Ajker Patrika

সলিমুল্লাহ মেডিকেলে হট্টগোল করা যুবক গ্রেপ্তার, মানসিক রোগী বলছে পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৬: ৩১
গ্রেপ্তার জুবায়ের এলাহী। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার জুবায়ের এলাহী। ছবি: সংগৃহীত

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঢুকে হট্টগোল করা সেই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ওই যুবকের নাম জুবায়ের এলাহী। পরিবার বলছে, তিনি মানসিক রোগী।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত রোববার সকালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একাডেমিক বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলার ১ নম্বর গ্যালারিতে হঠাৎ লাঠি হাতে প্রবেশ করেন ওই যুবক। তাঁর পরনে ছিল হাফহাতা সাদা গেঞ্জি ও কালো ট্রাউজার। মাথায় ছিল কালো কাপড়ে বাঁধা।

এসেই তিনি গান গেয়ে হট্টগোল শুরু করেন এবং লাঠি হাতে জোরে জোরে মাটিতে আঘাত করতে থাকেন। এ সময় গ্যালারিতে থাকা ছাত্র-ছাত্রীরা ভয়ে বেরিয়ে যান। যুবকটি বিভ্রান্তের মতো এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করে মেডিকেল কলেজ ত্যাগ করেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে যুবককে শনাক্ত করে পুলিশ। পরে কিশোরগঞ্জ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার জুবায়েরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই যুবকের হট্টগোলের ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে, এ নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। অনেকে এই ভিডিও নিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়ান।

গ্রেপ্তার যুবকের এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের গাইটাল পাক্কার মাথা এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে। তিনি একজন মানসিক রোগী। ২০১৫ সাল থেকে তাঁকে সুস্থ করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা চলছে। তবে প্রত্যাশিত ফল আসেনি। গত রোববার রাজধানীর ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে হঠাৎ করেই তিনি এমন কাণ্ড ঘটান।

পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এর আগেও ৮-১০ বার পাগলামির কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। ১৩ বছর বয়সে হঠাৎ পরিবারের লোকজন এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা শুরু করেন। পরে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে বলা হয়, জুবায়ের একজন মানসিক রোগী। দীর্ঘ ৯ বছর যাবৎ জুবায়েরের চিকিৎসা চলছে, কিন্তু তিনি সুস্থ হননি।

Zubayer-Elahi-1

গাইটাল পাক্কার মাথার বাসিন্দা আফরান, আসাদ, মুরাদ, জুম্মান ও সুমন বলেন, ‘জুবায়ের একজন মানসিক রোগী। তিনি ৩ মাস ভালো থাকলে ৯ মাসই মানসিক সমস্যায় ভোগেন। এলাকাবাসী সবাই জানে, তাঁর এই সমস্যার কথা। ময়মনসিংহ ও ঢাকায় প্রায়ই জুবায়েরের বাবা এবং ভাই নিয়ে যেত চিকিৎসার জন্য। হঠাৎ পুলিশ এসে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার পর জানতে পারি, তিনি নাকি ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শ্রেণিকক্ষে লাঠি হাতে ঢুকে পড়েন। একজন মানসিক রোগী হিসেবে তাঁকে ক্ষমা করে দিলেই আমরা এলাকাবাসী খুশি হব।’

জুবায়েরের বড় ভাই তৌহিদ এলাহি বলেন, ‘পরিবারের কাউকে কিছু না বলে ২৬ অক্টোবর রাতে বাড়ি থেকে চলে যায়। পরে শুনেছি, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ক্লাস রুমে গিয়ে পাগলামি করেছে। আবার ২৭ অক্টোবর রাতেই বাড়িতে চলে আসে। পরে সোমবার বিকেলে পুলিশ তাঁকে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘আমার ভাইকে আজ বিকেলে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শ্রেণিকক্ষে ঢুকে ভাঙচুর ও অনধিকার প্রবেশের অভিযোগে ঢাকা আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। পরে আদালত আমার ভাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আমি ঢাকাতেই আছি। আমি তাঁর মানসিক সমস্যার কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় এসেছি। আদালতে আমার ভাইয়ের মানসিক সমস্যার সমস্ত কাগজপত্র উপস্থাপন করব।’

এদিকে এ ঘটনাকে নিয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ছড়ান। কেউ কেউ লেখেন, লাঠি হাতে ওই যুবক নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সদস্য। কেউবা আবার ভিডিওটি শেয়ার করে লেখেন, দেশ জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ আর উগ্রবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হচ্ছে। নারী শিক্ষা হুমকিতে বলেও কেউ কেউ বিভ্রান্তি ছড়ান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মুন্সিগঞ্জে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে জরিমানা

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুন্সিগঞ্জে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

রোববার (২ নভেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সদর উপজেলার বাগমামুদালিপাড়া এলাকায় অভিযান চালান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মুন্সিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ।

এ সময় সহকারী পরিচালক বলেন, রেইনবো মিনি সুপার শপে বিভিন্ন ধরনের মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির জন্য প্রদর্শন ও সংরক্ষণ করায় দোকানটির মালিক মো. মাসুফ উদ্দিনকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ ছাড়া তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ভবিষ্যতে দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ বা বিক্রি করা যাবে না।

অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্যানিটারি পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন মোল্লা ও ব্যাটালিয়ন আনসারের একটি টিম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অনার্সে ফরম পূরণে টাকা বাড়ানোর প্রতিবাদে বিএম কলেজে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

অনার্স তৃতীয় বর্ষে ফরম পূরণে এ বছর ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বাড়িয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণে এমন অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২ নভেম্বর) কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন শেষে কলেজের অধ্যক্ষের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ৫ দফা দাবিসংবলিত স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

দাবিগুলো হলো—জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম পূরণের অযৌক্তিক ও অতিরিক্ত ফি কমাতে হবে; মানোন্নয়ন ফি কমাতে হবে, পুনর্নিরীক্ষণ ফি কমাতে হবে, উত্তরপত্রের যথাযথ মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা খাতে সরকারি ভর্তুকি বৃদ্ধি করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে বিএম কলেজের সমাজকর্ম তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। এটি চলবে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এ বছর নানা খাতে প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার টাকা ফি বৃদ্ধি করেছে। তাঁকে দিতে হবে ৭ হাজার ১০০ টাকা। বিজ্ঞান বিভাগে ৯ হাজার টাকা; যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। এত অর্থ মেটানো সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানান সাইফুল।

অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র শাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, ‘আগের চেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ৩ হাজার টাকা ফি বাড়িয়েছে। আমরা চাই আগের প্রচলিত ফি নির্ধারিত থাক। ফি কমানো না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।’ একই কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মেহেদী তানজিল, দর্শনের সুমি আক্তার।

এ ব্যাপারে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. তাজুল ইসলাম বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ফি বাড়িয়েছে। নিয়মিত ছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রায় ২ হাজার এবং অনিয়মিত ছাত্রদের ক্ষেত্রে আরও বেশি ফি ধরা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাঁর কাছে এসে ফরম পূরণের ফি পরিশোধে তাঁদের কষ্টের কথা জানিয়েছেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ছাত্রছাত্রীদের স্মারকলিপি পাঠিয়ে দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বরিশালে আ.লীগ ও জাপার ৯ নেতা-কর্মী কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশালে আ.লীগ ও জাপার ৯ নেতা-কর্মী কারাগারে

বরিশালে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ৯ জন নেতা-কর্মীকে আজ রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার মামলায় জাতীয় পার্টির চারজন এবং হিজলা উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতা-কর্মী রয়েছেন।

একই দিন বরিশাল মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মহাসিনুল ইসলাম হাবুলের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) ইসরাত জাহান এই আদেশ দিন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী কামরুল ইসলাম জানান, জেলহাজতে পাঠানো জাতীয় পার্টির চার নেতা-কর্মী হলেন—আক্তার রহমান সপ্রু, মো. জুম্মান, রফিকুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩১ মে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর সদর রোড এলাকায় জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-মিছিল করে রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ সময় গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ স্লোগান না দেওয়ার অনুরোধ জানালে উভয় পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল মহানগরের সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম সাগর বাদী হয়ে দুই থেকে আড়াই শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় চার নেতাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে অপর এক মামলায় হিজলা উপজেলায় বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তারের পর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে। তাঁরা হলেন—মো. শাহাবুদ্দিন পণ্ডিত, মোশারফ হোসেন তালুকদার, লিয়াকত কাজী, হুমায়ুন কবির ও ইলিয়াস মোল্লা। চলতি বছরের ২২ জুলাই হিজলা উপজেলা বিএনপি অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিয়ের দেড় মাসের মাথায় সড়কে ঝরল প্রবাসীর প্রাণ

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
নিহত নাজমুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত
নিহত নাজমুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার দেবিদ্বারে কাভার্ড ভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে নাজমুল হাসান (২৮) নামের এক প্রবাসী যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার (২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টায় উপজেলার বেগমাবাদ এলাকায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নাজমুল উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের ছেলে।

নিহত যুবকের স্বজন, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, আজ বেলা সাড়ে ৩টায় কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন নাজমুল। বেগমাবাদ এলাকায় এলে একটি পিকআপ ভ্যান তাঁর মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে চলন্ত একটি কাভার্ড ভ্যানের নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

নিহত যুবকের ফুফাতো ভাই ফারুক হোসেন জানান, নাজমুল হাসান কুয়েতে কাজ করেন। প্রায় তিন মাস আগে ছুটিতে দেশে ফেরেন। দেড় মাস আগে বিয়ে করেন তিনি। ১৫ দিন পর তাঁর বিদেশে চলে যাওয়ার কথা ছিল। আজ ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট বাজার থেকে একটি টি-শার্ট কিনে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান নাজমুল।

নাজমুলের বাবা নজরুল ইসলাম বুক চাপড়ে বলেন, ‘ছেলেকে বিয়ে করিয়ে খুব আনন্দে ছিলাম। আনন্দটা বেশি দিন টিকল না।’

এ বিষয়ে মীরপুর হাইওয়ে পুলিশের এসআই আনিসুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত কাভার্ড ভ্যান ও মোটরসাইকেল পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর সড়কে যানজট হয়। বিকেল সোয়া ৫টা থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত