Ajker Patrika

ভুয়া সনদে শিক্ষক নিয়োগ

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২১, ১৬: ৫৪
ভুয়া সনদে শিক্ষক নিয়োগ

জয়পুরহাটের সদর উপজেলায় চাঁদপুর উচ্চবিদ্যালয়ে অবৈধভাবে, ভুয়া সনদে প্রধান শিক্ষকসহ ৯ জন শিক্ষক নিয়োগের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের অডিট প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০১২ সালের পর বিদ্যালয়টির একাডেমিক নবায়নের কোনো স্বীকৃতি নেই। প্রধান শিক্ষকসহ ৯ জন শিক্ষকের নিয়োগ বিধিসম্মত নয়। কম্পিউটার শিক্ষিকা লতিফা খানমের কম্পিউটার সনদটি ভুয়া। তাই কম্পিউটার শিক্ষিকাসহ পাঁচজন শিক্ষকের বেতন-ভাতাদি ২০১৭ সাল পর্যন্ত সরকারি কোষাগারে ফেরতযোগ্য। এদিকে ইতিমধ্যেই একজন শিক্ষক সরকারি কোষাগারে টাকা জমা না দিয়েই মারা গেছেন।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার ধলাহার এলাকায় ১৯৯৩ সালে স্থানীয় শিক্ষা অনুরাগীদের দান করা এক একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত হয় চাঁদপুর উচ্চবিদ্যালয়।

এলাকাবাসী বলছেন, বিগত সময়ে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম থাকলেও এখন নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেকটা ধস নেমেছে।

জানা যায়, সদ্য সাবেক হওয়া ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও দাতা সদস্য মো. কামরুজ্জামান দায়িত্বে থাকা অবস্থায়, নানা অভিযোগ এনে গত ৩১ জানুয়ারি প্রধান শিক্ষককে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়াসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তিনি ৯ ফেব্রুয়ারি লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। উল্টো অজ্ঞাত কারণে, অভিযুক্তরা বহাল থেকে চাকরি করছেন এবং বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করছেন। যদিও অডিট প্রতিবেদনে নির্দেশনা আছে—কম্পিউটার শিক্ষিকা ২০১৭ সালের পর বেতন-ভাতা উত্তোলন করলে তা-ও ফেরতযোগ্য হবে।

বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষিকা লতিফা খানমসহ অন্যান্য শিক্ষকের বক্তব্য জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, প্রধান শিক্ষকের নিষেধ থাকায়, মুখ খুলবেন না তাঁরা।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আলমগীর কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদ্যালয়টির একাডেমিক নবায়ন স্বীকৃতি বর্তমানে নেই, তবে স্বীকৃতি নবায়ন প্রক্রিয়াধীন আছে। অডিট রিপোর্ট সঠিক আছে। অডিট প্রতিবেদন মিথ্যা, আমি সেটা আপনাদের বলছি না। অডিট সম্পর্কে কোনো মন্তব্য বা বক্তব্য দেব না। এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের ডিপার্টমেন্টে জবাব দিয়েছি, প্রয়োজনে তাঁদের আবারও জবাব দেব। এই পুরো বিষয় নিয়ে আমি কোনো কথা বলব না।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (সদর) ও তদন্ত কমিটির প্রধান দীপক কুমার বণিক বলেন, ‘চাঁদপুর উচ্চবিদ্যালয়ের অভিযোগগুলোর বিষয়ে তদন্ত করেছি। খুব তাড়াতাড়ি তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হবে। আর অডিটের নির্দেশনা উপেক্ষা করে শিক্ষকেরা যদি বেতন-ভাতা তোলেন, তা-ও ফেরতযোগ্য হবে। আমাদের তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর পর ঊর্ধ্বতনের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহাদুজ্জামান বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী যে ব্যবস্থা নিতে বলা হবে; আমরা সে ব্যবস্থাই বাস্তবায়ন করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফরিদপুরে পালিয়ে যাওয়া আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার, থানার ওসিকে বদলি

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় ভারতের উদ্বেগ

কাতারের রাজপরিবারের দেওয়া বিলাসবহুল বিমান না নেওয়াটা বোকামি: ট্রাম্প

সৌদি আরবের সঙ্গে ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করে নিজের রেকর্ড ভাঙল যুক্তরাষ্ট্র

পুলিশ হত্যাকারী ফোর্স হতে পারে না: আইজিপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত