নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভুল নগর-দর্শনে চলমান তাপদাহ আরও ভয়ংকর হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সহসভাপতি স্থপতি ইকবাল হাবিব।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাপা আয়োজিত ‘তাপদাহের তীব্রতাঃ দায় কার? করণীয় কি?’ —শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইকবাল হাবিব বলেন, ‘দেশের নগরীগুলোতে তাপদাহ অনুভবের এই তীব্রতা বৃদ্ধির অন্যতম মূল কারণ হলো ভুল নগর-দর্শন। ৯০’ দশকের পর নগরীগুলোতে অপরিকল্পিত নগরায়ণের ধারার যে বিকাশ, আজকের এই নগরীগুলোর অভিঘাতসমূহ তারই প্রকাশ। এভাবে চললে আগামী দিনে তাপদাহ আরও ভয়ংকর হবে।’
ইকবাল হাবিব আরও বলেন, ‘বর্তমানে তাপমাত্রা বৃদ্ধির চেয়ে অনুভবের মাত্রা বেড়েছে, কারণ পরিবেশ ও প্রতিবেশের সঙ্গে বিদ্বেষপূর্ণ আচরণও তীব্রভাবে বেড়েছে। তাপদাহে যে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছে, তা কাল-পরশু বা আগামী মাসে নিরসন হবে এই আশাবাদের সঙ্গে আমরা একমত না। এটি ভয়ংকর থেকে ভয়ংকরতম হবে। প্রতিদিন ৮-১০ জন হিট স্ট্রোকে মারা যাচ্ছে, এটি যে কত ভয়াবহ লক্ষণ তা বুঝতে হবে। ফ্যান ও ছাতা দান করে তাকে মেরে গরুদান করার মতো অবস্থা সৃষ্টি করে এর সমাধান হবে না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আব্দুস সালাম বলেন, সরকার সাংবিধানিকভাবে দায়বদ্ধ নাগরিকদের জন্য সুন্দর পরিবেশ দিতে। গত ২০-২৫ বছরে কোনো কাজ চোখে পড়েনি, যেটা দূষণ কমাতে সহযোগিতা করেছে। সরকারি লোকেরা বলে অমুক প্রজেক্ট আছে, পরিস্থিতির উন্নতি হবে। কিন্তু পরিবেশ ভালো হতে আর দেখি না।
বাপার সভাপতি অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, ‘আগামী ২৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের জমি আরও ২০ শতাংশ কমবে। তখন পরিবেশের অবস্থা কেমন হবে। প্রকৃতির একটা স্বাভাবিক নিয়ম আছে। সেটা ঠেকানো যায় না। আমরা যদি প্রতিজ্ঞা করে পদ্ম সেতু তৈরি করতে পারি, তাহলে ওই রকম প্রতিজ্ঞা করে আমার দেশের প্রকৃতিকেও রক্ষা করতে পারি। এর জন্য দরকার হচ্ছে রাজনৈতিক সদিচ্ছা। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতার রাজনীতি করে।’
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধে বলা হয়, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দেশে ভূখণ্ডের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা অপরিহার্য। বাংলাদেশের বন বিভাগের প্রতিবেদন অনুসারে, দেশে বন আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ মোট ভূমির ১২ দশমিক ৮ শতাংশ। বাংলাদেশে বনজ সম্পদ ও বনভূমির অবক্ষয় ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ সময় বাপার পক্ষ থেকে সবুজায়নসহ আট দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
বাপার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিহির লাল সেন, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
ভুল নগর-দর্শনে চলমান তাপদাহ আরও ভয়ংকর হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সহসভাপতি স্থপতি ইকবাল হাবিব।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাপা আয়োজিত ‘তাপদাহের তীব্রতাঃ দায় কার? করণীয় কি?’ —শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইকবাল হাবিব বলেন, ‘দেশের নগরীগুলোতে তাপদাহ অনুভবের এই তীব্রতা বৃদ্ধির অন্যতম মূল কারণ হলো ভুল নগর-দর্শন। ৯০’ দশকের পর নগরীগুলোতে অপরিকল্পিত নগরায়ণের ধারার যে বিকাশ, আজকের এই নগরীগুলোর অভিঘাতসমূহ তারই প্রকাশ। এভাবে চললে আগামী দিনে তাপদাহ আরও ভয়ংকর হবে।’
ইকবাল হাবিব আরও বলেন, ‘বর্তমানে তাপমাত্রা বৃদ্ধির চেয়ে অনুভবের মাত্রা বেড়েছে, কারণ পরিবেশ ও প্রতিবেশের সঙ্গে বিদ্বেষপূর্ণ আচরণও তীব্রভাবে বেড়েছে। তাপদাহে যে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছে, তা কাল-পরশু বা আগামী মাসে নিরসন হবে এই আশাবাদের সঙ্গে আমরা একমত না। এটি ভয়ংকর থেকে ভয়ংকরতম হবে। প্রতিদিন ৮-১০ জন হিট স্ট্রোকে মারা যাচ্ছে, এটি যে কত ভয়াবহ লক্ষণ তা বুঝতে হবে। ফ্যান ও ছাতা দান করে তাকে মেরে গরুদান করার মতো অবস্থা সৃষ্টি করে এর সমাধান হবে না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আব্দুস সালাম বলেন, সরকার সাংবিধানিকভাবে দায়বদ্ধ নাগরিকদের জন্য সুন্দর পরিবেশ দিতে। গত ২০-২৫ বছরে কোনো কাজ চোখে পড়েনি, যেটা দূষণ কমাতে সহযোগিতা করেছে। সরকারি লোকেরা বলে অমুক প্রজেক্ট আছে, পরিস্থিতির উন্নতি হবে। কিন্তু পরিবেশ ভালো হতে আর দেখি না।
বাপার সভাপতি অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, ‘আগামী ২৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের জমি আরও ২০ শতাংশ কমবে। তখন পরিবেশের অবস্থা কেমন হবে। প্রকৃতির একটা স্বাভাবিক নিয়ম আছে। সেটা ঠেকানো যায় না। আমরা যদি প্রতিজ্ঞা করে পদ্ম সেতু তৈরি করতে পারি, তাহলে ওই রকম প্রতিজ্ঞা করে আমার দেশের প্রকৃতিকেও রক্ষা করতে পারি। এর জন্য দরকার হচ্ছে রাজনৈতিক সদিচ্ছা। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতার রাজনীতি করে।’
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধে বলা হয়, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দেশে ভূখণ্ডের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা অপরিহার্য। বাংলাদেশের বন বিভাগের প্রতিবেদন অনুসারে, দেশে বন আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ মোট ভূমির ১২ দশমিক ৮ শতাংশ। বাংলাদেশে বনজ সম্পদ ও বনভূমির অবক্ষয় ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ সময় বাপার পক্ষ থেকে সবুজায়নসহ আট দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
বাপার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিহির লাল সেন, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
মৌলভীবাজারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নানা সীমাবদ্ধতায় শিক্ষাব্যবস্থা বেহাল রূপ ধারণ করেছে। শিক্ষক, শ্রেণিকক্ষ ও আসবাবের সংকটের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নামকাওয়াস্তে। খাতাপত্রে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দেখালেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন।
৪ ঘণ্টা আগেতিস্তা সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবহারের জন্য কৃষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, সেচনালা সংস্কারের অজুহাত ও সরকার নির্ধারিত সেচমূল্য না জানার অজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় সেচ সমিতি এই বাড়তি টাকা আদায় করছে। এ ছাড়া পানি না পাওয়া ও অসময়ে অতিরিক্ত পানি পাওয়ার অভিযোগ...
৪ ঘণ্টা আগেসোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য। মঙ্গলবার রাতে একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢামেকে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
৬ ঘণ্টা আগেঢাকার মূল সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) অভিযান পরিচালনার সময় বেশ কয়েকটি রিকশা ক্রেন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে গুঁড়িয়ে দেওয়া তিন রিকশার চালকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
৭ ঘণ্টা আগে