রান্নাঘরের মসলার কৌটার সামান্য হেরফের মেজাজ খারাপের জন্য যথেষ্ট। অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে আজ পাড়ার সবচেয়ে ভালো ফুচকাওয়ালাকেও সন্দেহের চোখে দেখবেন। সন্ধ্যায় দুশ্চিন্তা কমিয়ে একটু রিল্যাক্স করার চেষ্টা করুন, নতুবা রাতে ঘুম হবে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় কারোর পারফেক্ট ছবি দেখে কমেন্টে জিজ্ঞেস করবেন না যে ব্যাকগ্রাউন্ডে ফিল্টার ব্যবহার করা হয়েছে কি না। প্লিজ!
তুলা
আজ গ্রহ-নক্ষত্ররা আপনাকে এক চরম পরীক্ষার মুখে ফেলবে: ‘আমিষ না নিরামিষ?’ অথবা, ‘নীল শার্ট না কালো?’ এই সামান্য দ্বিধা নিয়েই আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট হবে। কেউ কোনো বিষয়ে পরামর্শ চাইলে, আপনি দুটো বিপরীতমুখী মতামত দেবেন এবং শেষ পর্যন্ত বলবেন, ‘তোমার যেটা ভালো মনে হয়, করো।’ প্রেমের ক্ষেত্রে আজ রোমান্স থাকলেও ডেটে গিয়ে কী অর্ডার করবেন, এই চিন্তাতেই সন্ধ্যা শেষ। কাউকে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলার আগে একটা কয়েন টস করে নিন। অন্তত সিদ্ধান্তটা আপনার ঘাড়ে পড়বে না।
বৃশ্চিক
আজ আপনার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় ওভারটাইম করবে। চারপাশে যা ঘটবে, তার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাবেন। অফিসের সহকর্মী কেন এত তাড়াতাড়ি লাঞ্চে গেল? আপনার দুধওয়ালার মুখটা এত হাসি হাসি কেন? এর পেছনে কী রহস্য লুকিয়ে আছে? প্রেমের ক্ষেত্রে আজ তীব্র আকর্ষণ কাজ করবে, কিন্তু সঙ্গীর প্রতি অতিরিক্ত সন্দেহ (যেমন ‘কার সঙ্গে এতক্ষণ চ্যাট করছিলে?’) ঝামেলা বাড়াতে পারে। মনে রাখবেন, আপনার চা ঠান্ডা হওয়ার পেছনে কোনো আন্তর্জাতিক চক্রান্ত নেই।
ধনু
আজ মন দূর-দূরান্তে ঘুরে বেড়াবে। অফিসে বসেও হয়তো প্ল্যান করবেন, কীভাবে হেঁটে এভারেস্ট জয় করা যায়। স্বভাবসুলভ উৎসাহে এমন সব বিষয়ে জ্ঞান দেবেন, যা নিয়ে আপনার বিন্দুমাত্র ধারণা নেই। কেউ সমস্যা নিয়ে এলে তাঁকে জীবন পাল্টে দেওয়ার মতো এমন কিছু টিপস দেবেন, যা তিনি জীবনেও মানবেন না। তবে আর্থিক ঝুঁকি আজ আপনার জন্য বেশ লাভজনক হতে পারে। ট্রেনে টিকিট কাটার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি এমন কোনো জায়গায় যাচ্ছেন না, যার নাম মানচিত্রে নেই!
মকর
আজ নিজেকে এমনভাবে কাজে ব্যস্ত রাখবেন যে বন্ধুবান্ধব ভাববে আপনি হয়তো বিলিয়ন ডলারের কোনো চুক্তি করছেন। কাজের প্রতি আপনার নিষ্ঠা আজ নজির সৃষ্টি করবে, কিন্তু প্লিজ লাঞ্চ ব্রেকটা স্কিপ করবেন না। পরিবার আপনার কাছ থেকে একটু মনোযোগ চাইবে। মনে রাখবেন, শুধু কাজ করলেই হবে না, মাঝেমধ্যে দু-চারটা কৌতুকও শোনাতে হয়! প্রেমের জীবনে একটু অবসর নিয়ে সঙ্গীকে সময় দিন, না হলে তিনি আপনার ল্যাপটপের ওপর রাগ করতে পারেন। রাতের খাবারের মেনুটাও যদি প্রজেক্ট প্ল্যানিংয়ের মতো করে তৈরি করেন, তবে বাড়িতে অশান্তি নিশ্চিত।
কুম্ভ
আজ মাথায় অদ্ভুত সব আইডিয়া আসবে, যা হয় ব্ৰিলিয়ান্ট হবে, নয়তো হাস্যকর। আপনি হয়তো ভাববেন, কীভাবে চা না খেয়েও চায়ের স্বাদ নেওয়া যায়। বন্ধুদের আড্ডায় আজ এমন কিছু বলবেন, যা কেউ বুঝবে না, কিন্তু সবাই ভদ্রতার খাতিরে হাসবে। সামাজিক ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা বাড়বে। কারণ, আপনার সঙ্গে কথা বলাটা একটু থ্রিলার সিনেমার মতো—কেউ জানে না এরপর কী হতে চলেছে। আজ ভুলেও কাউকে বলবেন না যে আপনি মানবজাতির উন্নতির জন্য রান্নাঘরের সবজি কাটার নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন।
মীন
সারা দিন আজ দিবাস্বপ্নে মগ্ন থাকবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই ভুলে যাবেন যে আপনি কাল রাতে কী নিয়ে চিন্তা করছিলেন। অফিসের মিটিংয়ে আপনার মন হয়তো কোনো মেঘে ঢাকা পাহাড়ে ঘুরে বেড়াবে। সৃজনশীল কাজের জন্য দিনটি চমৎকার, তবে বাস্তব জীবনের বিল মেটানোর কথা ভুলে যাবেন না। প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গী আজ আপনাকে বাস্তবের মাটিতে ফিরিয়ে আনতে পারে—হয়তো চায়ের কাপ হাতে ধরিয়ে দিয়েই! আজ রাতে যদি ঘুমিয়ে দেখেন লটারিতে কোটি টাকা জিতেছেন, প্লিজ সকালে উঠে সেই টাকা খুঁজতে যাবেন না। কারণটা খুব সহজ, সেটা শুধু স্বপ্ন ছিল।

আজ সকালে উঠেই মনে করবেন, আপনি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং সব কাজ ৫ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে। কাজের জায়গায় বসকে এমন কিছু বুদ্ধি দেবেন, যা শুনে তিনি প্রথমে চমকে যাবেন, তারপর ভাববেন—‘এটা কি সত্যিই কাজ করবে?’ উত্তর: হয়তো করবে না।
১ ঘণ্টা আগে
একটা কথা প্রচলিত আছে, ছোট মরিচের ঝাল বেশি। অর্থাৎ আকার যেমনই হোক, তার ওপর এর গুণাগুণ কিংবা স্বাদ নির্ভর করে না। তেমনই চিয়া বীজ ছোট হলেও এটি পুষ্টিতে ভরপুর। প্রাচীন অ্যাজটেক এবং মায়া সভ্যতার খাদ্যতালিকায় এটি ছিল প্রধান খাবার।
২ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর ১ নভেম্বর পালিত হয় বিশ্ব ভেগান দিবস। ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্যের ভেগান সোসাইটির সভাপতি লুইস ওয়ালিস এদিনটি শুরু করেন ভেগান আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে। উদ্দেশ্য ছিল, মানুষকে প্রাণিজ খাদ্যের বিকল্প সম্পর্কে অবগত করা এবং পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও প্রাণীর প্রতি সহানুভূতির গুরুত্ব তুলে ধরা। আজ এদিনটি
১৬ ঘণ্টা আগে
বাঙালির ফ্রিজে দুধ ও দই দুটোই থাকে। খাওয়া ছাড়াও এই দুই প্রাকৃতিক উপাদান চুলের যত্নে নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। তবে একটি বিতর্ক রয়ে গেছে; চুলের বৃদ্ধির জন্য কোনটি ভালো—দুধ নাকি দই? অনেকের মতে, দুটোই তো ভালো; বাদ দেব কোনটি? বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, চুলের জন্য এই দুটো ভালো। তবে চুলের বৃদ্ধির বেলায় দুটোর
১৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ সকালে উঠেই মনে করবেন, আপনি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং সব কাজ ৫ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে। কাজের জায়গায় বসকে এমন কিছু বুদ্ধি দেবেন, যা শুনে তিনি প্রথমে চমকে যাবেন, তারপর ভাববেন—‘এটা কি সত্যিই কাজ করবে?’ উত্তর: হয়তো করবে না। তবে আপনার আত্মবিশ্বাস দেখে সবাই মুগ্ধ হবে। প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গী আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দেখে একটু ভয় পেতে পারে। বেশি উত্তেজিত হবেন না, নইলে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আবার দৌড় শুরু করে দেবেন! আজ ভুল করে ফ্রিজ খুলে লাইট নেভানোর জন্য সুইচ খুঁজতে পারেন!
বৃষ
দিনের শুরুতেই মন চাইবে, হয় কোথাও আরাম করে বসে শুধু ভালো ভালো খাবার খাওয়া যাক, নয়তো বালিশে মুখ গুঁজে ডুব দেওয়া যাক। যদি আজ অফিসের জরুরি মিটিংয়ের বদলে দুপুরবেলা পছন্দের রেস্টুরেন্টে বিরিয়ানি অর্ডার দেন, তবে সেটা সম্পূর্ণই গ্রহের দোষ। অর্থভাগ্য আজ বেশ ভালো, কিন্তু সেই টাকা দিয়ে হয়তো একটা বিশাল দামি চকলেট কিনবেন, যেটা খেতে গিয়ে আবার ডায়েটের কথা মনে পড়বে। প্রেমিকার/প্রেমিকের সঙ্গে আজ রোমান্টিক ডিনারে না গিয়ে বাড়িতে সিনেমা দেখতে বসুন। অন্যের প্লেট থেকে কিছু চুরি করতে যাবেন না, ধরা পড়ার চান্স ৯৯ শতাংশ।
মিথুন
আপনার ভেতরের দুই সত্তা আজ রিংয়ে নেমেছে বক্সিং লড়তে। এক মন বলছে, ‘আজ একটা বড় কাজ শেষ করি,’ আরেক মন বলছে, ‘ফেসবুকে এই নতুন মিমটা দেখতেই হবে।’ আজ একাই ১০ জনের কাজ করতে পারবেন, কিন্তু ভুলবশত এক জায়গায় বলার কথা আরেক জায়গায় বলে দেবেন। ফলে পরিচিতরা আজ একটু কনফিউজড থাকতে পারে। আজ এমন সব নতুন আইডিয়া নিয়ে আসবেন যে সহকর্মীরা ভাববে আপনি কোনো গোপন ডিটেকটিভ এজেন্সির জন্য কাজ করেন। চাবি বা মোবাইল—দুটোই আজ হারিয়ে ফেলার প্রবল যোগ।
কর্কট
আজ মন খুবই স্পর্শকাতর, মানে, কেউ যদি জিজ্ঞেস করে, ‘কেমন আছেন?’, আপনি সম্ভবত কাঁদতে শুরু করবেন। বাড়িতে থাকার জন্য আজ মন আঁকুপাঁকু করবে। আজ রান্নাঘরে রেসিপি নিয়ে নতুন কোনো পরীক্ষা করার প্রবল যোগ; যার পরিণতি হয়তো খুব একটা সুখকর হবে না। সন্ধ্যায় আপনার ‘ড্রামা কুইন/কিং’ মুড অন হবে। ছোট একটি ঘটনাকেও মহাকাব্যিক ট্র্যাজেডির মতো করে প্রেজেন্ট করবেন। পরিবারকে আজ একটু বেশি ভালোবাসা দিন, কিন্তু সেটার জন্য অতিরিক্ত কোনো পেমেন্ট করবেন না যেন! তরল পদার্থ থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন, নইলে আবেগ সামলাতে পারবেন না।
সিংহ
আজ মনে হবে আপনি একজন সেলিব্রিটি এবং বিশ্ববাসী আপনার দিকে তাকিয়ে আছে। যদি আজ কেউ প্রশংসা না করে, তবে আপনি নিজেই নিজেকে বাহবা দেবেন—তাতে দোষ নেই। অফিসে আজ এমন একটি প্রজেক্টে হাত দেবেন, যা দেখে সবাই বলবে, ‘এত সাহস!’ তবে আপনার নেতৃত্ব দেওয়ার এই ইচ্ছা আজ আপনাকে অনেক দূর নিয়ে যাবে। সন্ধ্যায় বন্ধুদের আড্ডায় মধ্যমণি হবেন, যদিও মাঝেমধ্যে আপনার গল্পে একটু অতিরিক্ত রং চড়াতে হতে পারে। আয়নার সামনে অতিরিক্ত সময় কাটালে দিনের জরুরি কাজগুলো মিস হতে পারে।
কন্যা
আজ ভেতরকার ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বাতিক’ জেগে উঠবে। মনে হবে পৃথিবীর সব ভুলত্রুটি, এলোমেলো জিনিসপত্র আজকেই ঠিক করে ফেলতে হবে। সঙ্গী যদি আজ আপনার ঘরে একটা সামান্য জিনিসও এদিক-ওদিক করে, তবে সেটা নিয়ে আপনার সঙ্গে মহাযুদ্ধ লেগে যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে আজ একাই সবার ভুল ধরবেন এবং তাদের কাজগুলোকেও নিখুঁত করে দেবেন। আপনার বিশ্লেষণ ক্ষমতা আজ তুঙ্গে, তাই অযথা কারও খুঁত বের করতে যাবেন না। কারও টেক্সট মেসেজের বানান ভুল দেখে আজ হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। মুরাদ টাকলাকেও নস্যি মনে হবে!
তুলা
আজ দিনের শুরুতেই দুটি অপশনের মধ্যে কোনটা ভালো, তা নিয়ে গভীর চিন্তায় ডুবে যাবেন। এটা কফি না চা? লাল জামা না নীল? এই নিয়ে ভাবতে ভাবতে দিনের অর্ধেকটা কেটে যেতে পারে। সম্পর্কের ক্ষেত্রে আজ বিচারপতি হিসেবে কাজ করবেন—দুজনের ঝগড়া মেটাতে গিয়ে শেষে নিজেই ঝামেলায় জড়িয়ে যেতে পারেন। তাই আজ সব বিষয়ে নিরপেক্ষ থাকুন, এমনকি যদি দুজন বন্ধুর মধ্যে চিপসের ভাগ নিয়ে বিবাদ হয়, তবুও। সন্ধ্যায় একটা দারুণ পার্টির দাওয়াত আসতে পারে। কোনো কঠিন সিদ্ধান্ত আজ সন্ধ্যার আগে নেবেন না, নইলে অনুশোচনায় ভুগতে হতে পারে।
বৃশ্চিক
আজ সারা দিন এমন একটি রহস্যময় হাসি নিয়ে ঘুরবেন যে সবাই ভাববে, আপনি নিশ্চয়ই কোনো গোপন ধনসম্পত্তির সন্ধান পেয়েছেন। আপনার তীব্র নজরদারি আজ আপনাকে অনেক সুবিধা দেবে, তবে মাঝেমধ্যে মনে হবে যে সবাই আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কর্মক্ষেত্রে কাজের গভীরতা দেখে অনেকেই ঈর্ষান্বিত হবে। আজ পুরোনো কোনো শক্রর সঙ্গে দেখা হতে পারে। তাকে দেখে হাসবেন না, শুধু একটি রহস্যময় হাসি দিন। পুরোনো প্রেমিকের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল আজ চেক করতে যাবেন না, নইলে সারা রাত ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে।
ধনু
আজ মনে হবে আপনি বিশ্বের সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি এবং সবার জন্য কিছু উপদেশ দিতে মুখিয়ে থাকবেন। কিন্তু কাউকে জ্ঞান দিতে যাবেন না। কারণ, আপনার বক্তব্য শুনে তারা হয়তো পৃথিবী গ্রহ ত্যাগ করার কথা ভাববে। কাজের ক্ষেত্রে আজ নতুন অ্যাডভেঞ্চার বা ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। কিন্তু যাওয়ার আগে ব্যাগ গোছাতে ভুলে যেতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে আপনার অতিরিক্ত স্বাধীনতা চাওয়ার মনোভাব দেখে সঙ্গী জিজ্ঞেস করতে পারে, ‘আপনি কি সত্যিই আছেন, না অন্য কোনো গ্যালাক্সিতে মন চলে গেছে?’ আজ নিজের ডায়েরিতে কিছু লেখার আগে দুবার চেক করুন, নইলে কাল সকালে নিজেই বুঝতে পারবেন না, কী লিখেছিলেন।
মকর
আজ আপনার কাছে মজার বিষয়ই হলো সময় নষ্ট করা। আজ অতিরিক্ত কাজের চাপে নিজেই নিজেকে মোটিভেট করবেন, ‘আর মাত্র ১২ ঘণ্টা! আর মাত্র ১২ ঘণ্টা কাজ করলেই আমি আজকের টার্গেট পূরণ করতে পারব।’ অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে আজ দারুণ সুযোগ আসবে, কিন্তু সেই টাকা খরচ করতে গিয়ে হাত কাঁপবে। সন্ধ্যায় যদি কেউ পার্টিতে যেতে ডাকে, তবে সম্ভবত বলবেন, ‘আমি এখন ভবিষ্যতের জন্য প্ল্যানিং করছি।’ অতিরিক্ত গম্ভীর থাকবেন না। মাঝেমধ্যে হাসতে শিখুন, এটা বিনা পয়সার বিনোদন।
কুম্ভ
আজ মানবজাতির উন্নতি নিয়ে ভাববেন, কিন্তু তার আগে নিজের ঘরটা পরিষ্কার করতে ভুলে যাবেন। মাথায় আজ এমন কিছু অদ্ভুত আইডিয়া আসবে, যা শুনলে মনে হবে, এগুলো সায়েন্স ফিকশন সিনেমা থেকে চুরি করা। বন্ধুমহলে আজ কদর বাড়বে। কারণ, আপনার যুক্তিবাদী ও ব্যতিক্রমী কথাগুলো সবাইকে চমকে দেবে। আজ যদি পোষা প্রাণী কথা বলতে পারত, তবে সে সম্ভবত আপনাকে জিজ্ঞেস করত, ‘আপনি কি ঠিক আছেন?’ বিদ্যুতের বিল বা পানির কলের দিকে নজর দিন। পৃথিবীর সব সমস্যা সমাধানের আগে নিজের সমস্যা মেটান।
মীন
আজ সারা দিন মেঘে মেঘে ভেসে বেড়াবেন। স্বপ্নে হয়তো দারুণ কোনো কাজ করছেন, কিন্তু বাস্তবে কফির কাপটা ভুল করে জুতা রাখার জায়গায় রেখে দিয়েছেন। দিনের বেলায় আপনার কল্পনা আজ এতটা জোরালো হবে যে মনে হবে পাশে বসা সহকর্মীটি হয়তো আসলে একটি জলহস্তী। সন্ধ্যায় আপনার সৃজনশীলতা বাড়বে, তাই আজ নতুন কিছু আঁকতে বা লিখতে বসুন। প্রেমিকার/প্রেমিকের সঙ্গে আজ রোমান্টিক কথোপকথন হবে, তবে শেষে ভুলে যেতে পারেন, কেন কথা শুরু করেছিলেন! আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রে সই করার আগে অন্তত তিনবার চেক করুন, নইলে সই করে হয়তো চাঁদের জমি কিনে ফেলবেন।

মেষ
আজ সকালে উঠেই মনে করবেন, আপনি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং সব কাজ ৫ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে। কাজের জায়গায় বসকে এমন কিছু বুদ্ধি দেবেন, যা শুনে তিনি প্রথমে চমকে যাবেন, তারপর ভাববেন—‘এটা কি সত্যিই কাজ করবে?’ উত্তর: হয়তো করবে না। তবে আপনার আত্মবিশ্বাস দেখে সবাই মুগ্ধ হবে। প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গী আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দেখে একটু ভয় পেতে পারে। বেশি উত্তেজিত হবেন না, নইলে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আবার দৌড় শুরু করে দেবেন! আজ ভুল করে ফ্রিজ খুলে লাইট নেভানোর জন্য সুইচ খুঁজতে পারেন!
বৃষ
দিনের শুরুতেই মন চাইবে, হয় কোথাও আরাম করে বসে শুধু ভালো ভালো খাবার খাওয়া যাক, নয়তো বালিশে মুখ গুঁজে ডুব দেওয়া যাক। যদি আজ অফিসের জরুরি মিটিংয়ের বদলে দুপুরবেলা পছন্দের রেস্টুরেন্টে বিরিয়ানি অর্ডার দেন, তবে সেটা সম্পূর্ণই গ্রহের দোষ। অর্থভাগ্য আজ বেশ ভালো, কিন্তু সেই টাকা দিয়ে হয়তো একটা বিশাল দামি চকলেট কিনবেন, যেটা খেতে গিয়ে আবার ডায়েটের কথা মনে পড়বে। প্রেমিকার/প্রেমিকের সঙ্গে আজ রোমান্টিক ডিনারে না গিয়ে বাড়িতে সিনেমা দেখতে বসুন। অন্যের প্লেট থেকে কিছু চুরি করতে যাবেন না, ধরা পড়ার চান্স ৯৯ শতাংশ।
মিথুন
আপনার ভেতরের দুই সত্তা আজ রিংয়ে নেমেছে বক্সিং লড়তে। এক মন বলছে, ‘আজ একটা বড় কাজ শেষ করি,’ আরেক মন বলছে, ‘ফেসবুকে এই নতুন মিমটা দেখতেই হবে।’ আজ একাই ১০ জনের কাজ করতে পারবেন, কিন্তু ভুলবশত এক জায়গায় বলার কথা আরেক জায়গায় বলে দেবেন। ফলে পরিচিতরা আজ একটু কনফিউজড থাকতে পারে। আজ এমন সব নতুন আইডিয়া নিয়ে আসবেন যে সহকর্মীরা ভাববে আপনি কোনো গোপন ডিটেকটিভ এজেন্সির জন্য কাজ করেন। চাবি বা মোবাইল—দুটোই আজ হারিয়ে ফেলার প্রবল যোগ।
কর্কট
আজ মন খুবই স্পর্শকাতর, মানে, কেউ যদি জিজ্ঞেস করে, ‘কেমন আছেন?’, আপনি সম্ভবত কাঁদতে শুরু করবেন। বাড়িতে থাকার জন্য আজ মন আঁকুপাঁকু করবে। আজ রান্নাঘরে রেসিপি নিয়ে নতুন কোনো পরীক্ষা করার প্রবল যোগ; যার পরিণতি হয়তো খুব একটা সুখকর হবে না। সন্ধ্যায় আপনার ‘ড্রামা কুইন/কিং’ মুড অন হবে। ছোট একটি ঘটনাকেও মহাকাব্যিক ট্র্যাজেডির মতো করে প্রেজেন্ট করবেন। পরিবারকে আজ একটু বেশি ভালোবাসা দিন, কিন্তু সেটার জন্য অতিরিক্ত কোনো পেমেন্ট করবেন না যেন! তরল পদার্থ থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন, নইলে আবেগ সামলাতে পারবেন না।
সিংহ
আজ মনে হবে আপনি একজন সেলিব্রিটি এবং বিশ্ববাসী আপনার দিকে তাকিয়ে আছে। যদি আজ কেউ প্রশংসা না করে, তবে আপনি নিজেই নিজেকে বাহবা দেবেন—তাতে দোষ নেই। অফিসে আজ এমন একটি প্রজেক্টে হাত দেবেন, যা দেখে সবাই বলবে, ‘এত সাহস!’ তবে আপনার নেতৃত্ব দেওয়ার এই ইচ্ছা আজ আপনাকে অনেক দূর নিয়ে যাবে। সন্ধ্যায় বন্ধুদের আড্ডায় মধ্যমণি হবেন, যদিও মাঝেমধ্যে আপনার গল্পে একটু অতিরিক্ত রং চড়াতে হতে পারে। আয়নার সামনে অতিরিক্ত সময় কাটালে দিনের জরুরি কাজগুলো মিস হতে পারে।
কন্যা
আজ ভেতরকার ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বাতিক’ জেগে উঠবে। মনে হবে পৃথিবীর সব ভুলত্রুটি, এলোমেলো জিনিসপত্র আজকেই ঠিক করে ফেলতে হবে। সঙ্গী যদি আজ আপনার ঘরে একটা সামান্য জিনিসও এদিক-ওদিক করে, তবে সেটা নিয়ে আপনার সঙ্গে মহাযুদ্ধ লেগে যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে আজ একাই সবার ভুল ধরবেন এবং তাদের কাজগুলোকেও নিখুঁত করে দেবেন। আপনার বিশ্লেষণ ক্ষমতা আজ তুঙ্গে, তাই অযথা কারও খুঁত বের করতে যাবেন না। কারও টেক্সট মেসেজের বানান ভুল দেখে আজ হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। মুরাদ টাকলাকেও নস্যি মনে হবে!
তুলা
আজ দিনের শুরুতেই দুটি অপশনের মধ্যে কোনটা ভালো, তা নিয়ে গভীর চিন্তায় ডুবে যাবেন। এটা কফি না চা? লাল জামা না নীল? এই নিয়ে ভাবতে ভাবতে দিনের অর্ধেকটা কেটে যেতে পারে। সম্পর্কের ক্ষেত্রে আজ বিচারপতি হিসেবে কাজ করবেন—দুজনের ঝগড়া মেটাতে গিয়ে শেষে নিজেই ঝামেলায় জড়িয়ে যেতে পারেন। তাই আজ সব বিষয়ে নিরপেক্ষ থাকুন, এমনকি যদি দুজন বন্ধুর মধ্যে চিপসের ভাগ নিয়ে বিবাদ হয়, তবুও। সন্ধ্যায় একটা দারুণ পার্টির দাওয়াত আসতে পারে। কোনো কঠিন সিদ্ধান্ত আজ সন্ধ্যার আগে নেবেন না, নইলে অনুশোচনায় ভুগতে হতে পারে।
বৃশ্চিক
আজ সারা দিন এমন একটি রহস্যময় হাসি নিয়ে ঘুরবেন যে সবাই ভাববে, আপনি নিশ্চয়ই কোনো গোপন ধনসম্পত্তির সন্ধান পেয়েছেন। আপনার তীব্র নজরদারি আজ আপনাকে অনেক সুবিধা দেবে, তবে মাঝেমধ্যে মনে হবে যে সবাই আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কর্মক্ষেত্রে কাজের গভীরতা দেখে অনেকেই ঈর্ষান্বিত হবে। আজ পুরোনো কোনো শক্রর সঙ্গে দেখা হতে পারে। তাকে দেখে হাসবেন না, শুধু একটি রহস্যময় হাসি দিন। পুরোনো প্রেমিকের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল আজ চেক করতে যাবেন না, নইলে সারা রাত ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে।
ধনু
আজ মনে হবে আপনি বিশ্বের সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি এবং সবার জন্য কিছু উপদেশ দিতে মুখিয়ে থাকবেন। কিন্তু কাউকে জ্ঞান দিতে যাবেন না। কারণ, আপনার বক্তব্য শুনে তারা হয়তো পৃথিবী গ্রহ ত্যাগ করার কথা ভাববে। কাজের ক্ষেত্রে আজ নতুন অ্যাডভেঞ্চার বা ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। কিন্তু যাওয়ার আগে ব্যাগ গোছাতে ভুলে যেতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে আপনার অতিরিক্ত স্বাধীনতা চাওয়ার মনোভাব দেখে সঙ্গী জিজ্ঞেস করতে পারে, ‘আপনি কি সত্যিই আছেন, না অন্য কোনো গ্যালাক্সিতে মন চলে গেছে?’ আজ নিজের ডায়েরিতে কিছু লেখার আগে দুবার চেক করুন, নইলে কাল সকালে নিজেই বুঝতে পারবেন না, কী লিখেছিলেন।
মকর
আজ আপনার কাছে মজার বিষয়ই হলো সময় নষ্ট করা। আজ অতিরিক্ত কাজের চাপে নিজেই নিজেকে মোটিভেট করবেন, ‘আর মাত্র ১২ ঘণ্টা! আর মাত্র ১২ ঘণ্টা কাজ করলেই আমি আজকের টার্গেট পূরণ করতে পারব।’ অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে আজ দারুণ সুযোগ আসবে, কিন্তু সেই টাকা খরচ করতে গিয়ে হাত কাঁপবে। সন্ধ্যায় যদি কেউ পার্টিতে যেতে ডাকে, তবে সম্ভবত বলবেন, ‘আমি এখন ভবিষ্যতের জন্য প্ল্যানিং করছি।’ অতিরিক্ত গম্ভীর থাকবেন না। মাঝেমধ্যে হাসতে শিখুন, এটা বিনা পয়সার বিনোদন।
কুম্ভ
আজ মানবজাতির উন্নতি নিয়ে ভাববেন, কিন্তু তার আগে নিজের ঘরটা পরিষ্কার করতে ভুলে যাবেন। মাথায় আজ এমন কিছু অদ্ভুত আইডিয়া আসবে, যা শুনলে মনে হবে, এগুলো সায়েন্স ফিকশন সিনেমা থেকে চুরি করা। বন্ধুমহলে আজ কদর বাড়বে। কারণ, আপনার যুক্তিবাদী ও ব্যতিক্রমী কথাগুলো সবাইকে চমকে দেবে। আজ যদি পোষা প্রাণী কথা বলতে পারত, তবে সে সম্ভবত আপনাকে জিজ্ঞেস করত, ‘আপনি কি ঠিক আছেন?’ বিদ্যুতের বিল বা পানির কলের দিকে নজর দিন। পৃথিবীর সব সমস্যা সমাধানের আগে নিজের সমস্যা মেটান।
মীন
আজ সারা দিন মেঘে মেঘে ভেসে বেড়াবেন। স্বপ্নে হয়তো দারুণ কোনো কাজ করছেন, কিন্তু বাস্তবে কফির কাপটা ভুল করে জুতা রাখার জায়গায় রেখে দিয়েছেন। দিনের বেলায় আপনার কল্পনা আজ এতটা জোরালো হবে যে মনে হবে পাশে বসা সহকর্মীটি হয়তো আসলে একটি জলহস্তী। সন্ধ্যায় আপনার সৃজনশীলতা বাড়বে, তাই আজ নতুন কিছু আঁকতে বা লিখতে বসুন। প্রেমিকার/প্রেমিকের সঙ্গে আজ রোমান্টিক কথোপকথন হবে, তবে শেষে ভুলে যেতে পারেন, কেন কথা শুরু করেছিলেন! আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রে সই করার আগে অন্তত তিনবার চেক করুন, নইলে সই করে হয়তো চাঁদের জমি কিনে ফেলবেন।

আজ সকালে আপনি এক্কেবারে হন্তদন্ত হয়ে ঘর থেকে বেরোবেন, কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছে মনে পড়বে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি (সেটা মানিব্যাগ হোক বা হেডফোন) ফেলেই এসেছেন। কর্মক্ষেত্রে আপনার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেখে সবাই মুগ্ধ হবে, কিন্তু আপনার বস গোপনে ভাববেন, ‘এ সবকিছুতে এত তাড়াহুড়া করে কেন?...
২ দিন আগে
একটা কথা প্রচলিত আছে, ছোট মরিচের ঝাল বেশি। অর্থাৎ আকার যেমনই হোক, তার ওপর এর গুণাগুণ কিংবা স্বাদ নির্ভর করে না। তেমনই চিয়া বীজ ছোট হলেও এটি পুষ্টিতে ভরপুর। প্রাচীন অ্যাজটেক এবং মায়া সভ্যতার খাদ্যতালিকায় এটি ছিল প্রধান খাবার।
২ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর ১ নভেম্বর পালিত হয় বিশ্ব ভেগান দিবস। ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্যের ভেগান সোসাইটির সভাপতি লুইস ওয়ালিস এদিনটি শুরু করেন ভেগান আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে। উদ্দেশ্য ছিল, মানুষকে প্রাণিজ খাদ্যের বিকল্প সম্পর্কে অবগত করা এবং পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও প্রাণীর প্রতি সহানুভূতির গুরুত্ব তুলে ধরা। আজ এদিনটি
১৬ ঘণ্টা আগে
বাঙালির ফ্রিজে দুধ ও দই দুটোই থাকে। খাওয়া ছাড়াও এই দুই প্রাকৃতিক উপাদান চুলের যত্নে নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। তবে একটি বিতর্ক রয়ে গেছে; চুলের বৃদ্ধির জন্য কোনটি ভালো—দুধ নাকি দই? অনেকের মতে, দুটোই তো ভালো; বাদ দেব কোনটি? বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, চুলের জন্য এই দুটো ভালো। তবে চুলের বৃদ্ধির বেলায় দুটোর
১৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

একটা কথা প্রচলিত আছে, ছোট মরিচের ঝাল বেশি। অর্থাৎ আকার যেমনই হোক, তার ওপর এর গুণাগুণ কিংবা স্বাদ নির্ভর করে না। তেমনই চিয়া বীজ ছোট হলেও এটি পুষ্টিতে ভরপুর। প্রাচীন অ্যাজটেক এবং মায়া সভ্যতার খাদ্যতালিকায় এটি ছিল প্রধান খাবার। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এর স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য এটি প্রশংসিত। চিয়া বীজের পুষ্টিগুণ হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে, হাড়কে মজবুত করতে এবং রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। অর্থাৎ সচারচর দেখা যায় এমন রোগগুলো মোকাবিলায় এর উপকারিতা অনেক বেশি। এ ছাড়া চিয়া বীজ বিভিন্নভাবে নানান রেসিপিতে ব্যবহার করা যায়। জেলের মতো ঘনত্ব তৈরি করার জন্য এটি তরলের সঙ্গে মিশিয়ে চিয়া পুডিং তৈরি করা যেতে পারে।
পুষ্টি উপাদান
চিয়া বীজ ‘সালভিয়া হিসপানিকা এল’ নামক উদ্ভিদ থেকে আসা ছোট কালো বা সাদা বীজ। ধারণা করা হয়, এটি মধ্য আমেরিকার স্থানীয় একটি উদ্ভিদ। মাত্র ১ আউন্স বা ২৮ গ্রাম বা ২ টেবিল চামচ চিয়া বীজে রয়েছে:
পুষ্টি উপাদান পরিমাণ
ক্যালরি ১৩৮
প্রোটিন ৪.৭ গ্রাম
ফ্যাট ৮.৭ গ্রাম
আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড (ওমেগা-৩) ৫ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ১১.৯ গ্রাম
ফাইবার (আঁশ) ৯.৮ গ্রাম
ক্যালসিয়াম দৈনিক চাহিদার ১৪ শতাংশ
আয়রন দৈনিক চাহিদার ১২ শতাংশ
ম্যাগনেশিয়াম দৈনিক চাহিদার ২৩ শতাংশ
ফসফরাস দৈনিক চাহিদার ২০ শতাংশ
জিংক দৈনিক চাহিদার ১২ শতাংশ
ভিটামিন বি১ (থায়ামিন) দৈনিক চাহিদার ১৫ শতাংশ
ভিটামিন বি৩ (নায়াসিন) দৈনিক চাহিদার ১৬ শতাংশ
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর
চিয়া বীজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি চমৎকার উৎস। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো চিয়া বীজের সংবেদনশীল ফ্যাটকে নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যালস নামক ক্ষতিকর অণুগুলোকে নিরপেক্ষ করে মানুষের স্বাস্থ্যের উপকার করে। ফ্রি র্যাডিক্যালস কোষের ক্ষতি করতে পারে এবং বার্ধক্য ও ক্যানসারের মতো রোগের কারণ হতে পারে। চিয়া বীজে থাকা কিছু নির্দিষ্ট অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলো ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, ক্যাফেইক অ্যাসিড, মাইরিসেটিন, কুয়ারসেটিন ও কেমফেরল; যা হৃদ্যন্ত্র ও যকৃতের ওপর প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব ফেলতে পারে।
ওজন কমাতে সহায়ক
চিয়া বীজে থাকা ফাইবার বা আঁশ এবং প্রোটিন ওজন কমানোর ক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে। ২৮ গ্রাম চিয়া বীজে প্রায় ১০ গ্রাম খাদ্যতালিকাগত ফাইবার থাকে। কিছু গবেষণা অনুযায়ী, ফাইবার গ্রহণ স্থূলতা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে। এ ছাড়া চিয়া বীজের প্রোটিন ক্ষুধা ও খাদ্যের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করতে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নাশতার সময় দইয়ের সঙ্গে চিয়া বীজ খেলে তা পেট ভরা থাকার অনুভূতি বাড়ায় এবং অল্প সময়ে খাদ্যের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। যদিও চিয়া বীজ একা ওজন কমাতে সাহায্য না-ও করতে পারে, তবে এটি একটি ভারসাম্যপূর্ণ এবং পুষ্টিকর খাদ্যের একটি সহায়ক অংশ হতে পারে।
হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে
চিয়া বীজে ফাইবার এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকায় এটি হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। চিয়া বীজে মূলত এই ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা রক্তে মোট এবং এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে। চিয়া বীজের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমার সঙ্গে যুক্ত। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, চিয়া বীজ সম্পূরক হিসেবে সেবন করলে উচ্চ রক্তচাপযুক্ত মানুষের রক্তচাপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে।
হাড়ের গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান ধারণ করে
চিয়া বীজ হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেশিয়াম। পর্যাপ্ত পরিমাণে এই পুষ্টি উপাদানগুলো গ্রহণ করা হাড়ের শক্তি বা ঘনত্বের জন্য অপরিহার্য। এ ছাড়া চিয়া বীজের এএলএ হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ভূমিকা রাখতে পারে। নিয়মিত চিয়া বীজ খেলে আপনার হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করতে পারে।
রক্তের শর্করা কমাতে পারে
চিয়া বীজ রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে; সম্ভবত এর ফাইবার উপাদান এবং অন্যান্য উপকারী যৌগের কারণে। প্রাণীদের ওপর চালানো গবেষণায় দেখা গেছে, চিয়া বীজ ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে পারে, যা খাবারের পরে রক্তে শর্করা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করতে পারে। মানুষের ওপর চালানো কিছু পুরোনো গবেষণায় দেখা গেছে যে চিয়া বীজযুক্ত রুটি খেলে সাধারণ রুটির তুলনায় খাবারের পরে রক্তে শর্করা বৃদ্ধির হার কমায়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

একটা কথা প্রচলিত আছে, ছোট মরিচের ঝাল বেশি। অর্থাৎ আকার যেমনই হোক, তার ওপর এর গুণাগুণ কিংবা স্বাদ নির্ভর করে না। তেমনই চিয়া বীজ ছোট হলেও এটি পুষ্টিতে ভরপুর। প্রাচীন অ্যাজটেক এবং মায়া সভ্যতার খাদ্যতালিকায় এটি ছিল প্রধান খাবার। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এর স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য এটি প্রশংসিত। চিয়া বীজের পুষ্টিগুণ হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে, হাড়কে মজবুত করতে এবং রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। অর্থাৎ সচারচর দেখা যায় এমন রোগগুলো মোকাবিলায় এর উপকারিতা অনেক বেশি। এ ছাড়া চিয়া বীজ বিভিন্নভাবে নানান রেসিপিতে ব্যবহার করা যায়। জেলের মতো ঘনত্ব তৈরি করার জন্য এটি তরলের সঙ্গে মিশিয়ে চিয়া পুডিং তৈরি করা যেতে পারে।
পুষ্টি উপাদান
চিয়া বীজ ‘সালভিয়া হিসপানিকা এল’ নামক উদ্ভিদ থেকে আসা ছোট কালো বা সাদা বীজ। ধারণা করা হয়, এটি মধ্য আমেরিকার স্থানীয় একটি উদ্ভিদ। মাত্র ১ আউন্স বা ২৮ গ্রাম বা ২ টেবিল চামচ চিয়া বীজে রয়েছে:
পুষ্টি উপাদান পরিমাণ
ক্যালরি ১৩৮
প্রোটিন ৪.৭ গ্রাম
ফ্যাট ৮.৭ গ্রাম
আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড (ওমেগা-৩) ৫ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ১১.৯ গ্রাম
ফাইবার (আঁশ) ৯.৮ গ্রাম
ক্যালসিয়াম দৈনিক চাহিদার ১৪ শতাংশ
আয়রন দৈনিক চাহিদার ১২ শতাংশ
ম্যাগনেশিয়াম দৈনিক চাহিদার ২৩ শতাংশ
ফসফরাস দৈনিক চাহিদার ২০ শতাংশ
জিংক দৈনিক চাহিদার ১২ শতাংশ
ভিটামিন বি১ (থায়ামিন) দৈনিক চাহিদার ১৫ শতাংশ
ভিটামিন বি৩ (নায়াসিন) দৈনিক চাহিদার ১৬ শতাংশ
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর
চিয়া বীজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি চমৎকার উৎস। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো চিয়া বীজের সংবেদনশীল ফ্যাটকে নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যালস নামক ক্ষতিকর অণুগুলোকে নিরপেক্ষ করে মানুষের স্বাস্থ্যের উপকার করে। ফ্রি র্যাডিক্যালস কোষের ক্ষতি করতে পারে এবং বার্ধক্য ও ক্যানসারের মতো রোগের কারণ হতে পারে। চিয়া বীজে থাকা কিছু নির্দিষ্ট অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলো ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, ক্যাফেইক অ্যাসিড, মাইরিসেটিন, কুয়ারসেটিন ও কেমফেরল; যা হৃদ্যন্ত্র ও যকৃতের ওপর প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব ফেলতে পারে।
ওজন কমাতে সহায়ক
চিয়া বীজে থাকা ফাইবার বা আঁশ এবং প্রোটিন ওজন কমানোর ক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে। ২৮ গ্রাম চিয়া বীজে প্রায় ১০ গ্রাম খাদ্যতালিকাগত ফাইবার থাকে। কিছু গবেষণা অনুযায়ী, ফাইবার গ্রহণ স্থূলতা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে। এ ছাড়া চিয়া বীজের প্রোটিন ক্ষুধা ও খাদ্যের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করতে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নাশতার সময় দইয়ের সঙ্গে চিয়া বীজ খেলে তা পেট ভরা থাকার অনুভূতি বাড়ায় এবং অল্প সময়ে খাদ্যের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। যদিও চিয়া বীজ একা ওজন কমাতে সাহায্য না-ও করতে পারে, তবে এটি একটি ভারসাম্যপূর্ণ এবং পুষ্টিকর খাদ্যের একটি সহায়ক অংশ হতে পারে।
হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে
চিয়া বীজে ফাইবার এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকায় এটি হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। চিয়া বীজে মূলত এই ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা রক্তে মোট এবং এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে। চিয়া বীজের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমার সঙ্গে যুক্ত। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, চিয়া বীজ সম্পূরক হিসেবে সেবন করলে উচ্চ রক্তচাপযুক্ত মানুষের রক্তচাপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে।
হাড়ের গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান ধারণ করে
চিয়া বীজ হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেশিয়াম। পর্যাপ্ত পরিমাণে এই পুষ্টি উপাদানগুলো গ্রহণ করা হাড়ের শক্তি বা ঘনত্বের জন্য অপরিহার্য। এ ছাড়া চিয়া বীজের এএলএ হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ভূমিকা রাখতে পারে। নিয়মিত চিয়া বীজ খেলে আপনার হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করতে পারে।
রক্তের শর্করা কমাতে পারে
চিয়া বীজ রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে; সম্ভবত এর ফাইবার উপাদান এবং অন্যান্য উপকারী যৌগের কারণে। প্রাণীদের ওপর চালানো গবেষণায় দেখা গেছে, চিয়া বীজ ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে পারে, যা খাবারের পরে রক্তে শর্করা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করতে পারে। মানুষের ওপর চালানো কিছু পুরোনো গবেষণায় দেখা গেছে যে চিয়া বীজযুক্ত রুটি খেলে সাধারণ রুটির তুলনায় খাবারের পরে রক্তে শর্করা বৃদ্ধির হার কমায়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

আজ সকালে আপনি এক্কেবারে হন্তদন্ত হয়ে ঘর থেকে বেরোবেন, কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছে মনে পড়বে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি (সেটা মানিব্যাগ হোক বা হেডফোন) ফেলেই এসেছেন। কর্মক্ষেত্রে আপনার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেখে সবাই মুগ্ধ হবে, কিন্তু আপনার বস গোপনে ভাববেন, ‘এ সবকিছুতে এত তাড়াহুড়া করে কেন?...
২ দিন আগে
আজ সকালে উঠেই মনে করবেন, আপনি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং সব কাজ ৫ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে। কাজের জায়গায় বসকে এমন কিছু বুদ্ধি দেবেন, যা শুনে তিনি প্রথমে চমকে যাবেন, তারপর ভাববেন—‘এটা কি সত্যিই কাজ করবে?’ উত্তর: হয়তো করবে না।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর ১ নভেম্বর পালিত হয় বিশ্ব ভেগান দিবস। ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্যের ভেগান সোসাইটির সভাপতি লুইস ওয়ালিস এদিনটি শুরু করেন ভেগান আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে। উদ্দেশ্য ছিল, মানুষকে প্রাণিজ খাদ্যের বিকল্প সম্পর্কে অবগত করা এবং পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও প্রাণীর প্রতি সহানুভূতির গুরুত্ব তুলে ধরা। আজ এদিনটি
১৬ ঘণ্টা আগে
বাঙালির ফ্রিজে দুধ ও দই দুটোই থাকে। খাওয়া ছাড়াও এই দুই প্রাকৃতিক উপাদান চুলের যত্নে নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। তবে একটি বিতর্ক রয়ে গেছে; চুলের বৃদ্ধির জন্য কোনটি ভালো—দুধ নাকি দই? অনেকের মতে, দুটোই তো ভালো; বাদ দেব কোনটি? বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, চুলের জন্য এই দুটো ভালো। তবে চুলের বৃদ্ধির বেলায় দুটোর
১৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

প্রতিবছর ১ নভেম্বর পালিত হয় বিশ্ব ভেগান দিবস। ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্যের ভেগান সোসাইটির সভাপতি লুইস ওয়ালিস এদিনটি শুরু করেন ভেগান আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে। উদ্দেশ্য ছিল, মানুষকে প্রাণিজ খাদ্যের বিকল্প সম্পর্কে অবগত করা এবং পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও প্রাণীর প্রতি সহানুভূতির গুরুত্ব তুলে ধরা। আজ এদিনটি শুধু নিরামিষভোজীদের উৎসব নয়, বরং এক সবুজ পৃথিবীর দিকে ছোট্ট পদক্ষেপ। ভেগান দিবস পালিত হয় মূলত দুগ্ধজাত বা প্রাণীজ পণ্য বাদ দিয়ে সর্ব-সবুজ খাদ্য গ্রহণের প্রথা উদ্যাপন করার জন্য।
ভেজিটেরিয়ানরা উদ্ভিজ্জ খাবারের পাশাপাশি দুধ, ডিম ইত্যাদি প্রাণিজ আমিষও খেয়ে থাকেন। কিন্তু ভেগানরা প্রাণিজ উৎস থেকে কিছুই গ্রহণ করেন না। যাঁরা ভেগান জীবন যাপন করেন, তাঁরা মূলত প্রাণিজ কোনো পণ্য ব্যবহার করেন না। তাঁরা দুধ, পনির, মাখন, এমনকি মধুও খান না। তাঁরা যেমনভাবে কোনো ধরনের প্রাণিজ খাবার গ্রহণ করেন না, ঠিক একইভাবে প্রাণীর শরীরের কোনো অংশ থেকে তৈরি কোনো জিনিসও তাঁরা পুরোপুরি এড়িয়ে চলেন। অর্থাৎ ভেগানরা ভেজিটেরিয়ানদের চেয়ে আরও অনেক বেশি কট্টর। খাদ্যতালিকায় মাংস না থাকাটা নতুন কিছু নয়। আজ থেকে আড়াই হাজারের বেশি বছর আগে প্রাচীন ভারতে এই চর্চা ছিল। এ ছাড়া ভূমধ্যসাগরীয় এলাকাতেও এমন প্রচলন ছিল বলে জানা যায়। গবেষণাগুলো থেকে জানা যায়, ভেগান হলে স্বাস্থ্যের কিছু উপকার সত্যিই হয়। যাঁরা ভেগান, বা ভেগান হওয়ার কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা পাঠিয়েছেন দারুণ কয়েকটি রেসিপি ও ছবি।

সিলেটিরা খেতে পারেন ভিন্ন স্বাদের কচি চা-পাতার ভর্তা
উপকরণ
কচি চা-পাতা কুচি এক কাপ, আলু সেদ্ধ চারটা, কাঁচা মরিচ কুচি দুই টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, রসুন কুচি এক টেবিল চামচ, সরিষার তেল দুই টেবিল চামচ, চানাচুর আধা কাপ।
প্রণালি
আলু সেদ্ধ করে খোসা ফেলে নিন। এবার চায়ের পাতা ধুয়ে মিহি কুচি করে কেটে দিন। এবার পেঁয়াজ কুচি, লবণ, রসুন কুচি একসঙ্গে ভালো করে চটকে নিন। তারপর চায়ের পাতা কুচি দিয়ে আবারও চটকে নিন। শেষে আলু সেদ্ধ মিশিয়ে সরিষার তেল দিয়ে আবারও মাখিয়ে আলতো হাতে মাখিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল কচি চা-পাতার ভর্তা। গরম-গরম ভাত বা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন এই ভর্তা।
শহুরে ভেগানরা চেখে দেখুন বেগুনের কোর্মা
উপকরণ
বেগুন ৫০০ গ্রাম, টমেটো দুটি, আদা ও রসুন বাটা এক চা চামচ, তেজপাতা দুটি, টকদই দুই টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, হলুদ, কাঁচা মরিচ বাটা এক চা চামচ করে, সয়াবিন তেল চার টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা চামচ, হিং এক চিমটি।
প্রণালি
বেগুন লম্বা করে কেটে ধুয়ে নিন। লবণ ও হলুদ মাখিয়ে ভেজে তুলুন। কড়াইতে সাদা তেল গরম হলে এলাচ ও দারুচিনি, তেজপাতা ও হিং দিন। পরে সব বাটা মসলা দিয়ে দই দিয়ে কষিয়ে নিন। পরে চিনি দিন। সামান্য পানি দিন। ফুটে উঠলে ভাজা টমেটো ও বেগুন দিন। মাখো মাখো হলে নামানোর আগে ঘি ও জয়ত্রী গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল বেগুনের কোর্মা।

ব্যাচেলররা খেতে পারেন বিটের সবজি
উপকরণ
বিট ২০০ গ্রাম, আলু দুটি, গাজর একটি, ফুলকপি একটি, ব্রকোলি একটি, বরবটি এক কাপ, টমেটো এক কাপ, কাঁচা মরিচ ছয়-সাতটি, ধনেপাতা কুচি দুই টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা এক চা চামচ, হলুদ সামান্য, শুকনা মরিচ দু-তিনটি, পাঁচফোড়ন আধা চা চামচ, সয়াবিন তেল চার টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, ঘি দুই টেবিল চামচ।
প্রণালি
সব সবজি কেটে ধুয়ে ফুটন্ত পানিতে চার-পাঁচ মিনিট সেদ্ধ করে নিন। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে শুকনা মরিচের ফোড়ন দিন। সব সবজি আর আদা ও রসুন বাটা, পেঁয়াজ কুচি, হলুদ দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। সেদ্ধ হলে টমেটো, কাঁচা মরিচ, পাঁচফোড়ন, গরম মসলা দিয়ে নেড়ে রান্না করুন। হয়ে এলে চিনি দিন। এবার লবণ দেখে নামিয়ে নিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল বিটের বাহারি সবজি।

প্রতিবছর ১ নভেম্বর পালিত হয় বিশ্ব ভেগান দিবস। ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্যের ভেগান সোসাইটির সভাপতি লুইস ওয়ালিস এদিনটি শুরু করেন ভেগান আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে। উদ্দেশ্য ছিল, মানুষকে প্রাণিজ খাদ্যের বিকল্প সম্পর্কে অবগত করা এবং পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও প্রাণীর প্রতি সহানুভূতির গুরুত্ব তুলে ধরা। আজ এদিনটি শুধু নিরামিষভোজীদের উৎসব নয়, বরং এক সবুজ পৃথিবীর দিকে ছোট্ট পদক্ষেপ। ভেগান দিবস পালিত হয় মূলত দুগ্ধজাত বা প্রাণীজ পণ্য বাদ দিয়ে সর্ব-সবুজ খাদ্য গ্রহণের প্রথা উদ্যাপন করার জন্য।
ভেজিটেরিয়ানরা উদ্ভিজ্জ খাবারের পাশাপাশি দুধ, ডিম ইত্যাদি প্রাণিজ আমিষও খেয়ে থাকেন। কিন্তু ভেগানরা প্রাণিজ উৎস থেকে কিছুই গ্রহণ করেন না। যাঁরা ভেগান জীবন যাপন করেন, তাঁরা মূলত প্রাণিজ কোনো পণ্য ব্যবহার করেন না। তাঁরা দুধ, পনির, মাখন, এমনকি মধুও খান না। তাঁরা যেমনভাবে কোনো ধরনের প্রাণিজ খাবার গ্রহণ করেন না, ঠিক একইভাবে প্রাণীর শরীরের কোনো অংশ থেকে তৈরি কোনো জিনিসও তাঁরা পুরোপুরি এড়িয়ে চলেন। অর্থাৎ ভেগানরা ভেজিটেরিয়ানদের চেয়ে আরও অনেক বেশি কট্টর। খাদ্যতালিকায় মাংস না থাকাটা নতুন কিছু নয়। আজ থেকে আড়াই হাজারের বেশি বছর আগে প্রাচীন ভারতে এই চর্চা ছিল। এ ছাড়া ভূমধ্যসাগরীয় এলাকাতেও এমন প্রচলন ছিল বলে জানা যায়। গবেষণাগুলো থেকে জানা যায়, ভেগান হলে স্বাস্থ্যের কিছু উপকার সত্যিই হয়। যাঁরা ভেগান, বা ভেগান হওয়ার কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা পাঠিয়েছেন দারুণ কয়েকটি রেসিপি ও ছবি।

সিলেটিরা খেতে পারেন ভিন্ন স্বাদের কচি চা-পাতার ভর্তা
উপকরণ
কচি চা-পাতা কুচি এক কাপ, আলু সেদ্ধ চারটা, কাঁচা মরিচ কুচি দুই টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, রসুন কুচি এক টেবিল চামচ, সরিষার তেল দুই টেবিল চামচ, চানাচুর আধা কাপ।
প্রণালি
আলু সেদ্ধ করে খোসা ফেলে নিন। এবার চায়ের পাতা ধুয়ে মিহি কুচি করে কেটে দিন। এবার পেঁয়াজ কুচি, লবণ, রসুন কুচি একসঙ্গে ভালো করে চটকে নিন। তারপর চায়ের পাতা কুচি দিয়ে আবারও চটকে নিন। শেষে আলু সেদ্ধ মিশিয়ে সরিষার তেল দিয়ে আবারও মাখিয়ে আলতো হাতে মাখিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল কচি চা-পাতার ভর্তা। গরম-গরম ভাত বা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন এই ভর্তা।
শহুরে ভেগানরা চেখে দেখুন বেগুনের কোর্মা
উপকরণ
বেগুন ৫০০ গ্রাম, টমেটো দুটি, আদা ও রসুন বাটা এক চা চামচ, তেজপাতা দুটি, টকদই দুই টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, হলুদ, কাঁচা মরিচ বাটা এক চা চামচ করে, সয়াবিন তেল চার টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা চামচ, হিং এক চিমটি।
প্রণালি
বেগুন লম্বা করে কেটে ধুয়ে নিন। লবণ ও হলুদ মাখিয়ে ভেজে তুলুন। কড়াইতে সাদা তেল গরম হলে এলাচ ও দারুচিনি, তেজপাতা ও হিং দিন। পরে সব বাটা মসলা দিয়ে দই দিয়ে কষিয়ে নিন। পরে চিনি দিন। সামান্য পানি দিন। ফুটে উঠলে ভাজা টমেটো ও বেগুন দিন। মাখো মাখো হলে নামানোর আগে ঘি ও জয়ত্রী গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল বেগুনের কোর্মা।

ব্যাচেলররা খেতে পারেন বিটের সবজি
উপকরণ
বিট ২০০ গ্রাম, আলু দুটি, গাজর একটি, ফুলকপি একটি, ব্রকোলি একটি, বরবটি এক কাপ, টমেটো এক কাপ, কাঁচা মরিচ ছয়-সাতটি, ধনেপাতা কুচি দুই টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা এক চা চামচ, হলুদ সামান্য, শুকনা মরিচ দু-তিনটি, পাঁচফোড়ন আধা চা চামচ, সয়াবিন তেল চার টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, ঘি দুই টেবিল চামচ।
প্রণালি
সব সবজি কেটে ধুয়ে ফুটন্ত পানিতে চার-পাঁচ মিনিট সেদ্ধ করে নিন। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে শুকনা মরিচের ফোড়ন দিন। সব সবজি আর আদা ও রসুন বাটা, পেঁয়াজ কুচি, হলুদ দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। সেদ্ধ হলে টমেটো, কাঁচা মরিচ, পাঁচফোড়ন, গরম মসলা দিয়ে নেড়ে রান্না করুন। হয়ে এলে চিনি দিন। এবার লবণ দেখে নামিয়ে নিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল বিটের বাহারি সবজি।

আজ সকালে আপনি এক্কেবারে হন্তদন্ত হয়ে ঘর থেকে বেরোবেন, কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছে মনে পড়বে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি (সেটা মানিব্যাগ হোক বা হেডফোন) ফেলেই এসেছেন। কর্মক্ষেত্রে আপনার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেখে সবাই মুগ্ধ হবে, কিন্তু আপনার বস গোপনে ভাববেন, ‘এ সবকিছুতে এত তাড়াহুড়া করে কেন?...
২ দিন আগে
আজ সকালে উঠেই মনে করবেন, আপনি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং সব কাজ ৫ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে। কাজের জায়গায় বসকে এমন কিছু বুদ্ধি দেবেন, যা শুনে তিনি প্রথমে চমকে যাবেন, তারপর ভাববেন—‘এটা কি সত্যিই কাজ করবে?’ উত্তর: হয়তো করবে না।
১ ঘণ্টা আগে
একটা কথা প্রচলিত আছে, ছোট মরিচের ঝাল বেশি। অর্থাৎ আকার যেমনই হোক, তার ওপর এর গুণাগুণ কিংবা স্বাদ নির্ভর করে না। তেমনই চিয়া বীজ ছোট হলেও এটি পুষ্টিতে ভরপুর। প্রাচীন অ্যাজটেক এবং মায়া সভ্যতার খাদ্যতালিকায় এটি ছিল প্রধান খাবার।
২ ঘণ্টা আগে
বাঙালির ফ্রিজে দুধ ও দই দুটোই থাকে। খাওয়া ছাড়াও এই দুই প্রাকৃতিক উপাদান চুলের যত্নে নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। তবে একটি বিতর্ক রয়ে গেছে; চুলের বৃদ্ধির জন্য কোনটি ভালো—দুধ নাকি দই? অনেকের মতে, দুটোই তো ভালো; বাদ দেব কোনটি? বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, চুলের জন্য এই দুটো ভালো। তবে চুলের বৃদ্ধির বেলায় দুটোর
১৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বাঙালির ফ্রিজে দুধ ও দই দুটোই থাকে। খাওয়া ছাড়াও এই দুই প্রাকৃতিক উপাদান চুলের যত্নে নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। তবে একটি বিতর্ক রয়ে গেছে; চুলের বৃদ্ধির জন্য কোনটি ভালো—দুধ নাকি দই? অনেকের মতে, দুটোই তো ভালো; বাদ দেব কোনটি? বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, চুলের জন্য এই দুটো ভালো। তবে চুলের বৃদ্ধির বেলায় দুটোর কার্যকারিতা ভিন্ন। জেনে নিন কোনটি আসলে আপনার চুল দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

নরম ও মসৃণ চুলের জন্য দুধ
দুধ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনে পরিপূর্ণ। ফলে এটি আপনার চুলকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। চুলে দুধ ব্যবহার করলে তা প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের মতো কাজ করে। ফলে রুক্ষতা কমে গিয়ে চুল হয় নরম ও মসৃণ।
দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড মাথার ত্বক পরিষ্কার করে, ময়লা ও জমাট বাঁধা খুশকি দূর করে। যাঁদের চুল অতিরিক্ত শুষ্ক বা ক্ষতিগ্রস্ত, তাঁদের চুলে আর্দ্রতা ফিরিয়ে এনে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুধ ভালো কাজ করে। সে ক্ষেত্রে শুধু দুধ নয়; সঙ্গে মধু, কলা ও অ্যালোভেরা মিশিয়ে সুপার ময়েশ্চারাইজিং হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে পারেন।
জেনে রাখা ভালো যে দুধ আপনার চুলকে স্বাস্থ্যকর ও চকচকে দেখাতে কার্যকর হলেও, এটি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে না। এটি মাথার ত্বকের উপরিভাগে বেশি কাজ করে। কিন্তু চুল ঘন করা বা চুল গজানোর মতো ব্যাপারগুলোয় এর কোনো কার্যকারিতা নেই বললেই চলে।

টক দই চুলের গোড়া শক্তিশালী করে এবং দ্রুত চুল বৃদ্ধি করে
টক দই প্রোবায়োটিকসে পরিপূর্ণ। এর মধ্যকার ভালো ব্যাকটেরিয়া মাথার ত্বক পরিষ্কার ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এতে প্রোটিন, ভিটামিন বি৫ ও জিংক রয়েছে, যা চুল বড় হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়।
টক দই মাথার ত্বক ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে, খুশকি প্রতিরোধ করে এবং সংক্রমণ এড়াতে সহায়তা করে। এটি চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়। টক দই ফলিকলগুলো শক্তিশালী করে বলে নতুন চুল গজায় এবং চুল দ্রুত বড় হয়। টক দইয়ের সঙ্গে আমলকীর গুঁড়া, মেথি অথবা নারকেল তেলের মতো উপাদান মিশিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া টক দই চুল নরম ও চকচকে করে তোলে। এটি মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
চুল যতই সিল্কি হোক, ঘনত্ব না থাকলে আসল সৌন্দর্য অধরাই থেকে যায়। টক দই দিয়ে তৈরি করা যায় এমন অনেক হেয়ার প্যাক রয়েছে, যেগুলো নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল ধীরে ধীরে ঘন হয়। ডিম আর টক দই চুলের জন্য ভীষণ উপকারী দুটি উপাদান। শ্যাম্পু করার আধা ঘণ্টা আগে মাথার ত্বক ও চুলে ডিম আর টক দইয়ের মিশ্রণ লাগিয়ে রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে এক মগ পানিতে খানিকটা পাতিলেবুর রস আর আধা কাপ গোলাপজল মিশিয়ে আরেকবার চুল ধুয়ে নিন। এতে চুলে ডিমের আঁশটে গন্ধ থাকবে না। শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ এবং বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ারের স্বত্বাধিকারী
কোনটি বেশি ভালো: দুধ না টক দই?
যদি দ্রুত নরম ও চকচকে চুল পেতে চান, তাহলে দুধ বেছে নিন। কিন্তু গোড়া মজবুত ও লম্বা চুল পেতে আগ্রহী হলে টক দই বেছে নিতে হবে। এটি শুধু মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায় না, বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চুল ঘন ও স্বাস্থ্যকর করে তোলে।
তবে দুধ ও টক দই উভয়ই তাদের নিজস্ব উপায়ে চুলের যত্নে কাজ করে। এমনকি এই দুটি উপকরণ একসঙ্গেও ব্যবহার করা যায়। এক চামচ মধু বা নারকেল তেলের সঙ্গে দুধ ও টক দই মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে।

চুলে দুধ যেভাবে ব্যবহার করবেন
আধা কাপ দুধ গরম করুন। একটি তুলার বল বা স্প্রে বোতল ব্যবহার করে এটি আপনার মাথার ত্বক ও চুলে লাগান। ১৫-২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কোঁকড়ানো চুলের নমনীয়তার জন্য সপ্তাহে একবার দুধ এভাবে ব্যবহার করুন।
চুলে টক দই যেভাবে ব্যবহার করবেন
৩ টেবিল চামচ দই ১ টেবিল চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি আপনার মাথার ত্বক ও পুরো চুলে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। মজবুত ও চকচকে চুলের জন্য সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করুন এটি।
চুলের যত্নে দুধ ও টক দই দুটোই উপকারী। কিন্তু টক দই ব্যবহারে কিছুটা উপকার বেশি পাওয়া যায়। চুল দ্রুত বড় করতে চাইছেন যাঁরা, তাঁরা দুধের পরিবর্তে এখন থেকে টক দই ব্যবহার করুন।

বাঙালির ফ্রিজে দুধ ও দই দুটোই থাকে। খাওয়া ছাড়াও এই দুই প্রাকৃতিক উপাদান চুলের যত্নে নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। তবে একটি বিতর্ক রয়ে গেছে; চুলের বৃদ্ধির জন্য কোনটি ভালো—দুধ নাকি দই? অনেকের মতে, দুটোই তো ভালো; বাদ দেব কোনটি? বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, চুলের জন্য এই দুটো ভালো। তবে চুলের বৃদ্ধির বেলায় দুটোর কার্যকারিতা ভিন্ন। জেনে নিন কোনটি আসলে আপনার চুল দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

নরম ও মসৃণ চুলের জন্য দুধ
দুধ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনে পরিপূর্ণ। ফলে এটি আপনার চুলকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। চুলে দুধ ব্যবহার করলে তা প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের মতো কাজ করে। ফলে রুক্ষতা কমে গিয়ে চুল হয় নরম ও মসৃণ।
দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড মাথার ত্বক পরিষ্কার করে, ময়লা ও জমাট বাঁধা খুশকি দূর করে। যাঁদের চুল অতিরিক্ত শুষ্ক বা ক্ষতিগ্রস্ত, তাঁদের চুলে আর্দ্রতা ফিরিয়ে এনে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুধ ভালো কাজ করে। সে ক্ষেত্রে শুধু দুধ নয়; সঙ্গে মধু, কলা ও অ্যালোভেরা মিশিয়ে সুপার ময়েশ্চারাইজিং হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে পারেন।
জেনে রাখা ভালো যে দুধ আপনার চুলকে স্বাস্থ্যকর ও চকচকে দেখাতে কার্যকর হলেও, এটি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে না। এটি মাথার ত্বকের উপরিভাগে বেশি কাজ করে। কিন্তু চুল ঘন করা বা চুল গজানোর মতো ব্যাপারগুলোয় এর কোনো কার্যকারিতা নেই বললেই চলে।

টক দই চুলের গোড়া শক্তিশালী করে এবং দ্রুত চুল বৃদ্ধি করে
টক দই প্রোবায়োটিকসে পরিপূর্ণ। এর মধ্যকার ভালো ব্যাকটেরিয়া মাথার ত্বক পরিষ্কার ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এতে প্রোটিন, ভিটামিন বি৫ ও জিংক রয়েছে, যা চুল বড় হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়।
টক দই মাথার ত্বক ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে, খুশকি প্রতিরোধ করে এবং সংক্রমণ এড়াতে সহায়তা করে। এটি চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়। টক দই ফলিকলগুলো শক্তিশালী করে বলে নতুন চুল গজায় এবং চুল দ্রুত বড় হয়। টক দইয়ের সঙ্গে আমলকীর গুঁড়া, মেথি অথবা নারকেল তেলের মতো উপাদান মিশিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া টক দই চুল নরম ও চকচকে করে তোলে। এটি মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
চুল যতই সিল্কি হোক, ঘনত্ব না থাকলে আসল সৌন্দর্য অধরাই থেকে যায়। টক দই দিয়ে তৈরি করা যায় এমন অনেক হেয়ার প্যাক রয়েছে, যেগুলো নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল ধীরে ধীরে ঘন হয়। ডিম আর টক দই চুলের জন্য ভীষণ উপকারী দুটি উপাদান। শ্যাম্পু করার আধা ঘণ্টা আগে মাথার ত্বক ও চুলে ডিম আর টক দইয়ের মিশ্রণ লাগিয়ে রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে এক মগ পানিতে খানিকটা পাতিলেবুর রস আর আধা কাপ গোলাপজল মিশিয়ে আরেকবার চুল ধুয়ে নিন। এতে চুলে ডিমের আঁশটে গন্ধ থাকবে না। শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ এবং বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ারের স্বত্বাধিকারী
কোনটি বেশি ভালো: দুধ না টক দই?
যদি দ্রুত নরম ও চকচকে চুল পেতে চান, তাহলে দুধ বেছে নিন। কিন্তু গোড়া মজবুত ও লম্বা চুল পেতে আগ্রহী হলে টক দই বেছে নিতে হবে। এটি শুধু মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায় না, বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চুল ঘন ও স্বাস্থ্যকর করে তোলে।
তবে দুধ ও টক দই উভয়ই তাদের নিজস্ব উপায়ে চুলের যত্নে কাজ করে। এমনকি এই দুটি উপকরণ একসঙ্গেও ব্যবহার করা যায়। এক চামচ মধু বা নারকেল তেলের সঙ্গে দুধ ও টক দই মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে।

চুলে দুধ যেভাবে ব্যবহার করবেন
আধা কাপ দুধ গরম করুন। একটি তুলার বল বা স্প্রে বোতল ব্যবহার করে এটি আপনার মাথার ত্বক ও চুলে লাগান। ১৫-২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কোঁকড়ানো চুলের নমনীয়তার জন্য সপ্তাহে একবার দুধ এভাবে ব্যবহার করুন।
চুলে টক দই যেভাবে ব্যবহার করবেন
৩ টেবিল চামচ দই ১ টেবিল চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি আপনার মাথার ত্বক ও পুরো চুলে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। মজবুত ও চকচকে চুলের জন্য সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করুন এটি।
চুলের যত্নে দুধ ও টক দই দুটোই উপকারী। কিন্তু টক দই ব্যবহারে কিছুটা উপকার বেশি পাওয়া যায়। চুল দ্রুত বড় করতে চাইছেন যাঁরা, তাঁরা দুধের পরিবর্তে এখন থেকে টক দই ব্যবহার করুন।

আজ সকালে আপনি এক্কেবারে হন্তদন্ত হয়ে ঘর থেকে বেরোবেন, কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছে মনে পড়বে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি (সেটা মানিব্যাগ হোক বা হেডফোন) ফেলেই এসেছেন। কর্মক্ষেত্রে আপনার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেখে সবাই মুগ্ধ হবে, কিন্তু আপনার বস গোপনে ভাববেন, ‘এ সবকিছুতে এত তাড়াহুড়া করে কেন?...
২ দিন আগে
আজ সকালে উঠেই মনে করবেন, আপনি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং সব কাজ ৫ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে। কাজের জায়গায় বসকে এমন কিছু বুদ্ধি দেবেন, যা শুনে তিনি প্রথমে চমকে যাবেন, তারপর ভাববেন—‘এটা কি সত্যিই কাজ করবে?’ উত্তর: হয়তো করবে না।
১ ঘণ্টা আগে
একটা কথা প্রচলিত আছে, ছোট মরিচের ঝাল বেশি। অর্থাৎ আকার যেমনই হোক, তার ওপর এর গুণাগুণ কিংবা স্বাদ নির্ভর করে না। তেমনই চিয়া বীজ ছোট হলেও এটি পুষ্টিতে ভরপুর। প্রাচীন অ্যাজটেক এবং মায়া সভ্যতার খাদ্যতালিকায় এটি ছিল প্রধান খাবার।
২ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর ১ নভেম্বর পালিত হয় বিশ্ব ভেগান দিবস। ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্যের ভেগান সোসাইটির সভাপতি লুইস ওয়ালিস এদিনটি শুরু করেন ভেগান আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে। উদ্দেশ্য ছিল, মানুষকে প্রাণিজ খাদ্যের বিকল্প সম্পর্কে অবগত করা এবং পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও প্রাণীর প্রতি সহানুভূতির গুরুত্ব তুলে ধরা। আজ এদিনটি
১৬ ঘণ্টা আগে