Ajker Patrika

মুক্তমঞ্চের দর্শনার্থীরা জিম্মি ১০ কিশোর গ্যাংয়ের কাছে

  • রসুন্দা লেকসিটির গুরুদয়াল মুক্তমঞ্চে ঘুরতে আসে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ
  • নারীদের উত্ত্যক্ত, দর্শনার্থীদের কাছ থেকে টাকাপয়সা, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় গ্যাংয়ের সদস্যরা
  • প্রতিবাদ করলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও মারধরের শিকার হন দর্শনার্থীরা
সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ 
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১২: ৪৭
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নির্মল হাওয়ায় আনন্দময় সময় কাটানোর জন্য কিশোরগঞ্জের অন্যতম স্পট নরসুন্দা লেকসিটির গুরুদয়াল মুক্তমঞ্চ। শহুরে ক্লান্তি এড়াতে মুক্তমঞ্চের আশপাশের এলাকাজুড়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় থাকে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী দর্শনার্থীর। কিন্তু এলাকার ১০-১২টি কিশোর-তরুণ গ্যাংয়ের কারণে এখন প্রায়ই বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে আগত দর্শনার্থীরদের।

৩ নভেম্বর দুপুরে মুক্তমঞ্চ এলাকার ওয়াচটাওয়ারের পাশে একটি বেঞ্চে বসে গল্প করছিলেন এক যুগল। হঠাৎ ২০-২৫ জনের একটি দল এসে তাঁদের উত্ত্যক্ত করতে থাকে। ওই যুগল প্রতিবাদ করায় হেনস্তার শিকার হন। সেই সঙ্গে দুজনেরই মোবাইল ফোন, টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয় ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা। আশপাশে অন্য দর্শনার্থীরা থাকলেও কেউ ওই যুগলকে সাহায্য করতে এগিয়ে যাওয়ার সাহস করেননি।

গত দুই মাসে এ রকম অনেক ঘটনার কথা জানা গেছে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে। তবে পরে আরও ঝামেলায় পড়তে পারে–এ আশঙ্কায় কেউ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগ দেননি। কেননা, ওই তরুণদের ‘বড় ভাইয়েরা’ শহরের ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সরকারি চাকরিজীবীর সন্তান বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এ জন্য ভয়ে ওই গ্যাংয়ের কোনো সদস্যের নামও প্রকাশ করতে চাননি তাঁরা।

ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই গ্যাংয়ের সদস্যদের বয়স প্রায় ১৫-৩৫ বছরের মধ্যে। হানা দেওয়ার সময় ৫-১০ জনের কাছে থাকে দেশীয় অস্ত্র।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হারুয়া সওদাগরপাড়া, হারুয়া চৌরাস্তা, হয়বতনগর, নগুয়া, আখড়া বাজার, বত্রিশ এলাকায় ১০-১২টি গ্যাং রয়েছে। তারা ভাগে ভাগে এসে বিভিন্ন সময়ে শক্তি প্রদর্শনের জন্য মহড়া দেয় গুরুদয়াল মুক্তমঞ্চসহ আশপাশ এলাকায়। নারীদের উত্ত্যক্ত করা এবং দর্শনার্থীদের কাছ থেকে টাকাপয়সা, মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে প্রতিদিনই। এর প্রতিবাদ করলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে থাকে গ্যাংয়ের সদস্যরা।

মুক্তমঞ্চে ঘুরতে আসা অনেক অভিভাবক জানান, শিশুদের খেলাধুলার জন্য যে দোলনা, স্লিপার রয়েছে, তাও ঘিরে থাকে ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা। বসার বেঞ্চগুলোও দখলে থাকে তাদের। আর তাদের অশ্লীল কথাবার্তার কারণে বাধ্য হয়ে দর্শনার্থীদেরই ফিরে যেতে হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দর্শনার্থী বলেন, ‘শহরে তো এখন খেলার মাঠ নেই। বিকেল বেলায় আমাদের বাচ্চাদের নিয়ে এখানে আসি খেলাধুলার জন্য। তাদের (কিশোর-তরুণদের গ্যাং) জন্য আমরা বাচ্চাদের নিয়ে খেলতেও পারি না। তাঁরা আমাদের সামনেই অশ্লীল কথাবার্তা বলে। কারও কারও সঙ্গে অস্ত্রও থাকে। মুক্তমঞ্চ, স্মৃতিস্তম্ভ ও আশপাশের এলাকায় তাদের উৎপাত বেশি।’

মুক্তমঞ্চের পাশের এক দোকানি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তারা ঝাঁক বেঁধে আসে। প্রায়ই খাওয়াদাওয়া করে বিল না দিয়েই চলে যায়। এমনকি বিভিন্ন দোকান থেকে চাঁদাও নেয়। আমরা গরিব মানুষ, কয় টাকা আর রোজগার করতে পারি। তাদের ভয়ে কেউ আইনের আশ্রয় নেওয়ার সাহস পাই না। আমরা এ জুলুম থেকে মুক্তি চাই।’

কিশোরগঞ্জ সরকারি গুরুদয়াল কলেজের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, কিছুদিন ধরেই তাদের উৎপাত ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। স্কুল-কলেজগামী মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা, অশ্লীল কথাবার্তা বলা, এমনকি তাদের কাছ থেকে মোবাইল, ব্যাগ ও চেইন ছিনতাই করছে তারা। ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের ইংরেজির শিক্ষক মো. আল আমিন বলেন, কর্তৃপক্ষের উচিত প্রয়োজনীয় স্থানগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা। অন্যথায়, মানুষের শান্তি নষ্ট হবে।

তরুণ গ্যাংয়ের নানা অপরাধের বিষয়ে জেলাজজ আদালতের আইনজীবী ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ফয়জুল করিম মবিন বলেন, এটি মারাত্মক ফৌজদারি অপরাধ। প্রশাসন যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারে।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমার জানামতে, দুয়েক মাসে মুক্তমঞ্চসহ আশপাশের এলাকায় ছিনতাই হচ্ছে, এমন কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতাম।’

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, যারা এমন কাজ করছে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অনার্সে ফরম পূরণে টাকা বাড়ানোর প্রতিবাদে বিএম কলেজে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

অনার্স তৃতীয় বর্ষে ফরম পূরণে এ বছর ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বাড়িয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণে এমন অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২ নভেম্বর) কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন শেষে কলেজের অধ্যক্ষের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ৫ দফা দাবিসংবলিত স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

দাবিগুলো হলো—জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম পূরণের অযৌক্তিক ও অতিরিক্ত ফি কমাতে হবে; মানোন্নয়ন ফি কমাতে হবে, পুনর্নিরীক্ষণ ফি কমাতে হবে, উত্তরপত্রের যথাযথ মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা খাতে সরকারি ভর্তুকি বৃদ্ধি করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে বিএম কলেজের সমাজকর্ম তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। এটি চলবে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এ বছর নানা খাতে প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার টাকা ফি বৃদ্ধি করেছে। তাঁকে দিতে হবে ৭ হাজার ১০০ টাকা। বিজ্ঞান বিভাগে ৯ হাজার টাকা; যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। এত অর্থ মেটানো সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানান সাইফুল।

অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র শাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, ‘আগের চেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ৩ হাজার টাকা ফি বাড়িয়েছে। আমরা চাই আগের প্রচলিত ফি নির্ধারিত থাক। ফি কমানো না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।’ একই কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মেহেদী তানজিল, দর্শনের সুমি আক্তার।

এ ব্যাপারে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. তাজুল ইসলাম বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ফি বাড়িয়েছে। নিয়মিত ছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রায় ২ হাজার এবং অনিয়মিত ছাত্রদের ক্ষেত্রে আরও বেশি ফি ধরা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাঁর কাছে এসে ফরম পূরণের ফি পরিশোধে তাঁদের কষ্টের কথা জানিয়েছেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ছাত্রছাত্রীদের স্মারকলিপি পাঠিয়ে দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বরিশালে আ.লীগ ও জাপার ৯ নেতা-কর্মী কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশালে আ.লীগ ও জাপার ৯ নেতা-কর্মী কারাগারে

বরিশালে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ৯ জন নেতা-কর্মীকে আজ রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার মামলায় জাতীয় পার্টির চারজন এবং হিজলা উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতা-কর্মী রয়েছেন।

একই দিন বরিশাল মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মহাসিনুল ইসলাম হাবুলের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) ইসরাত জাহান এই আদেশ দিন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী কামরুল ইসলাম জানান, জেলহাজতে পাঠানো জাতীয় পার্টির চার নেতা-কর্মী হলেন—আক্তার রহমান সপ্রু, মো. জুম্মান, রফিকুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩১ মে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর সদর রোড এলাকায় জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-মিছিল করে রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ সময় গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ স্লোগান না দেওয়ার অনুরোধ জানালে উভয় পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল মহানগরের সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম সাগর বাদী হয়ে দুই থেকে আড়াই শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় চার নেতাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে অপর এক মামলায় হিজলা উপজেলায় বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তারের পর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে। তাঁরা হলেন—মো. শাহাবুদ্দিন পণ্ডিত, মোশারফ হোসেন তালুকদার, লিয়াকত কাজী, হুমায়ুন কবির ও ইলিয়াস মোল্লা। চলতি বছরের ২২ জুলাই হিজলা উপজেলা বিএনপি অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিয়ের দেড় মাসের মাথায় সড়কে ঝরল প্রবাসীর প্রাণ

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
নিহত নাজমুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত
নিহত নাজমুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার দেবিদ্বারে কাভার্ড ভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে নাজমুল হাসান (২৮) নামের এক প্রবাসী যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার (২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টায় উপজেলার বেগমাবাদ এলাকায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নাজমুল উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের ছেলে।

নিহত যুবকের স্বজন, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, আজ বেলা সাড়ে ৩টায় কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন নাজমুল। বেগমাবাদ এলাকায় এলে একটি পিকআপ ভ্যান তাঁর মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে চলন্ত একটি কাভার্ড ভ্যানের নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

নিহত যুবকের ফুফাতো ভাই ফারুক হোসেন জানান, নাজমুল হাসান কুয়েতে কাজ করেন। প্রায় তিন মাস আগে ছুটিতে দেশে ফেরেন। দেড় মাস আগে বিয়ে করেন তিনি। ১৫ দিন পর তাঁর বিদেশে চলে যাওয়ার কথা ছিল। আজ ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট বাজার থেকে একটি টি-শার্ট কিনে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান নাজমুল।

নাজমুলের বাবা নজরুল ইসলাম বুক চাপড়ে বলেন, ‘ছেলেকে বিয়ে করিয়ে খুব আনন্দে ছিলাম। আনন্দটা বেশি দিন টিকল না।’

এ বিষয়ে মীরপুর হাইওয়ে পুলিশের এসআই আনিসুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত কাভার্ড ভ্যান ও মোটরসাইকেল পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর সড়কে যানজট হয়। বিকেল সোয়া ৫টা থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা হামলা ও গুলি, নিহত ১

খুলনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আইটি গেটসংলগ্ন বিএনপির স্থানীয় কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় এমদাদুল হক (৫৫) নামের এক বিএনপি কর্মী নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য মামুন শেখ (৪৫)। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আজ রোববার (২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাত ৯টার দিকে বিএনপি নেতা মামুন শেখ স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অফিসে বসে ছিলেন।

এ সময় দুর্বৃত্তরা হঠাৎ অফিসে থাকা মামুন শেখকে লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।

প্রথম গুলি মিস হয়ে পাশে থাকা এমদাদুল হকের শরীরে বিদ্ধ হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এরপর সন্ত্রাসীরা আরও গুলি চালালে মামুন শেখ গুলিবিদ্ধ হন। তখন দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা গুরুতর আহত মামুনকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

খানজাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান বলেন, ‘যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন শেখকে দুর্বৃত্তরা গুলি করেছে। তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আমি ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে যাচ্ছি। একজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি।’

যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর শওকত হোসেন হিট্টু বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি ফুলবাড়ী গেটে ছিলাম। শুনেছি, আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনকে দুর্বৃত্তরা গুলি করেছে। তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত