Ajker Patrika

ঝাল বাড়ছেই কাঁচামরিচের

বগুড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২১, ১৪: ০০
ঝাল বাড়ছেই কাঁচামরিচের

বগুড়ার কাঁচাবাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পেয়েছে কিছু সবজির দাম। এ ছাড়া বেড়েছে সয়াবিন তেল, ডাল আটাসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের মূল্য।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেলে পর্যন্ত বগুড়া শহরের রাজাবাজার, লতিফপুর কলোনী বাজার, ফুলতলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজের দাম ৪৫ টাকা কেজি থেকে বেড়ে ৫০ টাকা হয়েছে। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ১৪০ টাকায়।

মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু কিছুদিন আগেই মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হয়েছে ২০-২৫ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া আলু, বেগুন, ঢ্যাঁড়স, টমেটো, আদা-রসুন, করলা শুকনো মরিচসহ অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক রয়েছে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বেড়েছে ৫ টাকা। কিছুদিন আগে এক লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হত ১৪০ টাকায়। যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ টাকা। মসুর ডাল (মোটা) কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। আগে বিক্রি হত ৮০ টাকা কেজি দরে। এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। মসুর ডাল (চিকন) বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। যা কিছুদিন আগে ছিল ১১০ টাকা। বুটের ডাল ৭৪-১৫ টাকা থেকে বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

শহরের রাজাবাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম জানান, ‘এ সপ্তাহের ব্যবধানে কিছু সবজির দাম বাড়লেও অন্যান্য সবজির মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে। আমাদের বেশি দামে যেসব সবজি কিনতে হচ্ছে, আমরা শুধু সেগুলো দাম বাড়িয়েছি। মাঝে মধ্যেই বাজারে দাম ওঠানামা করে।’

রাজাবাজারে বাজার করতে এসেছেন হৃদয় খন্দকার নামের এক যুবক। কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, সবজির দাম খুব অল্প সময়ের মধ্যেই উঠানামা করে। কাঁচা মরিচের দাম হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এ ছাড়া বেড়েছে সয়াবিন তেল, ডাল ও আটার দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যর দাম হঠাৎ করেই বেড়ে যাওয়ায় আমাদের বিপাকে পড়তে হয়।’

ফুলতলা বাজারে কথা হয় রায়হান নামের এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচ কিনেছি ১৪০ টাকা কেজি দরে। তার আগে কিনেছি ১০০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু এখন এসে কিনতে হচ্ছে ১৬০ টাকায়। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে আমাদের ভোগান্তিও বাড়বে।’

ফুলতলা এলাকার মুদি দোকানি মিলন হোসেন বলেন, ‘হঠাৎ করেই সয়াবিন তেল, আটা, ডালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আমাদের কিছু করার নেই। পাইকারি মূল্যর ওপর নির্ভর করে আমাদের খুচরা বিক্রি করতে হয়।’

জানতে চাইল বগুড়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বগুড়া সহকারী পরিচালক দেবাশীষ রায় বলেন, ‘যেসব নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্যর দাম নির্ধারণ করা থাকে, সেসব পণ্য অতিরিক্ত দামে বিক্রি করা হলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি। এ ছাড়া কাঁচাবাজারে খুচরা ব্যবসায়ীরা যদি সবজির ক্রয়মূল্য থেকে অনেক বেশি দামে বিক্রি করে তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিব। আর দাম বৃদ্ধির বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ