Ajker Patrika

প্রাণ ফিরবে সাত খালে

খান রফিক, বরিশাল
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২১, ১০: ৩৮
প্রাণ ফিরবে সাত খালে

বরিশাল নগরীর ৭টি খাল সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এত দিন পর্যন্ত এ খালগুলোতে লোক দেখানো সংস্কারের নামে বিপুল অর্থ অপচয়ের অভিযোগ আছে সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। কীর্তনখোলা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত এসব খাল এখন নালায় পরিণত হওয়ায় জলাবদ্ধতায় নাকাল নগরবাসী। তবে খালগুলোতে প্রাণ ফেরাতে ১৩ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে বলে জানা গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানিয়েছে, প্রায় ১৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৭ খাল সংস্কার প্রকল্প অনুমোদনে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামিম জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। গত ১১ অক্টোবর পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী সার্কিট হাউসে পূজামণ্ডপে অনুদান প্রদান অনুষ্ঠান শেষে বলেন, নগরীর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ৭টি খাল সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ খালগুলো সংস্কারের জন্য প্রস্তাবিত প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে এ বছরই কাজ শুরু করা যাবে।

পাউবোর তথ্যমতে, প্রকল্পভুক্ত ৭টি খাল হচ্ছে সাগরদী খাল, চাঁদমারী খাল, ভাটার খাল, জেল খাল, আমানতগঞ্জ খাল, পলাশপুর খাল এবং রূপাতলী খাল। প্রত্যেকটি খালের উৎস নগরীর পাশ দিয়ে প্রবাহিত কীর্তনখোলা নদী।

সূত্রমতে, ৭টি খালের ১৯ কিলোমিটার খনন করা হবে। সাগরদী খালের ৯ কিলোমিটার এবং জেলখালের ২ কিলোমিটার প্রকল্পভুক্ত করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী দিপক রঞ্জন দাস বলেন, নগরীর মধ্যের ৭টি খাল সংস্কারে ১৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে রয়েছে। এই প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও সচিব সার্বক্ষণিক লেগে আছেন। ধারণা করছি, নভেম্বরে প্রকল্পটি অনুমোদন হলে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ কাজ শুরু করা যাবে।

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, ১৩ কোটি টাকার প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য একনেকের আগামী সভায় উপস্থাপন করা হবে। অনুমোদিত হলে এ বছরের মধ্যে খাল খনন ও সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম শুরু হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরিশালের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, গত মৌসুমে অস্বাভাবিক জোয়ারে খাল-নালা দিয়ে কীর্তনখোলা পানি প্রবেশ করে নগরী প্লাবিত হলে প্রতিমন্ত্রী প্রকল্পটি গ্রহণের তাগিদ দেন। প্রকল্পটি অনুমোদিত হওয়ার পর খাল খনন করে গভীরতা সৃষ্টি করা হলে জোয়ারের পানি নগরীতে প্রবেশের সম্ভাবনা কমবে।

নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার বলেন, তার ওয়ার্ডের আওতাধীন সাগরদী খাল নগরীর সবচেয়ে বড় খাল। দীর্ঘদিনে খালটি দখল-দূষণে নালায় পরিণত হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষ জলাবদ্ধতায় ভুগছে। বিভিন্ন সময়ে লোক দেখানো উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। পাউবোর এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

এ ব্যপারে বরিশাল নদী খাল বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, উদ্যোগটি বাস্তবায়ন হলে নগরবাসী সুফল পাবেন, জলাবদ্ধতাও থাকবে না। প্রতিটি খালের জন্য এলাকাবাসীকে নিয়ে পর্যবেক্ষণ কমিটি করা, খাল কতটা গভীরে খনন করা হবে, অর্থ বরাদ্দ, নকশার তথ্য দৃশ্যমান জায়গায় সাইনবোর্ড আকারে সাটাতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ