Ajker Patrika

যমুনা পাড়ের মতির হোটেল

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০: ৫৬
যমুনা পাড়ের মতির হোটেল

নদীর টাটকা মাছ। নদীর পাশে মনোরম পরিবেশে বসেই খাওয়ার সুযোগ। খাবারের স্বাদ আর পরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই পরিচিতি পেয়েছে যমুনা পাড়ের মতির হোটেল। বগুড়ার সারিয়াকান্দির এই হোটেলটি উপজেলায় সবচেয়ে জনপ্রিয়। খেয়াঘাটের যাত্রীদের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পর্যটক, উপজেলার সরকারি-বেসরকারি অফিসের চাকরিজীবী, রাজনৈতিক নেতা সবাই এই দোকানে খেতে আসেন।

হোটেলের পাশে কালিতলা ঘাট। সেখান থেকে ছাড়ে সি-ট্রাক। সি-ট্রাকের যাত্রীরা খাওয়া-দাওয়া করেন এখানে। এ ছাড়া হোটেলের পাশ দিয়ে নৌকায় চলাচলকারী যাত্রীদের বেশির ভাগই খাবার খেতে থামেন এই দোকানে।

হোটেলের স্বত্বাধিকারী মতি মিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখানে প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার দেড় শ থেকে আড়াই শ মানুষ দুপুরের খাবার খান। খাবারের মেনুর মধ্যে রয়েছে বোয়াল, আইড়, চিংড়ি, ট্যাংরা, বাগাড়, ইলিশ ও ছোট মাছ। এ ছাড়া গরু, খাসি, হাঁস-মুরগির মাংসও পাওয়া যায় এই দোকানে। পাওয়া যায় আলু ও টাকি মাছ ভর্তা। আর ভাতের সঙ্গে বিনা মূল্যে দেওয়া হয় শাক ভাজি, মাষকলাই ও মসুর ডাল।

মতি মিয়া ২০০২ সালে প্রথমে কালিতলা ঘাট এলাকায় ছোট একটি মুদি দোকান দিয়েছিলেন। তারপর ২০০৫ সালে দুটি টিনের ছাউনি দিয়ে বেড়াহীন ছাপরা ঘরে শুরু করেন ভাত বিক্রি। তখন ছোট মাছ, ভাজি এবং গরুর মাংস বিক্রি হতো। এরপর ২০১৪ সালে একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করেন মতি। বিক্রি বাড়ায় ২০১৬ সালে হোটেলটি ইট-সিমেন্ট দিয়ে পাকা করে থাই গ্লাস লাগিয়ে আধুনিক করা হয়। নাম দেওয়া হয় ‘মতি হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট’।

এখন মতি মিয়ার হোটেলে কাজ করেন সাতজন কর্মচারী। এর মধ্যে রাঁধুনি চারজন। একজন ক্যাশিয়ার এবং দুজন ওয়েটার। বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং, সভা ও সেমিনারেও দোকানটি থেকে খাবার পার্সেল করা হয়।

সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মতির হোটেলটির খাবারের মান, স্বাদ ও পরিবেশ অন্য সব হোটেলের চেয়ে আলাদা। তাই অফিসের দিনগুলোতে দুপুরের খাবার আমি মতির হোটেলেই খাই।’

বগুড়া জেলা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি আব্দুস সালাম বাবু বলেন, ‘খবর সংগ্রহের জন্য সারিয়াকান্দিতে গেলে আমিসহ বগুড়ার বেশির ভাগ সাংবাদিকই মতির হোটেলে দুপুরের খাবার খাই।’

মতি মিয়া বলেন, ‘কাস্টমারদের ভালো সেবাদানই আমার প্রথম লক্ষ্য। যত দিন আল্লাহ আমার শক্তি-সামর্থ্য দিয়েছেন, তত দিন আমি মানুষকে ভালো মানের সেবা দিতে চাই।’

সারিয়াকান্দি পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান মতি বলেন, খাবারের মান ভালো হওয়ায় অল্প দিনেই মতির হোটেলটি জনপ্রিয় হয়েছে। যমুনা পাড়ে এ রকম একটি হোটেল সত্যি প্রশংসার দাবিদার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ