Ajker Patrika

শজিমেক হাসপাতালের পরিচালকের কাছে অভিযোগ

বগুড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২১, ১৫: ৪০
শজিমেক হাসপাতালের পরিচালকের কাছে অভিযোগ

বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের এবার কর্মচারীদের বিরুদ্ধে এক রোগীর স্বামীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এতে তাঁর নাক ফেটে রক্তাক্ত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালটির বহির্বিভাগের চিকিৎসকের কক্ষের বাইরে মারধরের শিকার হন ৩৭ বছর বয়সী আবু হাসান রায়হান। তাঁর নাক ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল দুপুরে তিনি শজিমেক হাসপাতালের পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযুক্তরা হলেন হাসপাতালের অফিস সহায়ক সোহরাব হোসেনসহ আরও তিন-চারজন। ভুক্তভোগী রায়হান বগুড়া সদরের ফুলবাড়ী কারিগড় পাড়ার বাসিন্দা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রায়হান গতকাল সকালে তাঁর অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে শজিমেক হাসপাতালে আসেন। তাঁরা বহির্বিভাগে অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় অফিস সহায়ক সোহরাব রোগীদের গালাগালি করেন এবং একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। রায়হান এর প্রতিবাদ করতে যান। এ সময় সোহরাবসহ আরও তিন-চারজন রায়হানকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন। ঘুষিতে রায়হানের নাক ফেটে যায়।

ঘটনার পর পরই হাসপাতালে গিয়ে অফিস সহায়ক সোহরাব ও বাকিদের পাওয়া যায়নি। তাঁদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।

জানতে চাইলে ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে রায়হানকে আমাদের হেফাজতে নিয়েছিলাম। রায়হান শজিমেক হাসপাতালের পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।’

জানতে চাইলে শজিমেক হাসপাতালের উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এর আগে ২১ আগস্ট রাতে হাসপাতালে জয়নব বেগম নামের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে চিকিৎসক-ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। জয়নব বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার নন্দগ্রামের আছলামের স্ত্রী।

মারধরের শিকার গৃহবধূর স্বামী আসলাম বলেন, জয়নব ১৮ আগস্ট বমি ও পেট ব্যথায় ভোগেন। পরে তাঁকে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২১ আগস্ট রাতে তাঁর স্ত্রীর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তিনি চিকিৎসকদের বিষয়টি জানান। কিন্তু তাঁর কথা কোনো চিকিৎসকই আমলে নিচ্ছিলেন না। তাঁর স্ত্রীর অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তিনি আবারও চিকিৎসকদের কাছে ছুটে যান। এ সময় চিকিৎসকেরা তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন।

আছলাম আরও বলেন, ‘আমাকে চিকিৎসক ও ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন। ওই সময় আমার ছোট ভাই জাকিরকেও মারধর করেন তাঁরা। একপর্যায়ে আমাকে একটি ঘরে আটকে রেখে বেধড়ক পিটিয়েছেন। ৫০ জনের মতো চিকিৎসক-ইন্টার্ন চিকিৎসক কয়েক দফায় আমাদের মারধর করেন। খবর পেয়ে আমার অসুস্থ স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে ছুটে এলে তার পেটে লাথি মারেন এক চিকিৎসক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ