Ajker Patrika

মেয়ের বাড়িতে যাওয়া হলো না মায়ের

মাদারীপুর প্রতিনিধি
দুর্ঘটনাকবলিত বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুর্ঘটনাকবলিত বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাদারীপুরে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় এক নারী পথচারী মারা গেছেন। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের উকিলবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নারী পথচারী হলেন ফাতেমা বেগম (৫৫)। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের চতুরপারা মোল্লাকান্দি এলাকার জব্বার মোল্লার স্ত্রী।

পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, ফাতেমা বেগম তাঁর নিজ বাড়ি থেকে একই উপজেলার উকিলবাড়ি এলাকায় মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। আজ দুপুরে মেয়ের বাড়িতে তাঁর কাজির ভাত খাওয়ার দাওয়াত ছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উকিলবাড়ি এলাকায় একটি লোকাল বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যাওয়ার সময় পথচারী ফাতেমা বেগমকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর শেখ আহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। আমাদের দুটি ইউনিট গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে এক পথচারী নারী মারা গেছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১ হাজার টাকায় ৪ থ্রি-পিস দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখে নারীদের ভিড়, বেকায়দায় শোরুম কর্তৃপক্ষ

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি: কানাডার প্রধানমন্ত্রী

আ.লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার, ছেলেকে ৫ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন হবে ৯০ হাজার সেনাসদস্য

‘দুর্ব্যবহারের প্রতিশোধ নিতে’ হোটেলে ঢুকে ৪ কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বৃন্দাবন কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের রজতজয়ন্তী: উন্মুক্ত মঞ্চে জুতা-বোতল নিক্ষেপ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্বেচ্ছাসেবকেরা দর্শকদের ওপর লাঠিচার্জ করে। ছবি: আজকের পত্রিকা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্বেচ্ছাসেবকেরা দর্শকদের ওপর লাঠিচার্জ করে। ছবি: আজকের পত্রিকা

হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের রজতজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান চরম অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চে জুতা, বোতল নিক্ষেপসহ হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ব্যান্ড দল ‘লালন’ মাত্র দুটি গান পরিবেশন করে মঞ্চ ছাড়তে বাধ্য হয়।

্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত রাখার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যা ৭টা থেকে হট্টগোল শুরু হয় এবং রাত সাড়ে ১০টায় পুরো অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়। বিশৃঙ্খলার ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

জানা যায়, শনিবার দিনব্যাপী বৃন্দাবন সরকারি কলেজে পুনর্মিলনী উপলক্ষে ক্যাম্পাস মুখর ছিল। সারা দিন সুন্দরভাবে অনুষ্ঠান চললেও সন্ধ্যার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জালাল স্টেডিয়ামে স্থানীয় সংগীতশিল্পী বাঁধন মোদক মঞ্চে ওঠার পর থেকে দর্শকেরা হট্টগোল শুরু করেন। তাঁরা মঞ্চের সামনের বাঁশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন এবং মঞ্চ থেকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তাঁরা কর্ণপাত করেননি। ব্যান্ড দল লালন মঞ্চে উঠলে বিশৃঙ্খলা আরও বাড়তে থাকে। যার ফলে তাদের দুটি গান শেষে পরিবেশনা বন্ধ করতে হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্বেচ্ছাসেবকেরা দর্শকদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করলে অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে দর্শক-শ্রোতারা দ্রুত দৌড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেন, এতে পদদলিত হয়ে কয়েকজন আহত হন। এ সময় রাস্তায় বহু জুতা পড়ে থাকতে দেখা যায়।

অনুষ্ঠান দেখতে যাওয়া কয়েকজন নারী অভিযোগ করেন, এমন অব্যবস্থাপনার কারণে অনুষ্ঠানস্থলে নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছেন। তাঁরা বলেন, একটি শিক্ষাঙ্গনের অনুষ্ঠানে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়া অপ্রত্যাশিত।

ব্যান্ড দল ‘লালন’ মাত্র দুটি গান পরিবেশন করে মঞ্চ ছাড়তে বাধ্য হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ব্যান্ড দল ‘লালন’ মাত্র দুটি গান পরিবেশন করে মঞ্চ ছাড়তে বাধ্য হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রজতজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজকদের একজন জানান, হবিগঞ্জের এক স্থানীয় শিল্পী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি উন্মুক্ত রাখার পরামর্শ দেন। তবে তিনি (আয়োজক) মনে করেন, অনুষ্ঠানটি শুধু ব্যবস্থাপনা বিভাগ বা বড়জোর কলেজশিক্ষার্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত ছিল। এই অবস্থার জন্য ‘অনুষ্ঠানকে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা’ও দায়ী বলে মন্তব্য করেন ওই আয়োজক।

অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক রাজীব আহমেদ রিংগনের কাছ থেকে এ বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শাহাবুদ্দিন শাহীন জানান, পরিবেশ শান্ত করতে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। দৌড়াদৌড়ির সময় যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওসি আরও জানান, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১ হাজার টাকায় ৪ থ্রি-পিস দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখে নারীদের ভিড়, বেকায়দায় শোরুম কর্তৃপক্ষ

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি: কানাডার প্রধানমন্ত্রী

আ.লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার, ছেলেকে ৫ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন হবে ৯০ হাজার সেনাসদস্য

‘দুর্ব্যবহারের প্রতিশোধ নিতে’ হোটেলে ঢুকে ৪ কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মাদকের বিনিময়ে সার পাচারকালে ৯ জন আটক

হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
সারসহ আটক ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত
সারসহ আটক ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমার থেকে মাদকের বিনিময়ে অবৈধভাবে সারসহ বাংলাদেশি পণ্য পাচারকালে ৯ জনকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। এ সময় পাচারের কাজে ব্যবহৃত তিনটি বোট এবং প্রায় ১৪ লাখ ২৮ হাজার টাকা মূল্যের রাসায়নিক সার জব্দ করা হয়। শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।

কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, একটি চক্র বাংলাদেশি পণ্যের বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা, বিদেশি মদসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য দেশে আনছে—এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাত ১টার দিকে কোস্ট গার্ড স্টেশন হাতিয়া নোয়াখালীর হাতিয়া থানাধীন সূর্যমুখী ঘাট-সংলগ্ন মেঘনা নদীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযান চলাকালে সন্দেহজনক তিনটি বোটে তল্লাশি চালিয়ে অবৈধভাবে শুল্ক ও কর ফাঁকি দিয়ে পাচারের উদ্দেশ্যে বহন করা ১ হাজার ১৯৪ বস্তা রাসায়নিক সারসহ ৯ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। জব্দ সারগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৪ লাখ ২৮ হাজার টাকা।

আটক ব্যক্তিরা হলেন কক্সবাজারের পিত্তমখালী গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে আবুল কাশেম (৪৫), সন্দ্বীপ উপজেলার উরিরচর এলাকার মুন্সি মাঝির ছেলে মো. সালাউদ্দিন (২৮), চট্টগ্রাম খুলশী থানার দামপাড়া টাইগার পাস এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে মো. সোহেল (৩৫), নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সূর্যমুখী শূন্যের চর গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে মো. বাহার (৫৭), ঢাকা দোহার উপজেলার মেথুলা বাজার দক্ষিণ শিমুলিয়া গ্রামের আলাউদ্দিন মোল্লার ছেলে মো. আক্তার হোসেন (২৮), লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার আঠিয়া তলি গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৭), ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামের সালেহ আহাম্মদের ছেলে মো. সাহেল (২৮), পিরোজপুর নেছারাবাদের (স্বরূপকাঠি) রাজাবাড়ী গ্রামের নুরুল হুদার ছেলে মো. নেছার উদ্দিন (৩৭) ও তাঁর ছেলে মো. সম্রাট মিয়া (১৬)।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, আটক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চোরাচালান, মাদক ও অবৈধ বাণিজ্য রোধে কোস্ট গার্ডের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১ হাজার টাকায় ৪ থ্রি-পিস দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখে নারীদের ভিড়, বেকায়দায় শোরুম কর্তৃপক্ষ

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি: কানাডার প্রধানমন্ত্রী

আ.লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার, ছেলেকে ৫ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন হবে ৯০ হাজার সেনাসদস্য

‘দুর্ব্যবহারের প্রতিশোধ নিতে’ হোটেলে ঢুকে ৪ কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাঘায় শরীরে ডিজেল ঢেলে দগ্ধ গৃহবধূর মৃত্যু, স্বামী-ভাইয়ের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি    
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর বাঘায় শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুনে দগ্ধ হয়ে মুন্নি খাতুন (২৮) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত মুন্নি খাতুন বাঘা পৌরসভার চক নারায়ণপুর গ্রামের সুরুজ আলীর স্ত্রী এবং একই পৌরসভার মিলিক বাঘা গ্রামের নাজিমুদ্দীনের মেয়ে। তাঁদের সাত বছরের এক ছেলে ও চার বছরের এক মেয়ে রয়েছে।

পারিবারিক কলহের জেরে মুন্নি খাতুন নিজের শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে তাঁর স্বামীর পরিবার দাবি করেছে।

অন্যদিকে মুন্নির ভাই আসলাম আলী এই দাবি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমার বোনের স্বামীই তার শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’ তিনি জানান, ১০ বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে তাঁদের বিয়ে হলেও সুরুজের পরিবার শুরু থেকেই এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি।

মুন্নির স্বামী সুরুজ আলীর বক্তব্য না পাওয়া গেলেও তাঁর ভাতিজা সাব্বির আলী জানান, শুক্রবার রাতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে মুন্নি ও সুরুজের মধ্যে ঝগড়া হয়। তাঁর দাবি, সুরুজ যখন ঘুমন্ত ছিল, তখন ভোররাতে মুন্নি নিজেই নিজের শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। চিৎকার শুনে সুরুজ ঘুম থেকে উঠে পানি ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। এরপর মুন্নিকে প্রথমে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রামেকে ভর্তি করা হয়। মেশিনে ব্যবহারের জন্য বাড়িতে ডিজেল রাখা ছিল বলেও সাব্বির আলী দাবি করেন।

বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক অখিল পাল জানান, স্বজনেরা মুন্নিকে হাসপাতালে নিয়ে এলে তাঁকে রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র শঙ্কর বিশ্বাস মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘রোগীকে সকালে হাসপাতালের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে (বার্ন ইউনিট) ভর্তি করা হয়। দুপুরের দিকে রোগীর স্বজনেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় নেওয়ার কথা বলে ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল থেকে চলে যান। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বিকেলে তাঁকে আবার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত অবস্থায় পান।’

শঙ্কর বিশ্বাস আরও জানান, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মুন্নির মরদেহ রামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১ হাজার টাকায় ৪ থ্রি-পিস দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখে নারীদের ভিড়, বেকায়দায় শোরুম কর্তৃপক্ষ

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি: কানাডার প্রধানমন্ত্রী

আ.লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার, ছেলেকে ৫ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন হবে ৯০ হাজার সেনাসদস্য

‘দুর্ব্যবহারের প্রতিশোধ নিতে’ হোটেলে ঢুকে ৪ কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর: সাঁকো বেয়ে উঠতে হয় চার কোটির সেতুতে

  • দুই পাশে ২০-২৫ ফুট দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকো বেয়ে উঠতে হয় সেতুতে
  • চরম ভোগান্তিতে তিনটি ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামের মানুষ
ফরিদ আহমেদ চঞ্চল, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ)
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ০৮: ১৮
সংযোগ সড়ক না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো বেয়ে উঠতে হয় সেতুতে। সম্প্রতি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার ক্যাইজা বিশ্বনাথপুর নতুনপাড়া এলাকায়।	ছবি: আজকের পত্রিকা
সংযোগ সড়ক না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো বেয়ে উঠতে হয় সেতুতে। সম্প্রতি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার ক্যাইজা বিশ্বনাথপুর নতুনপাড়া এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় পৌনে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় স্থানীয় লোকজনকে প্রতিদিন চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ সেতুর দুই পাশে ২০-২৫ ফুট দৈর্ঘ্যের সাঁকো বেয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের হাট পাচিল থেকে এনায়েতপুর মণ্ডলের মোড় পর্যন্ত যমুনা তীর রক্ষা বাঁধ সংস্কারের কাজ চলায় পূর্ব ও দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষদের বাধ্য হয়ে প্রতিদিন মালামালসহ সেতু পারাপার হতে হচ্ছে। এতে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটছে।

জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে সিরাজগঞ্জ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২২ অর্থবছরে উপজেলার খুকনি ইউনিয়নের ক্যাইজা বিশ্বনাথপুর নতুনপাড়া পোরাকুম বিলের ওপর ৬০ মিটার সেতু নির্মাণে ৩ কোটি ৭৪ লাখ ৮৫ হাজার ৩৭ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেতুটি নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড।

স্থানীয়রা জানান, সেতুর নির্মাণকাজ প্রায় ৮ মাস আগে শেষ হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সংযোগ সড়ক তৈরি করেনি। এ কারণে সেতুতে উঠতে স্থানীয়রা বাঁশ ও কাঠ দিয়ে বানানো সাঁকো ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন। এই সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল ও ভ্যান চলাচল করছে। ভ্যানচালকেরা মালামাল মাথায় নিয়ে সাঁকো পার হয়ে পরে আবার ভ্যান নিয়ে গিয়ে মালামাল পরিবহন করছেন। সাঁকো পার হতে অনেকে একে অপরের ওপর নির্ভর করতে হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, স্থানীয় মানুষদের পাশাপাশি কৃষকেরা তাঁদের ধান-চালসহ উৎপাদিত পণ্য বাজারে নিতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন। গর্ভবতী মা, শিশু ও অন্য রোগীদের হাসপাতালে আনা-নেওয়া করতে বিপদে পড়ছেন স্বজনেরা। স্থানীয় ভ্যানচালক মোজাম সরকার বলেন, বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় মালামাল মাথায় করে সেতু পার হতে হয়। অপর ভ্যানচালক হামিদ ভাঙারি বলেন, সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিতে হচ্ছে। তারা অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করেছেন।

স্থানীয়রা আরও জানায়, সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পরও সংযোগ সড়ক না হওয়ায় খুকনি, বিশ্বনাথপুর, ক্যাইজা, নতুন ঘাটাবাড়ী, সড়াতৈল, রুপসি, সৈয়দপুর, চ্যাংটাপাড়াসহ পূর্ব ও দক্ষিণ অঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এতে ধান-চালসহ উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতসহ দৈনন্দিন যাতায়াতে চরম অসুবিধা হচ্ছে।

জানতে চাইলে প্রকল্পের তদারকি কর্মকর্তা নকশাকার (উপসহকারী প্রকৌশলী) আমির ফারুক সরকার বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ ঠিকাদারকে চিঠি দিয়েও কাজ করানো সম্ভব হয়নি।’ তবে বিভাগীয় চিঠি দেওয়াসহ অতি দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী এ এইচ এম কামরুল হাসান রনি বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক দ্রুত নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিলের টাকা আটকে রাখা হয়েছে। অ্যাপ্রোচ সড়ক তৈরি না করলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১ হাজার টাকায় ৪ থ্রি-পিস দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখে নারীদের ভিড়, বেকায়দায় শোরুম কর্তৃপক্ষ

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি: কানাডার প্রধানমন্ত্রী

আ.লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার, ছেলেকে ৫ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন হবে ৯০ হাজার সেনাসদস্য

‘দুর্ব্যবহারের প্রতিশোধ নিতে’ হোটেলে ঢুকে ৪ কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত