Ajker Patrika

এবার বাড়ল সিমেন্টের দাম

হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ৩৮
এবার বাড়ল সিমেন্টের দাম

নির্মাণশিল্পের অন্যতম উপকরণ ইট, রডের পর এবার বাড়তে শুরু করেছে সিমেন্টের দাম। চলতি মাসের শুরুতে বাজারে হঠাৎ সিমেন্টের দাম বেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বস্তাপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে বর্তমানে কোম্পানিভেদে প্রতি বস্তা সিমেন্ট ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সিমেন্টের ডিলাররা জানিয়েছেন, কারখানা পর্যায়ে সিমেন্টের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন মালিকেরা। তাই খুচরায় সিমেন্টের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে কারখানার মালিকেরা বলছেন, ডলারের দাম বাড়ার কারণে এখন ক্লিংকার পরিবহনে জাহাজের ভাড়া বেড়েছে। পাশাপাশি ক্লিংকার ক্রয়েও বাড়তি ব্যয় হচ্ছে। তাই উৎপাদন পর্যায়ে খরচ বেড়ে যাওয়ায় সেটি সিমেন্টের দামের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।

করোনার স্থবিরতা কাটিয়ে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ আবারও পুরোদমে শুরু হয়েছে। পাশাপাশি নির্মাণ মৌসুম হওয়ায় এখন শহর-গ্রামে ভবন নির্মাণ বেড়েছে। তাই বাজারে এখন নির্মাণসামগ্রী'র চাহিদাও বাড়ছে। কিন্তু তার আগে আন্তর্জাতিক বাজারে স্ক্র্যাপের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত নভেম্বরে দেশীয় বাজারে বেড়ে যায় রডের দাম। অন্যদিকে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় একই সময়ে বাড়তে শুরু করে ইটের দাম। ১ নম্বর ইট প্রতি হাজার আগে যেখানে বিক্রি হতো ৯ হাজার টাকা, এখন এটি বিক্রি হচ্ছে ১১ হাজার টাকায়। ইট আর রডের পথ ধরে এবার বাড়তে শুরু করেছে সিমেন্টের দাম। মৌসুমের শুরুতে নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন ভবন নির্মাণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভবনমালিকেরা। বাজেটের মধ্যে ভবন নির্মাণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তাঁরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০ টাকা বেড়ে বাজারে এখন শাহ সিমেন্ট প্রতি বস্তা ৪২০ টাকায়। ১০ টাকা বেড়ে প্রতি বস্তা কনফিডেন্স সিমেন্ট বিক্রি হচ্ছে ৪১০ টাকা, প্রিমিয়ার সিমেন্ট প্রতি বস্তা ৪০০ টাকা। ২০ টাকা বেড়ে রুবি সিমেন্ট প্রতি বস্তা ৪৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ডায়মন্ড সিমেন্ট প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪০৫ টাকায়। শুধু এসব সিমেন্ট নয়, দেশে উৎপাদিত ২৫ থেকে ৩০টি ব্র্যান্ডের সবগুলো সিমেন্টের দামই এখন বাড়তে শুরু করেছে।

এ বিষয়ে শাহ সিমেন্টের ডিলার মো. সেলিম উদ্দিন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘১ ফেব্রুয়ারি থেকে সিমেন্টের দাম ঊর্ধ্বমুখী। আগে আমরা প্রতি বস্তা ৪০০ টাকায় বিক্রি করতাম। এখন প্রতি বস্তা ৪২০ টাকায় বিক্রি করছি। জাহাজ ভাড়াসহ পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে, তাই উৎপাদন খরচের সঙ্গে সমন্বয় করে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।’

একই ধরনের কথা বলেছেন নগরীর ষোলোশহর ২ নম্বর গেট এলাকার স্টিল প্লাসের কর্ণধার লোকমান হাসান ও ডবলমুরিং এলাকার আর আর ট্রেডার্সের মালিক রকিবুল হাসান। তাঁরা আজকের পত্রিকাকে জানান, গত রোববার থেকে সিমেন্টের দাম বাড়তে শুরু করেছে। বিভিন্ন কোম্পানিভেদে এখন বস্তাপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। সামনে সিমেন্টের দাম আরও বাড়বে বলে তাঁরা জানান।

তবে একে মূল্যবৃদ্ধি বলতে নারাজ এ খাতের উদ্যোক্তা'রা। তাঁরা জানিয়েছেন, বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম বেশি বাড়লে এখানেও মূল্য সমন্বয় করতে হবে। এখন বস্তাপ্রতি যে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে, সেটি আসলে উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে দামের সমন্বয় করা হয়েছে।

ডায়মন্ড সিমেন্টের কারখানা ম্যানেজার (উৎপাদন) রোকন উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিমেন্ট খাতের সবগুলো কাঁচামালই আমদানিনির্ভর। তাই বৈশ্বিক বাজারে এসব উপকরণের দাম বাড়লে সিমেন্টের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে সিমেন্টের অন্যতম কাঁচামাল ক্লিংকারের দাম প্রতি টনে ২ থেকে ৩ ডলার অর্থাৎ প্রতি টন ক্লিংকারে এখন আগের চেয়ে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি পড়ছে। অন্যদিকে আবার সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনের চাপে জাহাজভাড়া গত নভেম্বর থেকেই ঊর্ধ্বমুখী।’

দাম সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা

‘মেয়েরা যেন আমার মরা মুখ না দেখে’, চিরকুট লিখে ঠিকাদারের ‘আত্মহত্যা’

ফরিদপুরে পালিয়ে যাওয়া আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার, থানার ওসিকে বদলি

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় ভারতের উদ্বেগ

সৌদি আরবের সঙ্গে ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করে নিজের রেকর্ড ভাঙল যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত