Ajker Patrika

ফেনীতে পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব, হাসপাতালে রোগীর ভিড়

ফেনী প্রতিনিধি
ফেনীতে পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব, হাসপাতালে রোগীর ভিড়

ফেনীতে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর দেখা দিয়েছে ডায়রিয়াসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব। ডায়রিয়া, চর্মরোগ, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, জ্বর–আমাশয়সহ বিভিন্ন পানি বাহিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে আশংকাজনক হারে। হাসপাতালগুলোতে ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুনের বেশি রোগীর সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসক–নার্সরা। 

জেলায় বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। চিকিৎসার আশায় সদর জেনারেল হাসপাতালে ভিড় করছেন রোগীরা। হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী শয্যার অভাবে বারান্দায় ও রাস্তায় সেবা নিতে হচ্ছে। 

সদর জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, ওয়ার্ডে ১৭ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৭০ জন। এখানে শূন্য থেকে ৩০ বছরের রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। অপর একটি ভবনে তদূর্ধ্ব রোগীরা সেবা নিচ্ছেন সেখানেও ২১ শয্যার বিপরীতে রোগীর সংখ্যা ৭০ জন। ওয়ার্ডে রোগীর জায়গার সংকুলান না হওয়ায় শিশু রোগীদের ওয়ার্ডের বাইরের রাস্তায় ও বাগানে বিছানা পেতে খোলা আকাশের নিচে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন অভিভাবকরা। একই চিত্র শিশু ওয়ার্ডেও। শিশু ওয়ার্ডে ২৬ শয্যার বিপরীতে রোগীর সংখ্যা ছিল ১৩৬ জন।

হাসপাতালের চিকিৎসক–নার্সরা জানান, প্রতিদিন পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্ত: বিভাগ ও বহির্বিভাগে রেকর্ড পরিমাণ রোগী ভিড় করছে। এতে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স ও মেডিকেল সহকারীরা। 

ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন দুজন নার্সসদর উপজেলার বালিগাঁও এলাকা থেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত মেয়েকে নিয়ে এসেছেন রাবেয়া আক্তার। ভেতরে জায়গা না পেয়ে রাস্তার পাশে মাদুর পেতে বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে এসেও খোলা আকাশের নিচে বসে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। আমার মতো এমন অসংখ্য মানুষ জায়গা না পেয়ে রাস্তায় ও বাগানে বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’ 

এক শিশু রোগীর বাবা মো. রাসেল বলেন, ‘হাসপাতালের ভেতরে চিকিৎসা তো দূরে থাক, দাঁড়ানোর পরিস্থিতিও নাই। এত রোগী আমি আগে কখনো দেখিনি। বাধ্য হয়ে ওয়ার্ডের সামনের বাগানে মেয়েকে কোলে নিয়ে বসে আছি। এভাবে চিকিৎসা সেবা হয় না। এ সংকট সমাধানে স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টদের এখনই উদ্যোগ নেওয়া উচিত।’ 

ভেতরে জায়গা না পেয়ে এক মা অসুস্থ সন্তানকে নিয়ে গাছতলায় বসে সেবা নিচ্ছেনআজাদুর রহমান নামে রোগীর আরেক অভিভাবক বলেন, ‘ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শিশু রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। ওয়ার্ডের ভেতরে যতজন রোগী তার থেকে কয়েকগুন বেশি বাইরে খোলা আকাশের নিচে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মাত্র ৩ / ৪ নার্স রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও অনেকে সেবা পাচ্ছে না। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে তারাও হিমশিম খাচ্ছে। যতদ্রুত সম্ভব এখানে নার্স ও চিকিৎসক বাড়ানোর অনুরোধ করছি।’ 

সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘বন্যা পরবর্তী ডায়রিয়া রোগীর প্রকোপ বেশি। হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুণ রোগীর চিকিৎসা স্বল্পসংখ্যক চিকিৎসক–নার্স দিয়ে কোনোভাবেই সম্ভব না। এরপরও কর্তৃপক্ষ প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ সংকট নিরসনে কর্তৃপক্ষ যদি আইসিডিডিআরবির সহযোগিতা নিতে পারে এবং এখানে একটি ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করা যায় তাহলে রোগীরা আরও বেশি চিকিৎসা সেবা পাবে।’ 

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীর ভিড়ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ইনচার্জ সবিতা রায় বলেন, ‘শুধুমাত্র গতকালই ৯০ জন রোগী ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে। যাদের অধিকাংশ শিশু। রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৪০ জন ভর্তি হয়েছে। ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যা ১৭টি কিন্তু রোগী ভর্তি আছে ১৭০ জন। জনবল কম থাকায় আমাদের খুবই কষ্ট হচ্ছে। রোগীরা কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে না আমরাও ভোগান্তিতে আছি।’ 

শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ শ্যামলী রানী বলেন, ‘শিশু ওয়ার্ডে ২৬ শয্যার বিপরীতে রোগী আছে ১৩৬ জন। যে পরিমাণ সে অনুসারে নার্স নেই। বিপুলসংখ্যক রেগীর চাপ সামলাতে আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।’ 

সদর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান সাম্মী বলেন, ‘বন্যা পরবর্তী সময়ে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্যাকালীন দূষিত পানি ও রোগবাহী আবহাওয়ার কারণেই এমনটি হচ্ছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে আমরা ২১ শয্যার আলাদা ডায়রিয়া ওয়ার্ড চালু করেছি।’ 

জায়গার অভাবে রোগীরা হাসপাতালের বাইরে রাস্তায় বসে সেবা নিচ্ছেনতিনি বলেন, ‘এরপরও আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। ডায়রিয়া রোগীদের জন্য দুটি ওয়ার্ড ও শিশু ওয়ার্ড মিলিয়ে ভর্তি রোগী প্রায় সাড়ে তিন শ। বিপুলসংখ্যক রোগীদের স্বল্প পরিসরে সেবা দেওয়া আমাদের জন্য খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এ কারণেই মূলত রোগীরা কেউ ফ্লোরে, কেউ বাইরে অবস্থান করে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এতে রোগীরাও খুশি থাকছেন না আমরাও সন্তুষ্ট হচ্ছি না।’ 

এ কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকতাদের বিষয়টি অবহিত করেছি, তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। ইতোমধ্যে কয়েকটি এনজিও আমাদের সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন। আমরা তাদের বলেছি দুর্যোগ পরবর্তী এসময়টায় যদি ফিল্ড হাসপাতাল (তাঁবুর তৈরী অস্থায়ী হাসপাতাল) করা গেলে রোগীরদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে পারবো। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

টানা তৃতীয়বার জামায়াতের আমির হলেন শফিকুর রহমান

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে বুক অলিম্পিয়াড

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

শিশু-কিশোরদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড। গতকাল শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে মুক্ত আসরের উদ্যোগে বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটি এই আয়োজন করে।

বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক রহমান রাজু।

অধ্যাপক রহমান রাজু বলেন, বুক অলিম্পিয়াড একটি স্বপ্ন অভিযাত্রা, যেখানে স্বপ্নের ডানা মেলার আয়োজন নিহিত রয়েছে। এই আয়োজনের মধ্যে লুকিয়ে আছে আগামীর সম্ভাবনার বীজ। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পাঠপ্রেম জাগিয়ে তোলার পাশাপাশি এটি সমাজে জ্ঞাননির্ভর, প্রগতিশীল ও মানবিক মনন গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। চিন্তা ও বুদ্ধির সমন্বয়ে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে এবং নির্মাণের পথে এগিয়ে নিতে বুক অলিম্পিয়াড এক অনন্য উদ্যোগ।

রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান দীপু বলেন, বুক অলিম্পিয়াড বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার এক অসাধারণ উদ্যোগ। ক্লাসের বই অনেক সময় বাধ্য হয়েই পড়া হয়, কিন্তু বুক অলিম্পিয়াড শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের গণ্ডি পেরিয়ে জ্ঞানের নতুন দিগন্তে নিয়ে যাবে। এই বই পড়া অভ্যাসই তাদের মানবিক ও চিন্তাশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।

নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. ওমর আলী আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ জাগিয়েছে, যা ভবিষ্যতে তাদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, ‘সারা দেশে বুক অলিম্পিয়াডের আলোকছটা ছড়িয়ে দিতে আমরা রাজশাহীতে এই আয়োজন করেছি। বইয়ের ভেতরেই লুকিয়ে আছে জ্ঞানের আলো আর সেই আলোকে প্রতিটি শিক্ষার্থী ও প্রান্তিক অঞ্চলে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান দীপু, নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, জালাল উদ্দিন, আকতার ফারুক, সার্ক কৃষিকেন্দ্রের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ও বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াডের যোগাযোগবিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক আবুল বাশার মিরাজ, লেখক সুফিয়া ডেইজি প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটির সহযোগী হিসেবে ছিল স্বপ্ন ’৭১ প্রকাশন, বইচারিতা, কাঠবিড়ালি প্রকাশন ও শব্দঘর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

টানা তৃতীয়বার জামায়াতের আমির হলেন শফিকুর রহমান

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মুন্সিগঞ্জে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে জরিমানা

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুন্সিগঞ্জে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

রোববার (২ নভেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সদর উপজেলার বাগমামুদালিপাড়া এলাকায় অভিযান চালান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মুন্সিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ।

এ সময় সহকারী পরিচালক বলেন, রেইনবো মিনি সুপার শপে বিভিন্ন ধরনের মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির জন্য প্রদর্শন ও সংরক্ষণ করায় দোকানটির মালিক মো. মাসুফ উদ্দিনকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ ছাড়া তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ভবিষ্যতে দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ বা বিক্রি করা যাবে না।

অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্যানিটারি পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন মোল্লা ও ব্যাটালিয়ন আনসারের একটি টিম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

টানা তৃতীয়বার জামায়াতের আমির হলেন শফিকুর রহমান

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অনার্সে ফরম পূরণে টাকা বাড়ানোর প্রতিবাদে বিএম কলেজে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

অনার্স তৃতীয় বর্ষে ফরম পূরণে এ বছর ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বাড়িয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণে এমন অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২ নভেম্বর) কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন শেষে কলেজের অধ্যক্ষের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ৫ দফা দাবিসংবলিত স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

দাবিগুলো হলো—জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম পূরণের অযৌক্তিক ও অতিরিক্ত ফি কমাতে হবে; মানোন্নয়ন ফি কমাতে হবে, পুনর্নিরীক্ষণ ফি কমাতে হবে, উত্তরপত্রের যথাযথ মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা খাতে সরকারি ভর্তুকি বৃদ্ধি করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে বিএম কলেজের সমাজকর্ম তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। এটি চলবে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এ বছর নানা খাতে প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার টাকা ফি বৃদ্ধি করেছে। তাঁকে দিতে হবে ৭ হাজার ১০০ টাকা। বিজ্ঞান বিভাগে ৯ হাজার টাকা; যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। এত অর্থ মেটানো সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানান সাইফুল।

অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র শাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, ‘আগের চেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ৩ হাজার টাকা ফি বাড়িয়েছে। আমরা চাই আগের প্রচলিত ফি নির্ধারিত থাক। ফি কমানো না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।’ একই কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মেহেদী তানজিল, দর্শনের সুমি আক্তার।

এ ব্যাপারে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. তাজুল ইসলাম বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ফি বাড়িয়েছে। নিয়মিত ছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রায় ২ হাজার এবং অনিয়মিত ছাত্রদের ক্ষেত্রে আরও বেশি ফি ধরা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাঁর কাছে এসে ফরম পূরণের ফি পরিশোধে তাঁদের কষ্টের কথা জানিয়েছেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ছাত্রছাত্রীদের স্মারকলিপি পাঠিয়ে দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

টানা তৃতীয়বার জামায়াতের আমির হলেন শফিকুর রহমান

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বরিশালে আ.লীগ ও জাপার ৯ নেতা-কর্মী কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশালে আ.লীগ ও জাপার ৯ নেতা-কর্মী কারাগারে

বরিশালে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ৯ জন নেতা-কর্মীকে আজ রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার মামলায় জাতীয় পার্টির চারজন এবং হিজলা উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতা-কর্মী রয়েছেন।

একই দিন বরিশাল মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মহাসিনুল ইসলাম হাবুলের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) ইসরাত জাহান এই আদেশ দিন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী কামরুল ইসলাম জানান, জেলহাজতে পাঠানো জাতীয় পার্টির চার নেতা-কর্মী হলেন—আক্তার রহমান সপ্রু, মো. জুম্মান, রফিকুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩১ মে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর সদর রোড এলাকায় জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-মিছিল করে রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ সময় গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ স্লোগান না দেওয়ার অনুরোধ জানালে উভয় পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল মহানগরের সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম সাগর বাদী হয়ে দুই থেকে আড়াই শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় চার নেতাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে অপর এক মামলায় হিজলা উপজেলায় বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তারের পর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে। তাঁরা হলেন—মো. শাহাবুদ্দিন পণ্ডিত, মোশারফ হোসেন তালুকদার, লিয়াকত কাজী, হুমায়ুন কবির ও ইলিয়াস মোল্লা। চলতি বছরের ২২ জুলাই হিজলা উপজেলা বিএনপি অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

টানা তৃতীয়বার জামায়াতের আমির হলেন শফিকুর রহমান

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত