আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বন্দে মাতরমের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে লোকসভায় বিশেষ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বঙ্কিমচন্দ্রকে চারবার ‘বঙ্কিমদা’ সম্বোধন করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ১৯০৫ সালে লিখেছিলেন, বন্দে মাতরম লোকের মুখে মুখে ফিরছে। তা জাতীয় সংগীত হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও মুসলিম লিগের দাবির কাছে নতিস্বীকার করেন জওহরলাল নেহরু। নেতাজিকে চিঠি লিখে নেহরু বলেন, তিনি জিন্নার ভাবনার সঙ্গে সহমত, আনন্দমঠের পৃষ্ঠভূমি মনে রাখলে বন্দে মাতরম মুসলিমদের ইরিটেট করতে পারে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কলকাতায় কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বন্দে মাতরমকে টুকরো করা হলো। বন্দে মাতরম এত মহান হওয়া সত্ত্বেও কেন তার প্রতি অন্যায় করা হলো, কেন বিশ্বাসঘাতকতা করা হলো, কোন শক্তি যার ইচ্ছা পূজ্য বাপুর ভাবনাকেও বাতিল করে দিল। কংগ্রেস বন্দে মাতরমকে বাতিল করে দিল। তুষ্টীকরণের রাজনীতি করল। তাই কংগ্রেসকে ভারতের বিভাজনও মেনে নিতে হয়েছে। কংগ্রেসের নীতি সে রকমই আছে, আজও কংগ্রেস বন্দে মাতরমের বিরোধ করে যাচ্ছে।’
নরেন্দ্র মোদি তাঁর ভাষণে বার চারেক বঙ্কিমচন্দ্রকে ‘বঙ্কিমদা’ বলে সম্বোধন করেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্কিমদা যখন বন্দে মাতরম লিখলেন, তখন তা দেশের স্বর হয়ে উঠল।’ একাধিকবার বঙ্কিমদা বলার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সৌগত রায় বলেন, ‘অন্ততপক্ষে বঙ্কিমবাবু বলুন।’ মোদি বলেন, ‘আমি আপনার ভাবনাকে সমর্থন করি। বঙ্কিমবাবু বলছি।’ তারপর তিনি বলেন, ‘আমি আপনাকে তো দাদা বলি। সেটা বলব তো। নাকি তাতেও আপনি আপত্তি করবেন?’
বঙ্কিমচন্দ্র বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অভ্র ঘোষ বলেছেন, ‘এমন ধৃষ্টতা কেমন করে হয়? বঙ্কিমচন্দ্রকে কেউ কখনো বঙ্কিমদা বলেছেন বলে শুনিনি। শ্রীঅরবিন্দ ১৯০৫ সালে প্রথমে বলেন ঋষি বঙ্কিম। তার পর থেকে অনেকেই তাঁকে ঋষি বঙ্কিম বলেন, বঙ্কিমদা কেউ বলেননি।’ প্রবীণ সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র বলেছেন, ‘হয়তো প্রধানমন্ত্রী একটু বেশি বাঙালি হতে চেয়েছেন।’
মোদি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘বন্দে মাতরমের ১৫০ বছরের যাত্রা অনেক পর্বের মধ্যে দিয়ে গেছে। এই গান যখন লেখা হয়, তখন দেশ পরাধীন ছিল। এই গান লেখার ১০০ বছর যখন পূর্ণ হলো, তখন দেশ জরুরি অবস্থার শিকলে বন্দী ছিল। তখন সংবিধানের গলা চেপে ধরা হয়েছিল। দেশভক্তির জন্য যাঁরা বাঁচতেন, মারা যেতেন, তাঁদের জেলে বন্দী করি হলো। দুর্ভাগ্য, বন্দে মাতরমের ১০০ বছরে এই কালখণ্ডও ইতিহাসে ঢুকে গেল।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বন্দে মাতরম কেবল রাজনৈতিক স্বাধীনতার মন্ত্র ছিল না, তার থেকে আরও বেশি কিছু ছিল। দেশবাসীর গর্ব হওয়া উচিত।’ তাঁর ভাষ্য, ‘জওহরলাল নেহরুর উচিত ছিল, জিন্নার আধারহীন বক্তব্যের কঠোর জবাব দেওয়া, নিন্দা করা। কিন্তু তিনি জিন্নার ভাবনার সঙ্গে সহমত হলেন। কংগ্রেস মুসলিম লিগের সামনে হাঁটু মুড়ে বসল।’ মোদির দাবি, ‘বন্দে মাতরম রাস্তা তৈরি করেছে, তাই আমরা এখানে এসেছি। বন্দে মাতরম আমাদের প্রেরণা।’
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র প্রশ্ন করেন, ‘আজ এই বিতর্কের প্রয়োজন কী? বন্দে মাতরম তো দেশের সর্বত্র মানুষের মনে আছে। আমাদের জাতীয় গান নিয়ে কিসের বিতর্ক? তা-ও এ নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে তার প্রথম কারণ, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন আসছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিজের ভূমিকা পালন করতে চান। দ্বিতীয় কারণ, একটা পুরোনো উদ্দেশ্য, যারা স্বাধীনতার লড়াই লড়েছে, তাদের বদনাম করা। দেশের জ্বলন্ত সমস্যার থেকে মানুষের নজর ঘোরানো।’
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মহাপুরুষদের অপমান করেছেন। সংবিধান সভাকে অপমান করেছেন। তিনি যত দিন প্রধানমন্ত্রী আছেন, তত দিন নেহরু জেলে ছিলেন। এরপর ১৭ বছর ধরে তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। নেহরু দেশের জন্য বেঁচেছেন, দেশের সেবা করতে করতে মৃত্যু হয়েছে। এর থেকে ভালো হবে, স্পিকার সময় ঠিক করে দিন। যতক্ষণ তিনি শান্ত না হচ্ছেন, আমরা কথা বলব। নেহরু, ইন্দিরা, রাজীব, পরিবারবাদ নিয়ে তাঁর যা বলার একবারে বলে দিন। তারপর বিষয়টি ক্লোজ করুন। তারপর বেকারি, মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি নিয়ে কথা বলুন। নারীদের অবস্থা নিয়ে কথা বলুন।’
তৃণমূল সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘যখন বেকারি ২০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, দিল্লিতে বায়ুদূষণের পরিমাণ ৮০০ ছাড়িয়েছে, বিরোধী রাজ্যগুলোতে ১০০ দিনের কাজ, গরিবদের জন্য বাড়ি ও জলের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না, যখন লাখ লাখ মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, বিরোধীরা সংসদে জাতীয় বিষয়গুলো তুলতে পারছে না, তখন সরকার কেন বন্দে মাতরম নিয়ে আলোচনা এতটা জরুরি ও এতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করল। দুই সপ্তাহ আগে রাজ্যসভার বুলেটিন বলেছে, বন্দে মাতরম, জয় হিন্দ ও অন্য স্লোগান দেওয়া যাবে না। সরকার মনে করছে বন্দে মাতরম স্লোগানও নন সিরিয়াস।’

বন্দে মাতরমের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে লোকসভায় বিশেষ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বঙ্কিমচন্দ্রকে চারবার ‘বঙ্কিমদা’ সম্বোধন করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ১৯০৫ সালে লিখেছিলেন, বন্দে মাতরম লোকের মুখে মুখে ফিরছে। তা জাতীয় সংগীত হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও মুসলিম লিগের দাবির কাছে নতিস্বীকার করেন জওহরলাল নেহরু। নেতাজিকে চিঠি লিখে নেহরু বলেন, তিনি জিন্নার ভাবনার সঙ্গে সহমত, আনন্দমঠের পৃষ্ঠভূমি মনে রাখলে বন্দে মাতরম মুসলিমদের ইরিটেট করতে পারে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কলকাতায় কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বন্দে মাতরমকে টুকরো করা হলো। বন্দে মাতরম এত মহান হওয়া সত্ত্বেও কেন তার প্রতি অন্যায় করা হলো, কেন বিশ্বাসঘাতকতা করা হলো, কোন শক্তি যার ইচ্ছা পূজ্য বাপুর ভাবনাকেও বাতিল করে দিল। কংগ্রেস বন্দে মাতরমকে বাতিল করে দিল। তুষ্টীকরণের রাজনীতি করল। তাই কংগ্রেসকে ভারতের বিভাজনও মেনে নিতে হয়েছে। কংগ্রেসের নীতি সে রকমই আছে, আজও কংগ্রেস বন্দে মাতরমের বিরোধ করে যাচ্ছে।’
নরেন্দ্র মোদি তাঁর ভাষণে বার চারেক বঙ্কিমচন্দ্রকে ‘বঙ্কিমদা’ বলে সম্বোধন করেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্কিমদা যখন বন্দে মাতরম লিখলেন, তখন তা দেশের স্বর হয়ে উঠল।’ একাধিকবার বঙ্কিমদা বলার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সৌগত রায় বলেন, ‘অন্ততপক্ষে বঙ্কিমবাবু বলুন।’ মোদি বলেন, ‘আমি আপনার ভাবনাকে সমর্থন করি। বঙ্কিমবাবু বলছি।’ তারপর তিনি বলেন, ‘আমি আপনাকে তো দাদা বলি। সেটা বলব তো। নাকি তাতেও আপনি আপত্তি করবেন?’
বঙ্কিমচন্দ্র বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অভ্র ঘোষ বলেছেন, ‘এমন ধৃষ্টতা কেমন করে হয়? বঙ্কিমচন্দ্রকে কেউ কখনো বঙ্কিমদা বলেছেন বলে শুনিনি। শ্রীঅরবিন্দ ১৯০৫ সালে প্রথমে বলেন ঋষি বঙ্কিম। তার পর থেকে অনেকেই তাঁকে ঋষি বঙ্কিম বলেন, বঙ্কিমদা কেউ বলেননি।’ প্রবীণ সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র বলেছেন, ‘হয়তো প্রধানমন্ত্রী একটু বেশি বাঙালি হতে চেয়েছেন।’
মোদি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘বন্দে মাতরমের ১৫০ বছরের যাত্রা অনেক পর্বের মধ্যে দিয়ে গেছে। এই গান যখন লেখা হয়, তখন দেশ পরাধীন ছিল। এই গান লেখার ১০০ বছর যখন পূর্ণ হলো, তখন দেশ জরুরি অবস্থার শিকলে বন্দী ছিল। তখন সংবিধানের গলা চেপে ধরা হয়েছিল। দেশভক্তির জন্য যাঁরা বাঁচতেন, মারা যেতেন, তাঁদের জেলে বন্দী করি হলো। দুর্ভাগ্য, বন্দে মাতরমের ১০০ বছরে এই কালখণ্ডও ইতিহাসে ঢুকে গেল।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বন্দে মাতরম কেবল রাজনৈতিক স্বাধীনতার মন্ত্র ছিল না, তার থেকে আরও বেশি কিছু ছিল। দেশবাসীর গর্ব হওয়া উচিত।’ তাঁর ভাষ্য, ‘জওহরলাল নেহরুর উচিত ছিল, জিন্নার আধারহীন বক্তব্যের কঠোর জবাব দেওয়া, নিন্দা করা। কিন্তু তিনি জিন্নার ভাবনার সঙ্গে সহমত হলেন। কংগ্রেস মুসলিম লিগের সামনে হাঁটু মুড়ে বসল।’ মোদির দাবি, ‘বন্দে মাতরম রাস্তা তৈরি করেছে, তাই আমরা এখানে এসেছি। বন্দে মাতরম আমাদের প্রেরণা।’
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র প্রশ্ন করেন, ‘আজ এই বিতর্কের প্রয়োজন কী? বন্দে মাতরম তো দেশের সর্বত্র মানুষের মনে আছে। আমাদের জাতীয় গান নিয়ে কিসের বিতর্ক? তা-ও এ নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে তার প্রথম কারণ, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন আসছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিজের ভূমিকা পালন করতে চান। দ্বিতীয় কারণ, একটা পুরোনো উদ্দেশ্য, যারা স্বাধীনতার লড়াই লড়েছে, তাদের বদনাম করা। দেশের জ্বলন্ত সমস্যার থেকে মানুষের নজর ঘোরানো।’
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মহাপুরুষদের অপমান করেছেন। সংবিধান সভাকে অপমান করেছেন। তিনি যত দিন প্রধানমন্ত্রী আছেন, তত দিন নেহরু জেলে ছিলেন। এরপর ১৭ বছর ধরে তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। নেহরু দেশের জন্য বেঁচেছেন, দেশের সেবা করতে করতে মৃত্যু হয়েছে। এর থেকে ভালো হবে, স্পিকার সময় ঠিক করে দিন। যতক্ষণ তিনি শান্ত না হচ্ছেন, আমরা কথা বলব। নেহরু, ইন্দিরা, রাজীব, পরিবারবাদ নিয়ে তাঁর যা বলার একবারে বলে দিন। তারপর বিষয়টি ক্লোজ করুন। তারপর বেকারি, মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি নিয়ে কথা বলুন। নারীদের অবস্থা নিয়ে কথা বলুন।’
তৃণমূল সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘যখন বেকারি ২০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, দিল্লিতে বায়ুদূষণের পরিমাণ ৮০০ ছাড়িয়েছে, বিরোধী রাজ্যগুলোতে ১০০ দিনের কাজ, গরিবদের জন্য বাড়ি ও জলের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না, যখন লাখ লাখ মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, বিরোধীরা সংসদে জাতীয় বিষয়গুলো তুলতে পারছে না, তখন সরকার কেন বন্দে মাতরম নিয়ে আলোচনা এতটা জরুরি ও এতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করল। দুই সপ্তাহ আগে রাজ্যসভার বুলেটিন বলেছে, বন্দে মাতরম, জয় হিন্দ ও অন্য স্লোগান দেওয়া যাবে না। সরকার মনে করছে বন্দে মাতরম স্লোগানও নন সিরিয়াস।’

পূর্ব ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর পোকরভস্ক নিয়ে লড়াই এখনো চলছে। অথচ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, শহরটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেন বলছে, পুতিনের ওই দাবি সত্য নয়। শহরের উত্তরাংশ এখনো তাদের হাতে রয়েছে এবং তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
৩২ মিনিট আগে
প্রায় দুই দশক ধরে ইসলামাবাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসা টিটিপি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানের সীমান্ত অঞ্চলে হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসা তালেবান টিটিপিকে আশ্রয় দিচ্ছে। তবে কাবুল এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং দাবি করে, এটি পাকিস্তানের একটি
৩ ঘণ্টা আগে
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি সাততলা ভবনে আগুন লেগে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই ভবনটি একটি ড্রোন সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় ছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
৩ ঘণ্টা আগে
বিদ্রোহী জোটের ঝটিকা অভিযানে আল-আসাদ পরিবারের ৫৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে দামেস্কের পতন হওয়ার পর এক বছর পূর্ণ হলো। তবে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী সিরিয়ার সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে উল্লেখযোগ্যভাবে সামরিক অভিযান বাড়িয়েছে ইসরায়েল। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, প্রধান বিমানবন্দর
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পূর্ব ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর পোকরভস্ক নিয়ে লড়াই এখনো চলছে। অথচ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, শহরটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেন বলছে, পুতিনের ওই দাবি সত্য নয়। শহরের উত্তরাংশ এখনো তাদের হাতে রয়েছে এবং তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, পোকরভস্ক শহরটি দীর্ঘ সময় ধরে ইউক্রেনীয় সেনাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ রসদ ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু গত প্রায় ১৮ মাস ধরে এই শহরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে এবং শহরটি এখন প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
বিবিসি আরও জানায়, একটি কমান্ড পোস্টে ড্রোন ফিড দেখে শহরটির রুশ অবস্থানে আঘাত হানতে রেডিওর মাধ্যমে নির্দেশ দিচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা। স্কালা অ্যাসল্ট রেজিমেন্টের কমান্ডার ইউরি সাংবাদিকদের একটি ড্রোন ফুটেজে দেখিয়েছেন, তাদের সৈন্যরা এখনো শহরের উত্তর অংশে ইউক্রেনের পতাকা ওড়াচ্ছে। ইউরি বলেন, ‘আমরা আমাদের ভূমি এভাবে ছেড়ে দেব না। যদি আমরা প্রতিরোধ না দেখাই, বিশ্ব আমাদের প্রতি আস্থা হারাবে।’
২৫ বছর বয়সী ইউক্রেনের এক ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সাশা। একটি মানচিত্রে প্লাস্টিকের খেলনা সৈন্য বসিয়ে তিনি দেখালেন—কোথায় ইউক্রেনের বাহিনী এখনো অবস্থান করছে, আর কোথায় রুশ বাহিনী অগ্রসর হয়েছে। তিনি জানান, রুশ সেনারা কখনো কখনো ছদ্মবেশে, দুই থেকে চারজনের দলে আড়াল-আবডালে সামনে এগোনোর চেষ্টা করছে।
রুশ বাহিনী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়লেও তাদের লোকবল এখনো বেশি। ‘র্যাবিট’ নামে পরিচিত এক ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত রুশদের নথিপত্র দেখিয়ে বলেন, ‘আমরা তাদের অনেককে মেরে ফেলেছি। কিন্তু এটাই যথেষ্ট নয়।’
সহযোদ্ধাদের কাছে ‘ঘোস্ট’ নামে পরিচিত আরেক সৈন্য জানালেন, পরিস্থিতি চাপের হলেও এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি রাশিয়ার পোকরভস্ক শহর দখলের দাবিকে একটি ‘মিথ্যা প্রচারযুদ্ধ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্মুখ সমরে সবচেয়ে বড় আতঙ্ক এখন ড্রোন। ‘খোতাবিচ’ ছদ্মনামে পরিচিত ইউক্রেনের আরেক সেনা জানিয়েছেন, রুশ ড্রোনগুলোতে থার্মাল ক্যামেরা আছে, যা রাতেও লক্ষ্যভেদ করতে পারে। তাই তাদের জন্য কুয়াশা, বৃষ্টি—এগুলোই ‘ভালো আবহাওয়া’। কারণ এমন আবহাওয়ায় ড্রোন ওড়ানো কঠিন হয়।
বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, এখনো পুরোপুরিভাবে পোকরভস্কের পতন হয়নি এবং ইউক্রেন এখনো তাদের অবস্থান ধরে রেখেছে। শহরটিতে ইউক্রেনের যেসব সৈন্য লড়ছে—তারা এখন যুদ্ধেই মনোযোগী। শান্তি আলোচনার প্রশ্নে তাদের বেশির ভাগই নীরব। ইউক্রেনের হয়ে সেখানে লড়াইরত এক লাটভিয়ান স্বেচ্ছাসেবী বলেন, ‘যদি ইউক্রেন হেরে যায়, তাহলে পরের লক্ষ্য হবে আমাদের দেশ।’

পূর্ব ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর পোকরভস্ক নিয়ে লড়াই এখনো চলছে। অথচ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, শহরটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেন বলছে, পুতিনের ওই দাবি সত্য নয়। শহরের উত্তরাংশ এখনো তাদের হাতে রয়েছে এবং তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, পোকরভস্ক শহরটি দীর্ঘ সময় ধরে ইউক্রেনীয় সেনাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ রসদ ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু গত প্রায় ১৮ মাস ধরে এই শহরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে এবং শহরটি এখন প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
বিবিসি আরও জানায়, একটি কমান্ড পোস্টে ড্রোন ফিড দেখে শহরটির রুশ অবস্থানে আঘাত হানতে রেডিওর মাধ্যমে নির্দেশ দিচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা। স্কালা অ্যাসল্ট রেজিমেন্টের কমান্ডার ইউরি সাংবাদিকদের একটি ড্রোন ফুটেজে দেখিয়েছেন, তাদের সৈন্যরা এখনো শহরের উত্তর অংশে ইউক্রেনের পতাকা ওড়াচ্ছে। ইউরি বলেন, ‘আমরা আমাদের ভূমি এভাবে ছেড়ে দেব না। যদি আমরা প্রতিরোধ না দেখাই, বিশ্ব আমাদের প্রতি আস্থা হারাবে।’
২৫ বছর বয়সী ইউক্রেনের এক ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সাশা। একটি মানচিত্রে প্লাস্টিকের খেলনা সৈন্য বসিয়ে তিনি দেখালেন—কোথায় ইউক্রেনের বাহিনী এখনো অবস্থান করছে, আর কোথায় রুশ বাহিনী অগ্রসর হয়েছে। তিনি জানান, রুশ সেনারা কখনো কখনো ছদ্মবেশে, দুই থেকে চারজনের দলে আড়াল-আবডালে সামনে এগোনোর চেষ্টা করছে।
রুশ বাহিনী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়লেও তাদের লোকবল এখনো বেশি। ‘র্যাবিট’ নামে পরিচিত এক ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত রুশদের নথিপত্র দেখিয়ে বলেন, ‘আমরা তাদের অনেককে মেরে ফেলেছি। কিন্তু এটাই যথেষ্ট নয়।’
সহযোদ্ধাদের কাছে ‘ঘোস্ট’ নামে পরিচিত আরেক সৈন্য জানালেন, পরিস্থিতি চাপের হলেও এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি রাশিয়ার পোকরভস্ক শহর দখলের দাবিকে একটি ‘মিথ্যা প্রচারযুদ্ধ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্মুখ সমরে সবচেয়ে বড় আতঙ্ক এখন ড্রোন। ‘খোতাবিচ’ ছদ্মনামে পরিচিত ইউক্রেনের আরেক সেনা জানিয়েছেন, রুশ ড্রোনগুলোতে থার্মাল ক্যামেরা আছে, যা রাতেও লক্ষ্যভেদ করতে পারে। তাই তাদের জন্য কুয়াশা, বৃষ্টি—এগুলোই ‘ভালো আবহাওয়া’। কারণ এমন আবহাওয়ায় ড্রোন ওড়ানো কঠিন হয়।
বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, এখনো পুরোপুরিভাবে পোকরভস্কের পতন হয়নি এবং ইউক্রেন এখনো তাদের অবস্থান ধরে রেখেছে। শহরটিতে ইউক্রেনের যেসব সৈন্য লড়ছে—তারা এখন যুদ্ধেই মনোযোগী। শান্তি আলোচনার প্রশ্নে তাদের বেশির ভাগই নীরব। ইউক্রেনের হয়ে সেখানে লড়াইরত এক লাটভিয়ান স্বেচ্ছাসেবী বলেন, ‘যদি ইউক্রেন হেরে যায়, তাহলে পরের লক্ষ্য হবে আমাদের দেশ।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ১৯০৫ সালে লিখেছিলেন, বন্দে মাতরম লোকের মুখে মুখে ফিরছে। তা জাতীয় সংগীত হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও মুসলিম লিগের দাবির কাছে নতিস্বীকার করেন জওহরলাল নেহরু। নেতাজিকে চিঠি লিখে নেহরু বলেন
৪ ঘণ্টা আগে
প্রায় দুই দশক ধরে ইসলামাবাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসা টিটিপি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানের সীমান্ত অঞ্চলে হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসা তালেবান টিটিপিকে আশ্রয় দিচ্ছে। তবে কাবুল এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং দাবি করে, এটি পাকিস্তানের একটি
৩ ঘণ্টা আগে
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি সাততলা ভবনে আগুন লেগে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই ভবনটি একটি ড্রোন সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় ছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
৩ ঘণ্টা আগে
বিদ্রোহী জোটের ঝটিকা অভিযানে আল-আসাদ পরিবারের ৫৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে দামেস্কের পতন হওয়ার পর এক বছর পূর্ণ হলো। তবে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী সিরিয়ার সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে উল্লেখযোগ্যভাবে সামরিক অভিযান বাড়িয়েছে ইসরায়েল। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, প্রধান বিমানবন্দর
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে একটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলায় ছয়জন সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। এ হামলা আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
পুলিশ ও নিরাপত্তা সূত্র জানায়, সোমবার রাতে খাইবার পাখতুনখাওয়ার কুররাম জেলায় একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা চালায়। এর ফলে সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র গোলাগুলি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, মোট ছয়জন সেনা শহীদ হয়েছেন এবং চারজন আহত হয়েছেন। পাশাপাশি লড়াইয়ে দুজন জঙ্গিও নিহত হয়েছে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি তালেবান বা তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।
প্রায় দুই দশক ধরে ইসলামাবাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসা টিটিপি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানের সীমান্ত অঞ্চলে হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসা তালেবান টিটিপিকে আশ্রয় দিচ্ছে। তবে কাবুল এ অভিযোগ অস্বীকার করে এবং দাবি করে, এটি পাকিস্তানের একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়।
গত অক্টোবরে এক সপ্তাহের লড়াই এবং গোলাগুলির ফলে প্রায় ৭০ জন নিহত এবং শত শত মানুষ আহত হয়েছিল। কাতার, তুরস্ক ও সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় আফগান ও পাকিস্তানি কর্মকর্তারা তখন একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। তবে সীমান্তজুড়ে উত্তেজনা এখনো রয়ে গেছে এবং আন্তসীমান্ত হামলা অব্যাহত থাকায় সংঘর্ষ লেগেই আছে।
আফগানিস্তানের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ গত শুক্রবার সীমান্ত ক্রসিংয়ে গোলাগুলিতে চার বেসামরিক নাগরিক এবং একজন সেনা নিহত হন।
সম্প্রতি লক্ষাধিক আফগান শরণার্থীকে ফেরত পাঠিয়েছে ইসলামাবাদ। সীমান্ত সংঘর্ষ ছাড়াও এ বিষয়টিও দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে।

উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে একটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলায় ছয়জন সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। এ হামলা আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
পুলিশ ও নিরাপত্তা সূত্র জানায়, সোমবার রাতে খাইবার পাখতুনখাওয়ার কুররাম জেলায় একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা চালায়। এর ফলে সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র গোলাগুলি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, মোট ছয়জন সেনা শহীদ হয়েছেন এবং চারজন আহত হয়েছেন। পাশাপাশি লড়াইয়ে দুজন জঙ্গিও নিহত হয়েছে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি তালেবান বা তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।
প্রায় দুই দশক ধরে ইসলামাবাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসা টিটিপি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানের সীমান্ত অঞ্চলে হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসা তালেবান টিটিপিকে আশ্রয় দিচ্ছে। তবে কাবুল এ অভিযোগ অস্বীকার করে এবং দাবি করে, এটি পাকিস্তানের একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়।
গত অক্টোবরে এক সপ্তাহের লড়াই এবং গোলাগুলির ফলে প্রায় ৭০ জন নিহত এবং শত শত মানুষ আহত হয়েছিল। কাতার, তুরস্ক ও সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় আফগান ও পাকিস্তানি কর্মকর্তারা তখন একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। তবে সীমান্তজুড়ে উত্তেজনা এখনো রয়ে গেছে এবং আন্তসীমান্ত হামলা অব্যাহত থাকায় সংঘর্ষ লেগেই আছে।
আফগানিস্তানের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ গত শুক্রবার সীমান্ত ক্রসিংয়ে গোলাগুলিতে চার বেসামরিক নাগরিক এবং একজন সেনা নিহত হন।
সম্প্রতি লক্ষাধিক আফগান শরণার্থীকে ফেরত পাঠিয়েছে ইসলামাবাদ। সীমান্ত সংঘর্ষ ছাড়াও এ বিষয়টিও দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ১৯০৫ সালে লিখেছিলেন, বন্দে মাতরম লোকের মুখে মুখে ফিরছে। তা জাতীয় সংগীত হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও মুসলিম লিগের দাবির কাছে নতিস্বীকার করেন জওহরলাল নেহরু। নেতাজিকে চিঠি লিখে নেহরু বলেন
৪ ঘণ্টা আগে
পূর্ব ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর পোকরভস্ক নিয়ে লড়াই এখনো চলছে। অথচ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, শহরটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেন বলছে, পুতিনের ওই দাবি সত্য নয়। শহরের উত্তরাংশ এখনো তাদের হাতে রয়েছে এবং তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
৩২ মিনিট আগে
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি সাততলা ভবনে আগুন লেগে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই ভবনটি একটি ড্রোন সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় ছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
৩ ঘণ্টা আগে
বিদ্রোহী জোটের ঝটিকা অভিযানে আল-আসাদ পরিবারের ৫৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে দামেস্কের পতন হওয়ার পর এক বছর পূর্ণ হলো। তবে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী সিরিয়ার সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে উল্লেখযোগ্যভাবে সামরিক অভিযান বাড়িয়েছে ইসরায়েল। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, প্রধান বিমানবন্দর
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি সাততলা ভবনে আগুন লেগে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই ভবনটি একটি ড্রোন সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় ছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে জানিয়ে সেন্ট্রাল জাকার্তা পুলিশের প্রধান সুসাত্যো পুরনোমো চন্দ্র সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ভবনটির এক তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে উপরের তলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার সময় কিছু কর্মচারী দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন, আবার অনেকে কার্যালয়ের বাইরে ছিলেন।
হতাহতদের উদ্ধার ও আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণের চেষ্টা চলছে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
চন্দ্র আরও জানান, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২০ ছাড়িয়েছে। ভবনের ভেতরে আর কেউ আছে কি না খুঁজে দেখা হচ্ছে।
হতাহতদের ক্রামাত জাতি পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ভবনটিতে টেরা ড্রোন ইন্দোনেশিয়ার কার্যালয় রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি খনি থেকে শুরু করে কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে এরিয়াল সার্ভে কার্যক্রমের জন্য ড্রোন সরবরাহ করে। সংস্থাটির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এটি জাপানি ড্রোন সংস্থা টেরা ড্রোন কর্পোরেশনের (Terra Drone Corporation) ইন্দোনেশীয় ইউনিট।
ইন্দোনেশিয়ার সংবাদমাধ্যম কম্পাস টিভির সম্প্রচারে দেখা যায়, অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের একাধিক দল ভবনে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে। কয়েকজনকে ভবন থেকে মৃতদেহ বহনকারী ব্যাগ নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া কিছু কর্মীকে ভবনের উঁচু তলা থেকে পোর্টেবল সিঁড়ি ব্যবহার করে নিচে নামতেও দেখা গেছে।
আগুনের ঘটনায় টেরা ড্রোন ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিক জবাব মেলেনি।

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি সাততলা ভবনে আগুন লেগে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই ভবনটি একটি ড্রোন সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় ছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে জানিয়ে সেন্ট্রাল জাকার্তা পুলিশের প্রধান সুসাত্যো পুরনোমো চন্দ্র সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ভবনটির এক তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে উপরের তলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার সময় কিছু কর্মচারী দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন, আবার অনেকে কার্যালয়ের বাইরে ছিলেন।
হতাহতদের উদ্ধার ও আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণের চেষ্টা চলছে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
চন্দ্র আরও জানান, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২০ ছাড়িয়েছে। ভবনের ভেতরে আর কেউ আছে কি না খুঁজে দেখা হচ্ছে।
হতাহতদের ক্রামাত জাতি পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ভবনটিতে টেরা ড্রোন ইন্দোনেশিয়ার কার্যালয় রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি খনি থেকে শুরু করে কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে এরিয়াল সার্ভে কার্যক্রমের জন্য ড্রোন সরবরাহ করে। সংস্থাটির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এটি জাপানি ড্রোন সংস্থা টেরা ড্রোন কর্পোরেশনের (Terra Drone Corporation) ইন্দোনেশীয় ইউনিট।
ইন্দোনেশিয়ার সংবাদমাধ্যম কম্পাস টিভির সম্প্রচারে দেখা যায়, অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের একাধিক দল ভবনে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে। কয়েকজনকে ভবন থেকে মৃতদেহ বহনকারী ব্যাগ নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া কিছু কর্মীকে ভবনের উঁচু তলা থেকে পোর্টেবল সিঁড়ি ব্যবহার করে নিচে নামতেও দেখা গেছে।
আগুনের ঘটনায় টেরা ড্রোন ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিক জবাব মেলেনি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ১৯০৫ সালে লিখেছিলেন, বন্দে মাতরম লোকের মুখে মুখে ফিরছে। তা জাতীয় সংগীত হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও মুসলিম লিগের দাবির কাছে নতিস্বীকার করেন জওহরলাল নেহরু। নেতাজিকে চিঠি লিখে নেহরু বলেন
৪ ঘণ্টা আগে
পূর্ব ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর পোকরভস্ক নিয়ে লড়াই এখনো চলছে। অথচ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, শহরটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেন বলছে, পুতিনের ওই দাবি সত্য নয়। শহরের উত্তরাংশ এখনো তাদের হাতে রয়েছে এবং তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
৩২ মিনিট আগে
প্রায় দুই দশক ধরে ইসলামাবাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসা টিটিপি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানের সীমান্ত অঞ্চলে হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসা তালেবান টিটিপিকে আশ্রয় দিচ্ছে। তবে কাবুল এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং দাবি করে, এটি পাকিস্তানের একটি
৩ ঘণ্টা আগে
বিদ্রোহী জোটের ঝটিকা অভিযানে আল-আসাদ পরিবারের ৫৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে দামেস্কের পতন হওয়ার পর এক বছর পূর্ণ হলো। তবে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী সিরিয়ার সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে উল্লেখযোগ্যভাবে সামরিক অভিযান বাড়িয়েছে ইসরায়েল। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, প্রধান বিমানবন্দর
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিদ্রোহী জোটের ঝটিকা অভিযানে আল-আসাদ পরিবারের ৫৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে দামেস্কের পতন হওয়ার পর এক বছর পূর্ণ হলো। তবে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী সিরিয়ার সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে উল্লেখযোগ্যভাবে সামরিক অভিযান বাড়িয়েছে ইসরায়েল। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, প্রধান বিমানবন্দর এবং যুদ্ধবিমানসহ সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে চলেছে এসব হামলা।
আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা-এর তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে (৮ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে ২৮ নভেম্বর ২০২৫) ইসরায়েল সিরিয়া জুড়ে ৬০০ টিরও বেশি বিমান, ড্রোন বা আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে। এর অর্থ, প্রতিদিন গড়ে প্রায় দুটি করে আক্রমণ চালানো হয়েছে সিরিয়ার ভূখণ্ডে।
ইসরায়েলি আক্রমণের বেশির ভাগই হয়েছে সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে—কুনেইত্রা, দেরা ও দামেস্কের গভর্নরশিপগুলোতে। রেকর্ড করা মোট হামলার প্রায় ৮০ শতাংশই এই অঞ্চলে সংঘটিত। দেখা গেছে—
কুনেইত্রা: ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমির সীমান্তবর্তী এই গভর্নরশিপটি কমপক্ষে ২৩২ বার হামলার শিকার হয়েছে।
দেরা: ১৬৭টি হামলার শিকার হয়ে দ্বিতীয় সর্বাধিক লক্ষ্যবস্তু ছিল দেরা, যেখানে সাবেক সরকারের সামরিক স্থাপনা এবং সন্দেহজনক অস্ত্র সমাবেশ স্থলগুলোয় নজর দেওয়া হয়।
দামেস্ক: গুরুত্বপূর্ণ সামরিক মহাসড়ক এবং লজিস্টিক হাব রয়েছে দামেস্ক গভর্নরশিপে। এই এলাকায় কমপক্ষে ৭৭ বার হামলা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী দামেস্ক শহরেই ২০ বার হামলা চালানো হয়েছে। গত ১৬ জুলাই ইসরায়েলি বিমান হামলায় সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর এবং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছাকাছি একটি স্থানে আঘাত হানে।
ইসরায়েল বহু বছর ধরেই সিরিয়ায় হামলা চালিয়ে আসছে। তারা বরাবরই যুক্তি দেয়, ইরানি সামরিক ঘাঁটিগুলো নির্মূল করার লক্ষ্যেই তাদের এই অভিযান। কিন্তু আসাদ সরকারের পতনের পর তেল আবিব দাবি করছে, তারা অস্ত্র যাতে ‘চরমপন্থীদের’ হাতে না যায়, তা নিশ্চিত করতে চাচ্ছে। ইসরায়েলের এই ‘চরমপন্থী’ তালিকায় সম্প্রতি আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার নেতৃত্ব দেওয়া প্রধান বিরোধী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-ও রয়েছে।
আসাদের পতনের মাত্র চার দিন পরেই ইসরায়েল ঘোষণা করে, তারা সিরিয়ার ৮০ শতাংশেরও বেশি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে, যার ফলে নতুন সিরিয়া কোনো সামরিক হুমকি তৈরি করতে পারবে না।
অন্যদিকে, আল-আসাদের ক্ষমতাচ্যুতির পর নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া আহমেদ আল-শারা ক্রমাগত বলে আসছেন, তাঁর সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো সংঘাত চায় না এবং কোনো বিদেশি শক্তিকে সিরিয়ার ভূমি ব্যবহার করে হামলা চালানোর অনুমতি দেবে না।
আসাদের পতনের পরের দিনগুলোতে ইসরায়েলি সেনারা গোলান মালভূমির সিরিয়া অংশে প্রবেশ করে, যা ১৯৭৪ সালের জাতিসংঘ-মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জাতিসংঘ-নিয়ন্ত্রিত ডিমিলিটারাইজড জোনের (অসামরিক অঞ্চল) মধ্যে জাবাল আল-শেখ এবং সংলগ্ন গ্রামগুলোতে বেশ কয়েকটি সামরিক চৌকি স্থাপন করেছে। এখানে তারা প্রায়শই বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালায়।
ইসরায়েলের এই ভূমি দখলের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। জাতিসংঘ এবং বেশ কয়েকটি আরব রাষ্ট্র ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইন ও সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হিসেবে নিন্দা করেছে।
তবে এই নিন্দা সত্ত্বেও, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ গত ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা দেন, ইসরায়েলি বাহিনী অনির্দিষ্টকালের জন্য এই এলাকায় থাকবে—যাতে তারা ‘ইসরায়েলি নাগরিকদের রক্ষা করতে’ পারে এবং ‘শত্রু শক্তিকে সীমান্তে ঘাঁটি স্থাপন করা থেকে বিরত রাখতে’ পারে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমি ১ হাজার ২০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এর সঙ্গে, তারা জাতিসংঘ বাফার জোনের ২৩৫ বর্গ কিলোমিটার এবং বাফার জোনের বাইরে সিরিয়ার আরও প্রায় ৪২০ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল দখল করেছে। এই অতিরিক্ত দখল করা অঞ্চলটির আয়তন যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভার শহরের আকারের প্রায় সমান।

বিদ্রোহী জোটের ঝটিকা অভিযানে আল-আসাদ পরিবারের ৫৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে দামেস্কের পতন হওয়ার পর এক বছর পূর্ণ হলো। তবে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী সিরিয়ার সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে উল্লেখযোগ্যভাবে সামরিক অভিযান বাড়িয়েছে ইসরায়েল। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, প্রধান বিমানবন্দর এবং যুদ্ধবিমানসহ সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে চলেছে এসব হামলা।
আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা-এর তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে (৮ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে ২৮ নভেম্বর ২০২৫) ইসরায়েল সিরিয়া জুড়ে ৬০০ টিরও বেশি বিমান, ড্রোন বা আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে। এর অর্থ, প্রতিদিন গড়ে প্রায় দুটি করে আক্রমণ চালানো হয়েছে সিরিয়ার ভূখণ্ডে।
ইসরায়েলি আক্রমণের বেশির ভাগই হয়েছে সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে—কুনেইত্রা, দেরা ও দামেস্কের গভর্নরশিপগুলোতে। রেকর্ড করা মোট হামলার প্রায় ৮০ শতাংশই এই অঞ্চলে সংঘটিত। দেখা গেছে—
কুনেইত্রা: ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমির সীমান্তবর্তী এই গভর্নরশিপটি কমপক্ষে ২৩২ বার হামলার শিকার হয়েছে।
দেরা: ১৬৭টি হামলার শিকার হয়ে দ্বিতীয় সর্বাধিক লক্ষ্যবস্তু ছিল দেরা, যেখানে সাবেক সরকারের সামরিক স্থাপনা এবং সন্দেহজনক অস্ত্র সমাবেশ স্থলগুলোয় নজর দেওয়া হয়।
দামেস্ক: গুরুত্বপূর্ণ সামরিক মহাসড়ক এবং লজিস্টিক হাব রয়েছে দামেস্ক গভর্নরশিপে। এই এলাকায় কমপক্ষে ৭৭ বার হামলা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী দামেস্ক শহরেই ২০ বার হামলা চালানো হয়েছে। গত ১৬ জুলাই ইসরায়েলি বিমান হামলায় সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর এবং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছাকাছি একটি স্থানে আঘাত হানে।
ইসরায়েল বহু বছর ধরেই সিরিয়ায় হামলা চালিয়ে আসছে। তারা বরাবরই যুক্তি দেয়, ইরানি সামরিক ঘাঁটিগুলো নির্মূল করার লক্ষ্যেই তাদের এই অভিযান। কিন্তু আসাদ সরকারের পতনের পর তেল আবিব দাবি করছে, তারা অস্ত্র যাতে ‘চরমপন্থীদের’ হাতে না যায়, তা নিশ্চিত করতে চাচ্ছে। ইসরায়েলের এই ‘চরমপন্থী’ তালিকায় সম্প্রতি আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার নেতৃত্ব দেওয়া প্রধান বিরোধী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-ও রয়েছে।
আসাদের পতনের মাত্র চার দিন পরেই ইসরায়েল ঘোষণা করে, তারা সিরিয়ার ৮০ শতাংশেরও বেশি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে, যার ফলে নতুন সিরিয়া কোনো সামরিক হুমকি তৈরি করতে পারবে না।
অন্যদিকে, আল-আসাদের ক্ষমতাচ্যুতির পর নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া আহমেদ আল-শারা ক্রমাগত বলে আসছেন, তাঁর সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো সংঘাত চায় না এবং কোনো বিদেশি শক্তিকে সিরিয়ার ভূমি ব্যবহার করে হামলা চালানোর অনুমতি দেবে না।
আসাদের পতনের পরের দিনগুলোতে ইসরায়েলি সেনারা গোলান মালভূমির সিরিয়া অংশে প্রবেশ করে, যা ১৯৭৪ সালের জাতিসংঘ-মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জাতিসংঘ-নিয়ন্ত্রিত ডিমিলিটারাইজড জোনের (অসামরিক অঞ্চল) মধ্যে জাবাল আল-শেখ এবং সংলগ্ন গ্রামগুলোতে বেশ কয়েকটি সামরিক চৌকি স্থাপন করেছে। এখানে তারা প্রায়শই বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালায়।
ইসরায়েলের এই ভূমি দখলের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। জাতিসংঘ এবং বেশ কয়েকটি আরব রাষ্ট্র ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইন ও সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হিসেবে নিন্দা করেছে।
তবে এই নিন্দা সত্ত্বেও, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ গত ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা দেন, ইসরায়েলি বাহিনী অনির্দিষ্টকালের জন্য এই এলাকায় থাকবে—যাতে তারা ‘ইসরায়েলি নাগরিকদের রক্ষা করতে’ পারে এবং ‘শত্রু শক্তিকে সীমান্তে ঘাঁটি স্থাপন করা থেকে বিরত রাখতে’ পারে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমি ১ হাজার ২০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এর সঙ্গে, তারা জাতিসংঘ বাফার জোনের ২৩৫ বর্গ কিলোমিটার এবং বাফার জোনের বাইরে সিরিয়ার আরও প্রায় ৪২০ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল দখল করেছে। এই অতিরিক্ত দখল করা অঞ্চলটির আয়তন যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভার শহরের আকারের প্রায় সমান।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ১৯০৫ সালে লিখেছিলেন, বন্দে মাতরম লোকের মুখে মুখে ফিরছে। তা জাতীয় সংগীত হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও মুসলিম লিগের দাবির কাছে নতিস্বীকার করেন জওহরলাল নেহরু। নেতাজিকে চিঠি লিখে নেহরু বলেন
৪ ঘণ্টা আগে
পূর্ব ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর পোকরভস্ক নিয়ে লড়াই এখনো চলছে। অথচ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, শহরটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেন বলছে, পুতিনের ওই দাবি সত্য নয়। শহরের উত্তরাংশ এখনো তাদের হাতে রয়েছে এবং তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
৩২ মিনিট আগে
প্রায় দুই দশক ধরে ইসলামাবাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসা টিটিপি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানের সীমান্ত অঞ্চলে হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসা তালেবান টিটিপিকে আশ্রয় দিচ্ছে। তবে কাবুল এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং দাবি করে, এটি পাকিস্তানের একটি
৩ ঘণ্টা আগে
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি সাততলা ভবনে আগুন লেগে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই ভবনটি একটি ড্রোন সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় ছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
৩ ঘণ্টা আগে