রাব্বিউল হাসানকালাই (জয়পুরহাট)
পুকুরটির মাঝখানে তাকালে কী দেখতে পাওয়া যায়?
হ্যাঁ, জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার একটি পুকুরের কথা বলছি। আরও পরিষ্কার করে বললে, সেখানকার মাত্রাই গ্রামের দেড় কিলোমিটার উত্তরে মাত্রাই বিয়ালা যে সড়ক একটি পুকুরের পূর্ব পাড় দিয়ে বিয়ালা গ্রামে পৌঁছেছে, সেই পুকুরটির কথা হচ্ছে।
পুকুরটির মাঝখানের চারদিকে জলরাশিবেষ্টিত যে ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনাটি দেখতে পাবেন, সেটি মাত্রায় মেড় বা খড়পা চোরা নামে পরিচিত।
এটা আসলে একটি প্রাচীন ইমারতের ধ্বংসাবশেষ।
ইতিহাস এভাবেই স্থাপনার সঙ্গে মিতালি পাতিয়ে বসবাস করে।
ইতিহাসবিদেরা বলেন, মাত্রাই মেড় নামে সুরক্ষিত ইটের স্থাপনাটি তৈরি হয়েছে বলিধর রাজার শাসনামলে।
এখন যদি সেদিকে তাকানো যায়, তবে মনে হবে এটি একটি ঢিবি। ঢিবি বলে মনে হলেও ঢিবির ওপরে এই প্রাচীন ইমারতটিকে দেখতে পাবেন গাছগাছালি ও ঝোপঝাড়ের মধ্যে। পুকুরপাড় থেকে পুকুরের মাঝখানে মাত্রাই মেড়টি দেখতে অত্যন্ত নয়নাভিরাম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা স্থাপনা এটি। এই ধ্বংসাবশেষ জয়পুরহাটের একটি বিরল ঐতিহ্যের অস্তিত্ব বহন করছে।
দেখা যাক, এই স্থাপনা নিয়ে জনশ্রুতি কী বলে? শাহ খয়বর আলী ছিলেন একজন মুসলিম সাধক। তিনি বলিধর রাজার কন্যাকে গোপনে কিংবা ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট করে পরিখাবেষ্টিত এই ইমারতের ভেতরে এনে রাখেন। খয়বর আলী শাহ গোপনে রাজার কন্যাকে এখানে রাখায় স্থানটির নাম খয়বর চোরা বা পরবর্তী সময়ে খড়পা চোরা নামে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে।
জনশ্রুতি আরও একটি ব্যাপারে প্রবল। অন্যমতে, এটি বিয়ালা তাম্র শাসনের আওতায় সুরক্ষিত একটি রাজবাড়ি। উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নে বলিগ্রাম মৌজায় প্রাচীন ইমারতের ধ্বংসাবশেষ হিসেবে এর দু-চারটি ঢিবি এখনো ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে রয়েছে। সেগুলো একটি ছোট প্রশাসনিক নগরের চিহ্ন বহন করে। এলাকাটি বলিধর রাজার বাড়ি ছিল বলে অনেকেই বিশ্বাস করেন।
মাত্রাই মডেল কলেজের অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে দিলেন একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। জানালেন, প্রায় তিন দশক আগে এখান থেকে একটি শিলালিপি উদ্ধার করা হয়েছিল। তবে, এটি কীভাবে, কোথায় সংরক্ষিত রয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। সেটার অস্তিত্ব জানা গেলে আরও কিছু তথ্য পাওয়া যেত।
এই এলাকার বাসিন্দা সুব্রত কুমার বলেন, ধ্বংসস্তূপের মাঝখানে একটি কূপ আকৃতির ফাঁকা স্থান ছিল। প্রায় দুই দশক আগে কাবিখার আওতায় পুকুরটির পুনঃখনন করা হয়। সেসময় পুকুরের পূর্বপাড় থেকে ধ্বংসস্তূপ পর্যন্ত পুকুরের তলদেশে ইট বাঁধানো একটি রাস্তার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এটি ওই ইমারতে প্রবেশের গোপন সুড়ঙ্গ পথ ছিল বলে ধারণা করা হয়।
লোক গবেষক আব্দুল মজিদের শরণাপণ্ন হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাত্রাই মেড় বা খড়পা চোরা বিয়ালা তাম্র শাসনের আওতায় সুরক্ষিত একটি রাজবাড়ি ছিল। ঐতিহ্যটি ধরে রাখার জন্য এর চারপাশে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা প্রয়োজন। এ ছাড়া কালাই উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ করা দরকার।
একটি পুকুর, তার মাঝখানে স্থাপনা আর সবটা মিলে ইতিহাসের ওম মিলেমিশে ঋদ্ধ অতীতের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে।
পুকুরটির মাঝখানে তাকালে কী দেখতে পাওয়া যায়?
হ্যাঁ, জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার একটি পুকুরের কথা বলছি। আরও পরিষ্কার করে বললে, সেখানকার মাত্রাই গ্রামের দেড় কিলোমিটার উত্তরে মাত্রাই বিয়ালা যে সড়ক একটি পুকুরের পূর্ব পাড় দিয়ে বিয়ালা গ্রামে পৌঁছেছে, সেই পুকুরটির কথা হচ্ছে।
পুকুরটির মাঝখানের চারদিকে জলরাশিবেষ্টিত যে ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনাটি দেখতে পাবেন, সেটি মাত্রায় মেড় বা খড়পা চোরা নামে পরিচিত।
এটা আসলে একটি প্রাচীন ইমারতের ধ্বংসাবশেষ।
ইতিহাস এভাবেই স্থাপনার সঙ্গে মিতালি পাতিয়ে বসবাস করে।
ইতিহাসবিদেরা বলেন, মাত্রাই মেড় নামে সুরক্ষিত ইটের স্থাপনাটি তৈরি হয়েছে বলিধর রাজার শাসনামলে।
এখন যদি সেদিকে তাকানো যায়, তবে মনে হবে এটি একটি ঢিবি। ঢিবি বলে মনে হলেও ঢিবির ওপরে এই প্রাচীন ইমারতটিকে দেখতে পাবেন গাছগাছালি ও ঝোপঝাড়ের মধ্যে। পুকুরপাড় থেকে পুকুরের মাঝখানে মাত্রাই মেড়টি দেখতে অত্যন্ত নয়নাভিরাম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা স্থাপনা এটি। এই ধ্বংসাবশেষ জয়পুরহাটের একটি বিরল ঐতিহ্যের অস্তিত্ব বহন করছে।
দেখা যাক, এই স্থাপনা নিয়ে জনশ্রুতি কী বলে? শাহ খয়বর আলী ছিলেন একজন মুসলিম সাধক। তিনি বলিধর রাজার কন্যাকে গোপনে কিংবা ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট করে পরিখাবেষ্টিত এই ইমারতের ভেতরে এনে রাখেন। খয়বর আলী শাহ গোপনে রাজার কন্যাকে এখানে রাখায় স্থানটির নাম খয়বর চোরা বা পরবর্তী সময়ে খড়পা চোরা নামে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে।
জনশ্রুতি আরও একটি ব্যাপারে প্রবল। অন্যমতে, এটি বিয়ালা তাম্র শাসনের আওতায় সুরক্ষিত একটি রাজবাড়ি। উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নে বলিগ্রাম মৌজায় প্রাচীন ইমারতের ধ্বংসাবশেষ হিসেবে এর দু-চারটি ঢিবি এখনো ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে রয়েছে। সেগুলো একটি ছোট প্রশাসনিক নগরের চিহ্ন বহন করে। এলাকাটি বলিধর রাজার বাড়ি ছিল বলে অনেকেই বিশ্বাস করেন।
মাত্রাই মডেল কলেজের অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে দিলেন একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। জানালেন, প্রায় তিন দশক আগে এখান থেকে একটি শিলালিপি উদ্ধার করা হয়েছিল। তবে, এটি কীভাবে, কোথায় সংরক্ষিত রয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। সেটার অস্তিত্ব জানা গেলে আরও কিছু তথ্য পাওয়া যেত।
এই এলাকার বাসিন্দা সুব্রত কুমার বলেন, ধ্বংসস্তূপের মাঝখানে একটি কূপ আকৃতির ফাঁকা স্থান ছিল। প্রায় দুই দশক আগে কাবিখার আওতায় পুকুরটির পুনঃখনন করা হয়। সেসময় পুকুরের পূর্বপাড় থেকে ধ্বংসস্তূপ পর্যন্ত পুকুরের তলদেশে ইট বাঁধানো একটি রাস্তার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এটি ওই ইমারতে প্রবেশের গোপন সুড়ঙ্গ পথ ছিল বলে ধারণা করা হয়।
লোক গবেষক আব্দুল মজিদের শরণাপণ্ন হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাত্রাই মেড় বা খড়পা চোরা বিয়ালা তাম্র শাসনের আওতায় সুরক্ষিত একটি রাজবাড়ি ছিল। ঐতিহ্যটি ধরে রাখার জন্য এর চারপাশে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা প্রয়োজন। এ ছাড়া কালাই উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ করা দরকার।
একটি পুকুর, তার মাঝখানে স্থাপনা আর সবটা মিলে ইতিহাসের ওম মিলেমিশে ঋদ্ধ অতীতের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৬ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৬ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৬ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫