Ajker Patrika

৪ মাস পর ভিসেরা নমুনা নেওয়া হলো থানায়

বরিশাল প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২১, ০৯: ৩৪
৪ মাস পর ভিসেরা নমুনা নেওয়া হলো থানায়

অস্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করা এক নারীর ময়নাতদন্তের চার মাস পর ভিসেরা নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক ওসমান গণি হাওলাদারের গাফিলতিতে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের মর্গে চার মাস পড়ে ছিল ভিসেরা নমুনা।

নানামুখী চাপের পর গতকাল রোববার নমুনা শেবাচিমের মর্গ থেকে বানারীপাড়া থানায় নেওয়া হয়। নিয়মানুযায়ী ময়নাতদন্তের এক সপ্তাহের মধ্যে ভিসেরা নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) পাঠাতে হয়। ঘটনাটি বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বাকপুর গ্রামের।

বানারীপাড়া থানার উপপরিদর্শক ওসমান গণি হাওলাদার জানান, রোববার তিনি ভিসেরা নমুনা শেবাচিম’র মর্গ থেকে থানায় এনেছেন। নমুনা ঢাকায় পাঠানো হবে। চার মাস বিলম্বের কারণ সম্পর্কে তিনি সদুত্তর না দিয়ে বলেন, ‘এসব ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে দেরি হয়ে যায়।’

শেবাচিম’র মর্গের ডোম বিজয় কুমার বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে গত ২৭ মে বাকপুর গ্রাম থেকে মমতাজ বেগম (৬৫) নামের এক নারীর লাশ কবর থেকে তোলা হয়। ওই দিনই শেবাচিম’র মর্গে ময়নাতদন্ত হয়। গত চার মাসে অন্তত ১০ বার তদন্ত কর্মকর্তা ওসমান ও বানারীপাড়া থানার বকশিকে ফোন করে ভিসেরা নমুনা নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। তাঁরা এতে বিরক্তি দেখান। সবশেষ ৭ অক্টোবর ফোন দিলে গতকাল রোববার মর্গ থেকে নমুনা নিয়ে যান।’

মৃত মমতাজ বেগমের ছেলে কাজী জুয়েল বলেন, ‘মায়ের ময়নাতদন্ত রিপোর্টের জন্য গত চার মাস ধরে বানারীপাড়া থানার এসআই ওসমান গণির কাছে ধরনা দেন। তিনি প্রতিবারই জানিয়ে দেন এখনো রিপোর্ট আসেনি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন মায়ের শরীর থেকে সংগৃহীত নমুনা শেবাচিম’র মর্গ থেকে সংগ্রহ করে ঢাকাতে পাঠাননি এসআই ওসমান গণি। তিনি এটা গোপন রেখে আমাদের বলেছেন রিপোর্ট এখনো ঢাকা থেকে আসেনি।’

কাজী জুয়েল আরও জানান, গত ৫ এপ্রিল তাঁর মা মমতাজ বেগম ঘরের বাইরে ৩ ফুট উঁচু থেকে পড়ে মারা যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ