নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পানিহাতা এলাকায় প্রায় ২০০ একর জমির ধান নষ্ট করছে বন্য হাতি। খেয়ে ও পায়ে মাড়িয়ে দেড় শতাধিক কৃষকের এসব ফসল নষ্ট করে। গত ২০-২৫ দিনে ৪০-৫০টি বন্য হাতির একটি দল খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসে। ফলে দুশ্চিন্তায় সময় কাটছে কৃষকদের। বেশি দুশ্চিন্তা করছেন অন্যের জমিতে বর্গায় চাষাবাদকারীরা।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ক্ষতিগ্রস্ত খেতের ছবি ও ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ বন বিভাগের ফরমে আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
বন বিভাগ ও স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ৪০-৫০টি বন্য হাতির দল পানিহাটা অতল জঙ্গলে ও তালতলা জঙ্গলে অবস্থান নিয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার আগে বন্য হাতির দল আমন ধানের খেতে নেমে আসে। এ সময় প্রান্তিক কৃষক তাঁদের পরিবারের সদস্য, এলাকাবাসী ও বন বিভাগের কর্মীরা হইহল্লা করে, বাঁশি বাজিয়ে ও পটকা ফুটিয়ে হাতি জঙ্গলে ফেরাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন। এ ছাড়া শতাধিক কৃষক পাহাড়ের ঢালে খেতের পাশে মাচা করে রাত যাপন করেন আর জেগে পাহারা দেন। কিন্তু তাতে হাতির আক্রমণ বন্ধ হয় না। গত এক মাসে পানিহাটা গ্রামে দেড় শতাধিক প্রান্তিক কৃষকের ২০০ একর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে হাতির আক্রমণে।
কৃষক হাসমত আলী বলেন, চলতি মৌসুমে পাহাড়ের ঢালে দেড় একর জমি বর্গা নিয়ে আমন আবাদ করেছিলেন তিনি। ফলনও ভালো হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক দিনে চোখের সামনে হাতির পাল তাঁর খেতের প্রায় সব ধান খেয়ে সাবাড় করে ফেলেছে।
কৃষক মোতালেব হোসেন বলেন, ‘হাতির ভয়ে ১৫ দিন ধইরা আমরা খেতের পাশে রাত জেগে পাহারা দিয়েছি। কিন্তু হাতির দল আমাদের অনেকের খেতের ফসল খাইয়া শেষ কইরা ফালাইছে। এত কষ্টের ফসল চোখের সামনে শেষ হইয়া গেল। এহন ক্ষতিপূরণ চাইয়া আবেদন করছি।’
দিনমজুর বিজার কুবির বলেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী মিনিগ চিসিম দুজনে মিলে তিন একর জমি বর্গা নিয়ে পাইজাম ধান চাষ করছি। ফলনও ভালো হয়েছিল। একর প্রতি ৪৫ থেকে ৫০ মণ ধান পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ২৫ দিনে ৪০-৫০টি বন্য হাতির একটি দল আক্রমণ ৭-৮ বার আক্রমণ চালিয়ে আমার ধানি জমি নষ্ট কইরা দিছে। এহন সব মিলাইয়া তিন একর জমি থেকে দেড় মণ ধান পাইছি।’
এ ব্যাপারে বন বিভাগের গোপালপুর বিট কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, এই পর্যন্ত পানিহাটা গ্রামের শতাধিক কৃষকের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের জন্য বন বিভাগের কাছে আবেদন করা হয়েছে। নিয়ম মেনে আবেদন করা হলে একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা করে পাবেন।
মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আবদুল করিম বলে, একজন কৃষককে ক্ষতিগ্রস্ত খেতের ছবি, তাঁর নিজের ছবি, ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ বন বিভাগের ফরমে আবেদন করতে হয়। দুই মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আবেদন করতে বলা হয়েছে।
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পানিহাতা এলাকায় প্রায় ২০০ একর জমির ধান নষ্ট করছে বন্য হাতি। খেয়ে ও পায়ে মাড়িয়ে দেড় শতাধিক কৃষকের এসব ফসল নষ্ট করে। গত ২০-২৫ দিনে ৪০-৫০টি বন্য হাতির একটি দল খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসে। ফলে দুশ্চিন্তায় সময় কাটছে কৃষকদের। বেশি দুশ্চিন্তা করছেন অন্যের জমিতে বর্গায় চাষাবাদকারীরা।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ক্ষতিগ্রস্ত খেতের ছবি ও ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ বন বিভাগের ফরমে আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
বন বিভাগ ও স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ৪০-৫০টি বন্য হাতির দল পানিহাটা অতল জঙ্গলে ও তালতলা জঙ্গলে অবস্থান নিয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার আগে বন্য হাতির দল আমন ধানের খেতে নেমে আসে। এ সময় প্রান্তিক কৃষক তাঁদের পরিবারের সদস্য, এলাকাবাসী ও বন বিভাগের কর্মীরা হইহল্লা করে, বাঁশি বাজিয়ে ও পটকা ফুটিয়ে হাতি জঙ্গলে ফেরাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন। এ ছাড়া শতাধিক কৃষক পাহাড়ের ঢালে খেতের পাশে মাচা করে রাত যাপন করেন আর জেগে পাহারা দেন। কিন্তু তাতে হাতির আক্রমণ বন্ধ হয় না। গত এক মাসে পানিহাটা গ্রামে দেড় শতাধিক প্রান্তিক কৃষকের ২০০ একর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে হাতির আক্রমণে।
কৃষক হাসমত আলী বলেন, চলতি মৌসুমে পাহাড়ের ঢালে দেড় একর জমি বর্গা নিয়ে আমন আবাদ করেছিলেন তিনি। ফলনও ভালো হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক দিনে চোখের সামনে হাতির পাল তাঁর খেতের প্রায় সব ধান খেয়ে সাবাড় করে ফেলেছে।
কৃষক মোতালেব হোসেন বলেন, ‘হাতির ভয়ে ১৫ দিন ধইরা আমরা খেতের পাশে রাত জেগে পাহারা দিয়েছি। কিন্তু হাতির দল আমাদের অনেকের খেতের ফসল খাইয়া শেষ কইরা ফালাইছে। এত কষ্টের ফসল চোখের সামনে শেষ হইয়া গেল। এহন ক্ষতিপূরণ চাইয়া আবেদন করছি।’
দিনমজুর বিজার কুবির বলেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী মিনিগ চিসিম দুজনে মিলে তিন একর জমি বর্গা নিয়ে পাইজাম ধান চাষ করছি। ফলনও ভালো হয়েছিল। একর প্রতি ৪৫ থেকে ৫০ মণ ধান পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ২৫ দিনে ৪০-৫০টি বন্য হাতির একটি দল আক্রমণ ৭-৮ বার আক্রমণ চালিয়ে আমার ধানি জমি নষ্ট কইরা দিছে। এহন সব মিলাইয়া তিন একর জমি থেকে দেড় মণ ধান পাইছি।’
এ ব্যাপারে বন বিভাগের গোপালপুর বিট কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, এই পর্যন্ত পানিহাটা গ্রামের শতাধিক কৃষকের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের জন্য বন বিভাগের কাছে আবেদন করা হয়েছে। নিয়ম মেনে আবেদন করা হলে একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা করে পাবেন।
মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আবদুল করিম বলে, একজন কৃষককে ক্ষতিগ্রস্ত খেতের ছবি, তাঁর নিজের ছবি, ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ বন বিভাগের ফরমে আবেদন করতে হয়। দুই মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আবেদন করতে বলা হয়েছে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫